রিসেলার বিজনেস কি? কিভাবে রিসেলার বিজনেস শুরু করবেন? রিসেলার বিজনেস করে টাকা আয়?

Reseller business Bangladesh
Start reseller business Bangladesh 


রিসেলার বিজনেস বাংলাদেশ 

রিসেলার বিজনেস বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় অনলাইন বিজনেস। অনলাইনের সফল ক্যারিয়ার অথবা নিজেকে উদ্দ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রিসেলিং বিজনেস বাংলাদেশীদের জন্য একটি আদর্শ বিজনেস। 


রিসেলার কি?  

সহজ ভাষায়, রিসেলার বলতে কোনো পন্যের উৎস বা উৎপাদনকারীর কাছ থেকে কম মুল্যে বা পাইকারি দামে পন্য কিনে বাজারদরে কিংবা বেশি দামে কাস্টমারের কাছে বিক্রি করাকেই বোঝায়। 

আবার পারিপার্শ্বিকতা, অবকাঠামো, উৎপাদন ও বিপননের ওপর ভিত্তি করে রিসেলিং এর অন্য সংজ্ঞা দেয়া যায়। 

যেহেতু রিসেলার একটি বড় বিষয় যা একবাক্যে সংজ্ঞায়িত করা সহজ হবে না।  তাই আমি সহজ ভাষায় বর্ননা করলাম।  রিসেলিং যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, পুনরায় কোনো পন্য বিক্রি করা অর্থাৎ কোনো পন্য উৎপাদক থেকে গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে মধ্যস্থতা করা। 

আরো পড়ুনঃ 

কোন ধরনের ইউটিউব চ্যানেল খোলা লাভজনক হবে ? লাভজনক ইউটিউব চ্যানেল আইডিয়া ২০২২

জন্মদিনে ফানি শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস ২০২২। মজার মজার জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস ২০২২

১২ টি ফানি ইউটিউব চ্যানেলের তালিকা। ফানি ইউটিউব চ্যানেলের তালিকা 



রিসেলার কিভাবে করতে হয়? রিসেলার বিজনেস সিস্টেম কিভাবে কাজ করে? 

রিসেলার বিজনেস কি তা তো জানা হল এবার, রিসেলিং করার প্রক্রিয়া কি? কিভাবে রিসেলিং করতে হবে? চলুন সেই বিষয়ে কিছু  ধারনা নেয়া যাক।  

এই বিজনেসের পুরো ক্ষেত্রটিতে তিন শ্রেনির লোক কাজ করে 

১. রিসেলিং প্ল্যাটফর্ম

রিসেলিং প্লাটফর্ম বা যে উৎস থেকে পন্য নিয়ে রিসেলার ( যে পন্য বিক্রি করে তাকে রিসেলার বলে) পন্য সেল করবে। 

২. রিসেলার

রিসেলার অর্থাৎ যে পন্য কাস্টমারের কাছে সেল করবে। ( আপনি যদি রিসেলিনং করে টাকা আয় করতে চান তবে আপনি এই গ্রুপের মধ্যে)

৩. কাস্টমার

কাস্টমার অর্থাৎ যার কাছে রিসালার পন্য বিক্রি করবে। সহজ বাংলায় ক্রেতা বা ভোক্তা।


রিসেলিং করতে হলে করণীয় কাজ

এবার কেউ যদি রিসেলার ব্যাবসা  করে টাকা আয় করতে চায় তাহলে তাকে একজন রিসেলার হিসেবে রিসেলিং প্লাটফর্মে রেজিস্টার করতে হবে। রিসেলিং কোম্পানি তাকে সব ধরনের পন্য পাইকারি দামে বা কমদামে অফার করবে এবং নিজের নামে একটি অনলাইন শপ (দোকান) অফার করবে। এবার রিসেলারকে সেই পন্যগুলো পাইকারি দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হবে। 

এক্ষেত্রে রিসেলারকে পন্যের ডেলিভারি সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কিছু করতে হয় না, এসব কাজের দায়িত্ব সম্পুর্ন কোম্পানির। 

