রিসেলার ব্যবসা শুরুর সম্পুর্ন গাইডলাইন। কিভাবে ShopUp-এ রিসেলার ব্যবসা করবেন। Shop Up -এ রিসেলিং করে টাকা আয়।
How to Start business Bangladesh |
কোনো প্রকার টাকা বিনিয়োগ ছাড়া ফ্রিতে করা যায় এমন ব্যাবসার খোঁজ করছেন কি? তাহলে এই পোস্টে আপনাকে তেমনি একটি দুর্দান্ত ব্যাবসার সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। তো চলুন শুরু করা যাক।
এতক্ষনে হয়ত বুঝে গেছেন আমি রিসেলার ব্যবসার কথাই বলছি। বাংলাদেশে রিসালার ব্যবসা একটি সম্ভাবনাময় ব্যাবসা। এটি তরুনদের জন্য একটি বড় সুজোগ বেকারত্বকে দূর করে নিজেকে সাবলম্বি ও উদ্দ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার।
বর্তমানের বিভিন্ন রিসেলার কোম্পানিতে যুক্ত হয়ে প্রতিমাসে হাজার থেকে লক্ষ টাকা আয় করছে এমন তরুন-তরুনির উদাহারন অনেক রয়েছে। আপনিও কিভাবে রিসেলার ব্যবসা করে ইনকাম করবেন সেই গাইডলাইন নিয়ে সাজানো এই পোস্ট আশা করি সম্পুর্ন পোস্টটি পোস্টটি পড়বেন।
রিসেলার ব্যবসা কি?
রিসেলার ব্যাবসা কি? কিভাবে রিসেলার ব্যাবসা শুর করা যায়? কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে? রিসেলার বিজনেসের সুবিধ কি? কেন রিসেলের ব্যাবসা শুরু করবেন? সব তথ্য আমাদের নিচের এই পোস্টে দেয়া রয়েছে। চাইলে এই পোস্টটি পড়তে পারেন। তারপর আমি কিছু ধারনা দিচ্ছি।
রিসেলার বিজনেস কি? কিভাবে রিসেলার বিজনেস শুরু করবেন? রিসেলার বিজনেস করে টাকা আয়?
রিসেলার ব্যবসা একটি প্রোডাক্ট সেলিং ব্যবসা। এই রিজনেসটি তিন শ্রেনির কর্মীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়,
১. হোল সেলার
২. রিসেলার
৩. কাস্টমার বা ক্রেতা।
রিসেলার মানে যিনি হোল-সেলার ওর কাছ থেকে পন্য নিয়ে পন্য বিক্রি করে থাকে। একজন রিসেলার কাজ হল হোল-সেলারের কাছ থেকে পন্য নিয়ে ক্রেতার কাছে বিক্রি করা। পুড়ো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় অনলাইনে।
রিসেলার কিভাবে পণ্য বিক্রি করে?
কিভাবে একজন রিসেলারকে পন্য বিক্রি করতে হবে সেটাও একটা প্রশ্ন। রিসেলারকে প্রথমে হোল-সেলার কোম্পানির কাছ থেকে পন্যের যাবতীয় তথ্যাদি( ছবি, কালার) নিয়ে সেই পন্যকে মার্কেটিং করতে হবে।
এই মার্কেটিং হতে পারে নিজস্ব কোনো ফেসবুক পেজে অথবা কোনো ই-কমার্স সাইটে। মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতা খুজে ক্রেতার কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে সেই অর্ডার হোলসেলার কোম্পানিকে দিতে হবে। পন্য বিক্রি সম্পন্ন হলে রিলেসার তার অংশের টাকা নিজের একাউন্টে পেয়ে যাবে।
এই পুরো কাজটি করতে রিসেলারকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। কোনো ধরনের ঝামেলাও পোহাতে হবে না। সম্পুর্ন ফ্রিতে সে নিজের ব্যাবসা চালিয়ে যেতে পারবে।
রিসেলার ব্যাবসা শুরু করার জন্য আমরা ShopUp-কে রিসেলিং বা হোল-সেলার কোম্পানি হিসেবে বেছে নিব এবং কিভাবে ShopUp Reseller থেকে রিসেলার ব্যাবসা শুরু করব তা জানব।
আরো পড়ুনঃ
রিসেলার বিজনেস কি? কিভাবে রিসেলার বিজনেস শুরু করবেন? রিসেলার বিজনেস করে টাকা আয়?