কিছু রিসেলার আছেন যারা নিজে টাকা খরছ করে কোম্পানি থেকে পন্য কিনে নিজের অনলাইন শপে অথবা নিজস্ব ই-কমার্স সাইটে সাজিয়ে রাখে নিজের পন্য হিসেবে। এক্ষেত্রে পন্য বিক্রির সময় ডেলিভারি কিভাবে করবে সেই এবং অন্যন্য সব দায়িত্ব কিন্তু রিসেলারের নিজের ওপর এসে যায় এক্ষেত্রে কোম্পানির কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। 

তাই আপনি ফ্রিতে রিসেলিং করলে আপনাকে ডেলিভারি বিষয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না। আপনাকে শুধু পন্যের অর্ডার নিতে হবে এবং সেই অর্ডার রিসেলিং কোম্পানিকে দিতে হবে। 

এটাই মূলত একজন রিসেলারের কাজ। এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে অনলাইনে কোনো প্রকার ফিজিকার কর্মকান্ডের কোনো সুজোগ নেই। 

এখন একজন রিসেলার হিসেবে রিসেলিং প্লাটফর্মে জয়েন করলাম, কোন পন্য সেল করব সেটাও সিলেক্ট করলাম কিন্তু প্রশ্ন হল কিভাবে পন্য বিক্রি করব?  


আরো পড়ুন ঃ 

অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২১। মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় ২০২১

রিসেলার ব্যাবসা শুরুর সম্পুর্ন গাইডলাইন। কিভাবে ShopUp-এ রিসেলার ব্যাবসা করবেন। Shop Up -এ রিসেলিং করে টাকা আয়।

অনলাইনে টাকা আয়ের apps  অনলাইনে টাকা আয়ের শেরা ৮ টি অ্যাপ। 


রিসেলার হিসেবে কিভাবে পন্য বিক্রি করব? 

একজন রিসেলারের প্রধান কাজই হল অনলাইনে তার পন্য বিক্রি করা। গুরুত্বপূর্ণ এই কাজটি  বেশ কয়েকটি উপায়ে করা যায়। রিসেলার চাইলে ফ্রিতে অথবা কিছু টাকা খরচ করে তার পন্যের জন্য উপযুক্ত ক্রেতা খুজে নিতে পারে। আমি পর্যায়ক্রমে সব কয়েকটি উপায় তুলে ধরব যার মাধমে একজন রিসেলার পন্যের ক্রেতা খুজে পাবেন।

১. পন্য বিক্রি করার জন্য রিসেলারের থাকতে হবে একটি নিজস্ব অনলাইন শপ যেখানে সে নিজের পন্য সাজিয়ে রাখতে পারে। সম্পুর্ন ফ্রিতে একটি অনলাইন শপ বানানোর জন্য উপযুক্ত প্লাটফর্ম হল ফেসবুক পেজ। 

রিসেলারের একটি ফেসবুক পেজ থাকলে সেখানেই সে তার প্রোডাক্ট সাজিয়ে রাখতে পারে এবং সবচেয়ে বড় কথা হল এক্ষেত্রে কোনো প্রকার খরচ বহন করতে হবে না। বর্তমানে ফেসবুকে কোটি কোটি ব্যবহারকারী অনলাইন শপিং করে থাকে তাই পন্যের ক্রেতা পাওয়ার সুজোগও রয়েছে অনেক। 

২. অন্যান্য শোসাইল মিডিয়া একাউন্টে নিজের পন্য শেয়ার করে। এভাবেও নিজের একটি অনলাইন শপ বানানো যায়। যেমন : টুইটার, ইন্সট্রগ্রাম কিংবা পিন্টারেস্ট ইত্যাদি শোসাইল মিডিয়াকে ভালো ভাবে কাজে লাগালে পন্যের উপযুক্ত ক্রেতা পাওয়া সম্ভব।

৩ নিজস্ব ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে। এটি বেশ কার্যকরী একটি উপায় প্রোডাক্টের জন্য ভালো সেল পাওয়ার। একটি ই-কমার্স সাইট আপনার নিজের একটি ব্রান্ড যা আপনাকে একজন অন্ট্রেপ্রেনার ( উদ্দ্যোক্তা)  হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যথেষ্ট।  

একটি ই- কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। ভালো ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে একজন ভালো ওয়েব ডেভলপারের সাহায্যে ওয়েবসাইট বানানোর কাজটি সম্পন্ন করে নিতে হবে। 

ই-কমার্স সাইট বানাতে টাকা খরচ হলেও এর সুবিধাও কিন্তু কম না। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার পন্যের সেল দ্বিগুন হারে বেড়ে যাবে যদি আপনি ঠিক ভাবে ব্রান্ডিং, মার্কেটিং ও SEO করেন। তারওপর পন্যের ওর্ডার আসলে আপনার কাজ শুধু অর্ডার রিসেলিং কোম্পানিকে ফরওয়ার্ড করা, না প্যকিং এর ঝামেলা না ডেলিভারির ঝামেলা। 

একজন রিসেলার হিসেবে কিভাবে পন্য বিক্রি করে টাকা আয় করবেন তার তিনটি উপায় তুলে ধরেছি আপনার সামনে যার মধ্যে দুটি সম্পুর্ন ফ্রি আর একটিতে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। আপনার কাছে যেটি সুবিধাজনক মনে হয় সেই উপায়টিকেই বেছে নিতে পারেন রিসেলিং করে ইনকামের জন্য।


রিসেলার বিজনেস এর সুবিধা কি? কেন রিসেলার বিজনেস করব? 

নিঃসন্দেহে রিসেলার বিজনেস একটি লাভজনক বিজনেস। কোনো প্রকার পুজি ও রিস্ক ছাড়া ফ্রিতে করা যায় এই রিসেলিং ব্যাবসা। এইপর্যায়ে, রিসেলার বিজনেস কতটা সুবিধাজনক সেই বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।


রিসেলার বিজনেস এর সুবিধাসমুহ। 

১. কম ঝুকিতে ব্যাবসা করা যায়

রিসেলার বিজনেসে ঝুকির পরিমান খুবই কম। কারন এই বিজনেস এর প্যাটার্ন এমন ভাবে সাজানো যে ঝুকি ছাড়াই সহজেই লাভ করা যায়৷ 

একজন রিসেলারকে মোটা অংকের টাকা ব্যায় করে  কোনো প্রকার রিস্ক নিতে হয় না।  কোনো পন্যের জন্য কোনো প্রকার ভ্যাট বা চার্জ অথবা কোনো ধরনের খরচ কিছুই দিতে হয় না। তাই এই ব্যবসা একজন রিসেলারের জন্য লাভজনক। 


২ বেশি লাভের সুযোগ 

কোনো পন্যের জন্য কত লাভ করবেন এটা সম্পুর্ণ বিক্রেতার নিজস্ব ব্যাপার অর্থাৎ লাভের অংকটা বিক্রেতা (রিসেলার) নিজেই নির্ধারণ করে থাকেন। যে ব্যাবসায় ইচ্ছামত লাভের সুযোগ থাকে সেই ব্যাবসা নিঃসন্দেহে লাভজনক ও স্বাধীন ব্যাবসা। 

ধরুন আপনি যে কোম্পানির পন্য রিসেলিং করবেন সেই কোম্পানি, একটি পন্যের পাইকারি দাম রাখছে ৪০০ টাকা।  আপনাকে বলা হল আপনি ৪০০ টাকার বেশি যত পারেন বিক্রি করতে পারেন ততটাই আপনার লাভ।

এবার আপনি যদি পন্যটি আপনি ৬০০ টাকায় সেল করেন তাহলে আপনার লাভ ২০০ টাকা। 


৩ ফ্রি ব্যবসা বিস্তারের সুযোগ।

যদি খুব ছোটো পরিশরেও রিসেলার বিজনেস শুরু করা যায় তাহলে পরবর্তীতে সেই বিজনেসটি বাড়ানো খুব একটা কঠিন কাজ না। 

যেহেতু রিসেলার ব্যাবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা কম তাই আপনি যদি ডেডিকেটেড হয়ে নিজের সর্বোচ্চ দক্ষতাকে কাজে লাগান তাহলে সহজেই নিজের ব্যাবসাকে বাড়িয়ে নিতে পারে।

ধরুন আজকে আপনি ফেসবুকে পেজের মাধ্যমে আপনার অনলাইন স্টোর চালু করলেন। এখন আপনি যেকোনো পন্য আপনার পেজের মাধ্যমে সেল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ইচ্ছামত যতখুশি পন্য বিক্রি করতে পারবেন।