অনলাইনে টাকা আয়ের apps অনলাইনে টাকা আয়ের শেরা ৮ টি অ্যাপ।
১২ টি ফানি ইউটিউব চ্যানেলের তালিকা। ফানি ইউটিউব চ্যানেলের তালিকা
ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন? যে ৫ টি কারনে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন?
কিভাবে ShopUp Reseller-এ একাউন্ট করতে হয়?
ShopUp reseller -এ একাউন্ট করা খুবই সহজ। প্রথমত আপনার মোবাইল ফোনে ShopUp অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে হবে। গুগল প্লে-স্টোরে ShopUp লিখে সার্চ করলেই অ্যাপ পেয়ে যাবেন আপনার সুবিধার জন্য আমি লিংকটিও দিয়ে দিলাম।
অ্যাপ ইন্সটল হয়ে গেলে এপ ওয়েন করুন এবার আপনার সামনে নিচের ছবির মত একটি ইন্টারফেস চলে আসবে।
এখানে আপনাকে ফোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন অথবা লগইন করতে হবে। আগেই রেজিষ্ট্রেশন করা থাকলে এখান থেকেই লগইন করতে হয়। এবার আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে "ওটিপি রিসিভ করুন" লেখাটিতে ক্লিক করুন।
"ওটিপি রিসিভ করুন" লেখায় ক্লিক করার পরে আপনার সামনে ঠিক এইরকম একটি পেজ চলে আসবে, সেইসাথে মোবাইলে ৬-ডিজিটের একটি ওটিপি কোড চলে আসবে।
ওটিপি কোডটি খালি ঘরে টাইপ করুন। পরবর্তি ধাপে যাওয়ার জন্য নিচের লেখাটিতে ক্লিক করুন। এবার আপনার সামনে সর্বশেষ ধাপ চলে আসবে
এবার প্রয়োজনীয়( নিজের নাম, দোকানের নাম, বিকাশ মোবাইল নাম্বার) তথ্য দিয়ে ফ্রমটি পূরন করুন। এখানে যে দোকানের নাম এর অপশনটি রয়েছে সেখানে আপনার ফেসবুক পেজের নাম বা নিজের নাম দিয়ে দিন কোনো সমস্য হবে না।
আপনি কি করেন সেটা সিলেক্ট করুন এবং সর্বশেষ রেফার কোড বসানোর অপশন রয়েছে, এখানে আপনি (2cfda20) কোডটি বসান। এটি অপসোনাল কাজ আপনি চাইলে নাও বসাতে পারেন। এবার "পরবর্তী ধাপ" লেখাটিতে ক্লিক করুন আপনার রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে। এখন আপনি ShopUp অ্যাপ এর মাধ্যমে রিসেলার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
ShopUp reseller ( রিসেলার ) এ একাউন্ট করার উয়ায়
কিভাবে ShopUp reseller এ একটি একাউন্ট করবেন সেই বি্ষয়ে যদি এখনো স্পষ্ট ধারনা না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিচের ভিডিওটি দেকে নিতে পারেন। আশা করি নিচের ভিশিওটি দেখল;এ আপনার সব ধরনের কনফিউশন ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
ShopUp reseller এ একাউন্ট করার ভিডিও
ShopUp-এ রিসেলিং করতে কি কি লাগবে?
সর্বপ্রথম একটি স্মার্টফোন তো লাগবেই। দ্বিতীয়ত মূল যে বিষয়টি সেটি হল, আপনার একটি অনলাইন স্টোর প্রয়োজন হবে যেখানে আপনি পন্য সাজাবেন। ShopUp reseller থেকে পন্যের তথ্য এনে সেই তথ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে আপনার একটি অনলাইন স্টোর অবশ্যই লাগবে।
এই অনলাইন স্টোর হতে পারে কোনো ফেসবুক পেজ বা কোনো ফেসবুক গ্রুপ অথবা কোনো ই-কমার্স ওয়েব সাইট। যে কোন একটিকে আপনি অনলাইন স্টোর হিসেবে বাছাই করুন।
ShopUp এ রিসেলার হতে হলে করনীয় কি?