কিন্তু যদি আপনি নিজে কোনো পন্য কিনে সেটা ফেসবুক পেজে সেল করতে চান তাহলে আপনি লিমিটের মধ্যে পরে যাবেন। আপনি একসাথে দুই অথবা তিন কেটাগরির পন্য সেল করতেই ঝামেলায় পরে যাবেন। কারন আপনাকে পন্য কিনতে হচ্ছে নিজের টাকা দিয়ে আবার সেটা নিজেই ডিলেভারি করতে হচ্ছে। এতে করে আপনার ব্যাবসা সফল হওয়ার সুজোগ একেবারে কমে যায়।

রিসেলারে আপনার পন্যের ব্যাপকতা থাকে তাই আপনি ইচ্ছামত পন্য নিজের অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন এবং নিজের ব্যাবসাকে ফেসবুক পেজ থেকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কনভার্ড কর‍তে পারেন। অর্থাৎ ব্যাবসার পরিসর বৃদ্ধি করতে পারেন। 


৪ কোনো রকম পুজি ছাড়াই ব্যাবসা শুরু করা

যেহেতু রিসেলার ব্যাবসা শুরু করতে মুলধন লাগে না বললেই চলে তাই ব্যাবসাটি শুরু করা  খুব সহজ একটি কাজ। কোনো মুলধন যে একেবারেই লাগে না এমনটা নয়, তবে যখন বিনা ইনভেস্টেই শুরু করা সম্ভব তখন আর টাকার হিসাব কিসের। 

তবে যারা রিসেলার ব্যাবসায় একেবারে ই-কমার্স ওয়েবসাইট সহকারে নামতে চান তাদেরকে কিছু টাকা বিনিয়োগ করে ব্যাবসা শুরু করতে হয়। 


৫ কোনো শারীরিক উপস্তিতির ছাড়াই লাভজনক ব্যবসা।

ক্রেতার কাছ থেকে অর্ডার নেয়া থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট ক্রেতার হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত রিসেলারের কোনো প্রকারের শারীরিক উপস্তিতি প্রয়োজন হবে না। সম্পুর্ণ প্রক্রিয়াটি রিসেলার ব্যাবসায়ী অনলাইনে সম্পন্ন করে নিতে পারবে। 


৬ ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে নির্ভেজাল ভাবে ব্যাবসা করা যায়। 

কোনো পন্যের অর্ডার আসলে সেই পন্য, ক্রেতার কাছে ডেলিভার করার কাজটি বেশ ঝামেলার হয়ে থাকে। প্রথমে প্যকিং তার পরে ডেলিভারি এজেন্সির কাছে পন্য ট্রান্সফার, তারপরে ক্রেতার ঠিকানায় পন্য ডেলিভার।  

এই ঝামেলাময় কাজ থেকে একজন রিসেলার মুক্ত হয়ে শান্তিপুর্ন ভাবে ব্যাবসা করে টাকা আয় করতে পারবে।  এসব কাজের দায়িত্ব সম্পুর্ন রিসেলিং কোম্পানির। 

তো এতক্ষনে রিসেলার বিজনেসের সুবিধাসমুহ দেখে আপনি বুঝতেই পারছেন রিসেলার বিজনেস একটি লাভজনক বিজনেস। 

ছাত্র-অবস্থায় এ ব্যাবসা দিয়ে স্টার্টআপ করলে আগামিতে এই ব্যাবসাই একজন ছাত্রকে উদ্দ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে যথেষ্ট। 

এই পর্যায়ে রিসেলার ব্যাবসার ব্যাপারে অনেকটা হয়ত জানা হয়ে গেছে। কিন্তু অনেকের কাছে বিষয়গুলো এলোমেলো হতে পারে। তাই আমি বোঝার সুবিধার্থে, 'রিসেলিং প্লাটফর্মে একাউন্ট করা থেকে শুরু করে টাকা কিভাবে হাতে পাবেন' সম্পুর্ন প্রক্রিয়াটি আপনার সামনে তুলে ধরছি। 


রিসেলার ব্যাবসা করে টাকা আয় করব কিভাবে A to Z ব্যাখ্যা। 

১. কোন প্লাটফর্মে রিসেলিং করবেন সেটা আগে সিলেক্ট করতে হবে। কোন কোম্পানিতে রিসেলার হিসেবে যোগ দেবেন কোম্পানিটিশন কেমন সেই বিষয়ে ধারনা থাকতে হবে। আমি নিচে বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় রিসেলার কোম্পানির তালিকা শেয়ার করেছি।