ফেসবুক পেজ বা ই-কমার্স সাইট না থাকলে তৈরি করে নিন। ফেসবুক পেজ বানানো খুবই সহজ, ফ্রিতেই একটি ফেসবুক পেজ বানানো যায় মোবাইল দিয়েই কোনো সমস্যা হলে ইউটিউব ভিডিও দেখে নিবেন। ই-কামর্স ওয়েবসাইট বানাতে কিছু টাকা খরচ হবে এবং একাজটি জটিল কাজ মোবাইল দিয়ে হবে না।
ই-কমার্স সাইট বানাতে না চাইলে কোনো সমস্যা নেই, কিভাবে ফেসবুক থেকেই রিসেলিং করে হাজার টাকা আয় করবেন সেই বিষয়ে কিছু টিপস এই পোস্টেই শেয়ার করব।
ধরে নিচ্ছি এই পর্যায়ে আপনার অনলাইন স্টোর রেডি এবং আপনিও রেডি, এবার কি করবেন? এবার আপনাকে রিসেলার ব্যবসায় নেমে পড়তে হবে।
কিভাবে ShopUp-এ রিসেলার ব্যাবসা শুরু করব?
ShopUp reseller অ্যাপ ওপেন করার সাথে সাথে আপনাকে অ্যাপ এর হোম পেজে নিয়ে আসা হবে।
এখানে আপনাকে একটি পন্য সিলেক্ট করতে হবে। আপনি কোন ধরনের পন্য সেল করতে চান, সেই পন্যটি সিলেক্ট করুন।
সিলেক্ট করা পন্যটির দুটি মূল্য দেখতে পাচ্ছেন। একটি মূল্য আপনাকে রিসেলার কোম্পানি অফার করছে এবং অপর যে মূল্যটি দেখতে পাচ্ছেন সেই মুল্যে আপনাকে পন্য সেল করতে হবে। তবে এই দামের চেয়ে বেশি দামে সেল করা যাবে না এর চেয়ে কমদামে সেল করা যাবে।
যেভাবে রিসেলার ব্যাবসা শুরু করবেন |
এই পন্যটির ছবিটি ডাউনলোড করে নিন ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে। এরপরে ডিটেইলস বাটনে ক্লিক করলে সব তথ্য কপি হয়ে যাবে। এসব তথ্য এখন আপনার অনলাইন শপে বা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করতে হবে অর্থাৎ পোস্ট করতে হবে।
যেসব পন্য আপনি ফেসবুকে শেয়ার করলেন এই সব পন্য এখন আপনার। আপনাকে এখন পন্য গুলো সেল করতে হবে। আপনার পেজের অডিয়েন্স যখন আপনার পন্যগুলো দেখবে তখন আপনাকে মেসেজ দেবে। আপনাকে তাদের সাথে চ্যাট করে পন্যটি সম্পর্কে জানাতে হবে।
এভাবে কেউ অর্ডার দিলে আপনাকে সেই অর্ডার ShopUp অ্যাপ এ পাঠাতে হবে।
কিভাবে ShopUp-এ অর্ডার দেবেন?
কিভাবে ShopUp reseller অ্যাপ ব্যবহার করে রিসেলার ব্যাবসা করতে হয়? তার অনেকটাই হয়ত আপনাদের বোঝাতে পেড়েছি। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে ShopUp -এ অর্ডার প্রেস করতে হয়?