২. কোন প্লাটফর্মে রিসেলিং করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে আপনাকে তাদের(রিসেলার কোম্পানি) ওয়েবসাইট বা অ্যাপ-এ একাউন্ট রেজিস্ট্রার করতে হবে। রিসেলিং প্লাটফর্মে একাউন্ট করতে আমাদের উল্লেখিত আর্টিকেলটি পড়ুন অথবা বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে এ সম্পর্কিত ভিডিও পেয়ে যাবেন।


৩. রিসেলার কোম্পানিতে একাউন্ট তৈরির পরে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন ধরনের পন্য আপনি সেল করতে পারবেন। আমি ধরে নিলাম আপনি প্যান্ট ও জুতা সেল করবেন। 


৪. এরপরে আপনার প্রয়োজন হবে একটি অনলাইন শপের যেখান থেকে আপনি পন্য সেল করতে পারেন।  সেই অনলাইন স্টোর হতে পারে কোনো ফেসবুক পেজ বা কোনো ই-কমার্স সাইট। 


৫. এবার কোন কোন  প্যান্ট ও জুতা সেল করবেন সেটা মার্কেটপ্লেস থেকে বাছাই করুন।  সেই পন্যের ছবিটি সেভ ও তথাদি কপি করে নিন। 


৬. এখন আপনার নিজস্ব অনলাইন শপে, পূর্বে সেভ করা ছবি ও কপি করা তথ্য আপলোড করুন।  যতটা সম্ভব আপনার পন্যের মার্কেটিং করুন এবং অর্ডার এর জন্য অপেক্ষা করুন 


৭. কোনো পন্যের অর্ডার এলে ক্রেতার নাম-ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিন এবং জেনে নিন ক্রেতা অনলাইন পেমেন্ট  করছে ইচ্ছুক নাকি ডেলিভারির সময় কেশ পে করতে ইচ্ছুক। 


৮. একবার অর্ডার নেয়া হয়ে গেলে সেই অর্ডার আপনাকে রিসেলার কোম্পানির কাছে পাঠাতে হবে অর্থাৎ আপনার ক্রেতার নাম ও তথ্য দিয়ে ক্রেতার নামে কোম্পার কাছে অর্ডার করতে হবে। রিসেলার কোম্পানিই ক্রেতার কাছে পন্য হস্তান্তর করবে।


৯. এভাবে প্রোডাক্ট সেল করার পরে আপনার লাভের অংশ আপনার একাউন্টে জমা হবে। এবং নিদ্রিষ্ট সময়ে আপনার টাকা আপনার বিকাশ না নগদ একাউন্টে পৌঁছে যাবে। এভাবেই আপনি রিসেলার বিজনেসে নিজেকে লাভবান করতে পারেন।

আশা করি এতক্ষনে রিসেলার বিজনেস এর ব্যাপারে কিছু হলেও ধারনা আপনাদের দিয়ে পেরেছি। তার পরও কারো মনে কিছু সন্দেহ থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

তো এতক্ষনে রিসেলার বিজনেস সম্বন্ধে আপনি অনেক কিছু জানলেন। এই পর্যায়ে আপনি যদি রিসেলার ব্যাবসা শুরু করতে চান তাহলে..


কিভাবে রিসেলার ব্যাবসা শুরু করবেন?  ফ্রিতে শুরু করবেন নাকি নেই বিনিয়োগ করবেন? 

প্রাথমিক অবস্থায় আমি কখনই অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেব না, নতুন অবস্থায় আপনি ফ্রিতে ব্যাবসা ভালোভাবে শুরু করতে পারেন। 

ধীরে ধীরে আপনি নিজেকে দক্ষ করে তুলুন,  ব্যাবসায়ীক নিয়মাবলি বুঝুন। এভাবে যখন আপনি নিজেকে অভিজ্ঞ ও আত্মবিশ্বাসি মনে করবেন ঠিক তখনই ব্যাবসায় বিনিয়োগ করুন। 


নতুন অবস্থায় রিসেলিং করতে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানানো কি উচিৎ হবে? 