যে পন্যের অর্ডার এসেছে সেই পন্যটিতে ক্লিক করুন।পন্যের সাইজ সিলেক্ট করুন এবং কতটি পন্য অর্ডার করবেন তার পরিমান লিখুন। নিচে পন্যের মূল্য লিখুন আপনার ইচ্ছা মত এবং অর্ডার করুন বাটনে ক্লিক করুন।
পরবর্তী পেজে আপনার ইনকাম কত হচ্ছে আপনার কাছে কোনো ডিস্কাউন্ট অফার আছে নাকি সেই সম্পর্কে জানতে চাইবে। এর পরে "অর্ডার নিশ্চিত করুন" বাটনে ক্লিক করুন।
এই পেজে আপনাকে ক্রেতার ঠিকানা লিখতে হবে। ঠিকানা লেখান জন্য "নতুন এড্রেস লিখুন" বাটনে ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে এড্রেস লিখুন।
এড্রেস লিখা শেষ হলে তা সেইভ করুন এবং "পেমেন্টে অগ্রসর হোন" বাটনে ক্লিক করুন
আপনার ক্রেতা কোন পেমেন্ট মেথড সিলেক্ট করেছে সেটা আপনিও সিলেক্ট করুন। Online payment নাকি Cash On Delivery সেটা সিলেক্ট করে অর্ডার নিশ্চিত করুন। Online Payment সিলেক্ট করলে বিকাশ, রকেট বা নগদের মাধ্যমে টাকা পে-করে অর্ডার নিশ্চিত করুন। আপনার অর্ডার শেষ হল এই পন্যটি ৫-৭ দিনে ডেলিভারি হয়ে গেলে, আপনি আপনার ইনকাম ২১১ টাকা আপনার একাউন্টে পেয়ে যাবেন।
এতক্ষনে রিসেলার ব্যাবসা সম্পর্কে সকল তথ্য আপনার সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি সবকিছু ভালো ভাবে বুঝতে পেড়েছেন।
তবুও এই পর্যায়ে এসে অনেক মনে নানান সন্দেহমুলক প্রশ্ন হতে পারে। আমি সেই সন্দেহগুলো দূর করে দেয়ার চেষ্টা করছি।
১. ফেসবুক থেকে আদৌ কোনো পন্যের ক্রেতা পাব?
বর্তমানে ফেসবুক বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সোশাইল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এখানে যে কোনো ধরনের ব্যাবসা হয় আপনি ধারনাও করতে পারবেন না। ফেসবুকে যেহেতু ট্রাফিকের অনেক বেশি তাই সেল পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।
আমি নিজে ফেসবুকে রিসেলিং করেছি এবং টাকাও ইনকাম করেছি। আমি কোনো পন্য ফেসবুকে শেয়ার করলে খুব ভালো রেসপন্স পেতাম। তাই আশা করব আপনিও ভালো সারা পাবেন।
আরো পড়ুন ঃ
ফেসবুকে পন্যের সেল বাড়ানো উপায় কি?
যদি কোনোভাবেই আপনার সেল না আসে তাহলে আপকি কিছু ট্রিকস এপ্লাই করতে পারেন যা আমার ক্ষেত্রে বেশ কাজে দিয়েছে।
প্রথমত আপনি পন্যটি আপনার পেজ ও প্রোফাইলে পোস্ট করুন। তারপরে সেই পন্য ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে শেয়ার করুন। এতে করে ফেসবুক কতৃপক্ষ নিজেই আপনার পন্য ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
এবার বিভিন্ন Buy-sell গ্রুপে জয়েন করুন ও সেই গ্রুপে পন্যটির তথ্য দিয়ে পোস্ট করুন। এসব গ্রুপে পোস্ট সহজেই এপ্রুভাল পেয়ে যায় তাই এপ্রুভাল নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
এসব টেকনিক ভালো ভাবে প্রয়োগ করলে ফেসবুকে আপনার পন্যটির SEO করা হয়ে গেল। এভাবে আপনার পোস্টগলো বেশি ট্রাফিকের কাছে পৌঁছাবে ও সেল বাড়বে।
আশা করি রিসেলার ব্যবসা সম্পর্কে পুরোপুরি ধারনা আপনাকে দিতে পেরেছি।
উপসংহার
এই পর্যায়ে বিদায় নেওয়ার পালা । রিসেলার ব্যাবসা সম্প্রর্কে আপনাদের সম্পুর্ন ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। রিসেলার ব্যাবসা কি? কীভাবে রিসেলার হবো? এসব বিষয়ে বিশদ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি । আশা করি সম্পূর্ন আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কোনো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।