ই-কমার্স সাইট বানানো খুব সহজ একটি কাজ না।  এর জন্য আপনার বেশ কিছু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে। ডোমেইন ও হোস্টিং কিনে ডেভলপারের দ্বারা সাইট বানালেই কাজ শেষ না।  আপনার সাইট মেনেজমেন্ট, SEO, ওয়ার্ডপ্রেস, কন্টেন্ট রাইটিং, মার্কেটিং আরো বেশ কিছু বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে নয়ত আপনি সমস্যায় পরে যাবেন। 

আর আপনি যদি এসব বিষয়ে আগে থেকেই দক্ষ হন তাহলে তো কথাই শেষ। কিন্তু নতুনদের জন্য একাজটি কঠিন হয়ে যাবে। তাই আমি নতুনদের সাজেস্ট করব রিসেলার বিজনেস এর জন্য আগেই ই-কমার্স ওয়েবসাইট না বানাতে এতে আপনার ব্যাবসা ঝুঁকিতে পড়বে। 

আপনি আগে ফ্রিতে পন্যের জন্য সেল জেনারেট করুন নিজের অভিজ্ঞতাকে বাড়ান তার পরে ই-কমার্সে বিনিয়োগ করুন। 


রিসেলিং করার জন্য কোন কোম্পানিকে সিলেক্ট করব? বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় রিসেলার কোম্পানি।

ShopUp reseller 

বাংলাদেশের একটি অন্যতম রিসেলার প্লাটফর্ম।  আমি নিজে এই প্লাটফর্ম ব্যাবহার করি। এদের সার্ভিস,  পেমেন্ট,  প্রোডাক্ট এর মান অত্যন্ত চমৎকার।  


Reseller Hub

বাংলাদেশের রিসেলার কোম্পানি গুলোর তালিকার প্রথম সারিতে অবস্থানকারী এই রিসেলার কোম্পানি সুনামও রয়েছে অনেক। রিসেলারেদের ভালো সুযোগ সুবিধা ও গুনগত মানের পন্য কম দামে অফারের কারনে অনেকের রিসেলার ব্যাবসার জন্য এই কোম্পানিকে বেছে নিচ্ছে।


Bbazar 

এখনও এই প্লাটফর্মটি শুরুর পর্যায়ে রয়েছে তবে এদের রিসেলিং সিস্টেমও বেশ ভালো। অনেক রিসেলার এই প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে মাসে হাজার হাজার আয় করছে। 

এই তিনটি প্লাটফর্ম বাদেও আরো অনেক রিসেলার কোম্পানি রিসেলারদের ভালো ভালো সুযোগ সুবিধা অফার করে থাকে। তবে আমার কাছে এই তিনটি রিসেলিং কোম্পানিকেই শেরা মনে হয়েছে। 


রিসেলার কোম্পানিতে কি আমি ইচ্ছামত পন্য বিক্রির জন্য বাছাই করতে পারব?  

হ্যাঁ, আপনি ইচ্ছামত যে কোনো ধরনের পন্য বাছাই করে সেই পন্যের মার্কেটিং করতে পারেন আপনার নিজস্ব অনলাইন স্টোরে। 


অনলাইন স্টোর বলতে কি বোঝাচ্ছেন?

অনলাইন স্টোর হল অনলাইনে যে কোনো স্থানে কোনো ভার্চুয়াল দোকান। সেটা হতে পারে আপনার ফেসবুক পেজে, কোনো অ্যাপ, ই-কমার্স সাইট অথবা আপনার ফেসবুক প্রোফাইলও হতে পারে ।

আমি কি অনলাইন বাদে অফলাইনে রিসেলার বিজনেস করতে পারি? 

অবশ্যই করতে পারেন, যদি আপনার কাছে অফলাইনে কাস্টমার থাকে তাহলে আপনি রিসেলার কোম্পানি থেকে পন্য কিনে অফলাইনে রিসেলিং করতে পারেন।  আপনি আপনার বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশির কাছে পন্য বিক্রি করতে পারেন। 

রিসেলার ব্যাবসা নিঃসন্দেহে একটি সম্ভাবনাময় ব্যাবসা।  বাংলাদেশে এখনো এই ব্যাবসাতে কম্পিটিশন কম তাই সহজে সফল হওয়া যায়। তবে সফলতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের। প্রাথমিক অবস্থায় সেল পাওয়া যদি কষ্টকর হয় তবে হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না ।

ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে পারলে এই ব্যাবসা থেকে সহজেই মাসে ১০ থেক ১৫ হাজার টাকা আয় করা যাবে সেটাও কোনো প্রকার ঝুকি ছাড়াই।


Next Post Previous Post