অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৩। মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় ২০২৩

 

অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ইনকাম ২০২১
make money online by mobile

ক্যারিয়ার গঠনের জন্য বর্তমানের বিশ্বে কত সব সুজোগ রয়েছে?  সবাই নিজের পছন্দমত যে কোনো একটি সুজোগকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলছেন নিজের সপ্নের ক্যারিয়ার। ঠিক তেমনি একটি ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ হল অনলাইন।

আজকাল বিভিন্ন কাজের জন্য  আমরা অনলাইন বা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করছি। শপিং, নিউজ চেক, সোসাইল মিডিয়া ব্রাউজিং, রেজাল্ট চেক, পড়াশোনা আরো কত কি? কিন্তু যদি বলি যে অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে টাকাও ইনকাম করা যায় তাহলে অনেকে আমার কথা বিশ্বাস করবেন? আরো যদি বলি ২০২৩-এ অনলাইন থেকে ইনকাম মোবাইল দিয়ে করা যায় তাহলে আমার কথাটি কতজন মানুষের কাছে সত্য মনে হবে সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।

আরো পড়ুন:

বর্তমানের ধোকাবাজি ও ফাঁদে ভরপুর অনলাইনে কোনো জিনিস অর্ডার দিলে তা সঠিক ভাবে পাওয়া যায়, যেখানে শুধু ফ্রড-লোকজন অপেক্ষায় থাকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য, সেই অনলাইন থেকে টাকা আয় করার কথা আজকাল মানুষের হজম হয় না। আর না হওয়াটাই স্বাভাবিক। 

অনলাইন ইনকাম বাংলাদেশ লিখে সার্চ করলে কত যে ফালতু ও ফেক ভিডিও আপনার সামনে আসবে তা বলা মুশকিল। আবার এর মাঝেও কার্যকারী ও রিয়েল কিছু কন্টেন্ট পেয়ে যাবেন যেগুলো আপনাকে অনলাইনে টাকা আয় করতে সাহায্য করবে।

আপনাদের মনে হতে, অনলাইনে ইনকামে উপায় না জানিয়ে এসব কথা কেন বলছি।  কারন আমি আপনাদের সামনে বাস্তবতা তুলে ধরে, রিয়েল ও কার্যকারী কন্টেন্ট ( ভিডিও বা ব্লগ পোস্ট) এর ওপর ভরসা করাতে চাচ্ছি।


আরো পড়ুন ঃ

অনলাইনে টাকা আয়ের apps  অনলাইনে টাকা আয়ের শেরা ৮ টি অ্যাপ। 

রিসেলার বিজনেস কি? কিভাবে রিসেলার বিজনেস শুরু করবেন? রিসেলার বিজনেস করে টাকা আয়?

অনলাইনে ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৩

এখন আপনি যানেন অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। আর সেই সাথে এটাও জানেন অনলাইন থেকে ইনকামের লোভ দেখায় এমন অনেক চক্র আপনার জন্য ফাঁদ নিয়ে বসে আছে। এদের চিনতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে কোনটি অনলাইন থেকে আয়ের সঠিক উপায়, কোনটা ফাঁদ, আর কোনটাতে গেলে সময় নষ্ট ছাড়া কিছু হবে না।

তাহলে কোন ধরনের ফাঁদ থেকে  বাচব? প্রথমত এমন সব ভিডিও থেকে যেগুলোতে দেখানো হয় মোবাইল এপস-এ এডে ক্লিক করে করে ইনকাম করা। এইসব কাজ আপনাকে কোনো প্রফিট দেবেন না শুধু আপনাকে কাজে লাগিয়ে এপস এর মালিক ও ইউটিউবারেরা ইনকাম করবে৷ আপনার কোনো ইনকাম হবে না।  যদিও কোনো ক্ষেত্রে হয়ে যায়, তাহলে মাসে ২০০ - ৩০০ টাকার বেশি হবেই না। অপরদিকে এপস কতৃপক্ষ ও ইউটিবার কিন্তু হাজার টাকা কামাবে।

আরো পড়ুনমাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়

এরকম আরো কিছু কাজ হল ... স্পিন করে হাজার টাকা ইনকাম, গেম খেলে ইনকাম, কোনো এপস এর মাধ্যমে নিউজ পরে ইনকাম, ইত্যাদি।

আরো পড়ুন: অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

বর্তমানে আরো একধরনের ভয়ংকর ফাদ হল ইনভেস্ট করে ইনকাম। এক্ষেত্রে প্রতারক একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে আপনাকে অফার করবে যে তাদের সাইটে ৬০০০ বা ৮০০০ টাকা ইনভেস্ট করলে, আপনার একটি প্রিমিয়াম একাউন্ট হয়ে যাবে। আপনাকে প্রতিদিন ৩টি বা ৫টি এড দেখতে বলা হবে যার ফলে আপনার দিনে ১ বা ১.৫ ডলার পরিমান টাকা আয় হবে।  এভাবে দুই মাস পরে আপনার ৬০০০ টাকার বিনিময়ে আপনাকে ১০০০০ টাকা দেয়া হবে।...... সাবধান হয়ে যান লোভে পড়েও এই ধরনের ফাদে পা দিবেন না।

এবার কিছু কাজের কথা বলি যেগুলোতে গেলে আপনার সময় ও টাকা দুটোই নিষ্ট হবে।  এই ধরনের কাজের মধ্যে জনপ্রিয়  হল অনালিন ট্রেডিং, অনলাইন বেটিং, লটারি,  অনলাইন গেম খেলে ইনকাম। আরো যে কত কি। আপনাকে এসব কাজ থেকে বাচতে হবে।


তাহলে অনলাইনে ইনকামের রিয়েল উপায় কোনগুলো?

অনলাইন থেকে ইনকামের রিয়েল পদ্ধতি হল এমন সব পদ্ধতি যার মাধ্যমে  আপনার কোনো ভালো ক্যারিয়ার গঠন করা যায়। সেই সব উপায় যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি স্থায়ী ভাবে ইনকাম করতে পারেন৷ এমন না যে আজকে আছে কালকে নাই।  এরকম কিছু কাজ নিয়েই সাজানো আজকের আমাদের পোস্ট।

আরো পড়ুন: লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট

মোবাইলের মাধ্যমে যে কাজগুলো করে  সত্যিই অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় সেগুলোকে আমি দুই ভাগে ভাগ করেছি প্রথমটি হল, মেগা জবস এবং দ্বিতীয়টি হল মাইক্রো জবস৷ মেগা জবস বলতে সেই সব কাজ যার মাধ্যমে আপনি একটা দির্ঘ সময় পর্যন্ত টাকা ইনকাম করে যাবেন।
আর মাইক্রো জবস হল সেই সব কাজ যেগুলো আপনাকে ওয়ান-টাইম প্রফিট দেবে। মানে যতদিন আপনি কাজ করবেন ততদিন আপনি কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।

এই পোস্টিটির প্রথমদিকে আমি মেগা জবস নিয়ে আলোচনা করব তারপরে ধাপে ধাপে মাইক্রো জবস এর আলোচনার দিকে যাব।

মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকামের লেজিট ( রিয়েল)  উপায় ২০২৩

বিশ্বস্ত উপায়ে মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে আগে সম্পূর্ণ পোস্ট টি শূরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। এর পরে অনলাইন থেকে ইনকামের উপায়গুলোর মধ্যে যেকোনো  একটিকে বাছাই করে কাজ শূরু করে দিন।

ফেসবুক থেকে অনলাইন ইনকাম

ফেসবুক বর্তমান বিশ্বের জনপ্রিয় সোশাইল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এই প্লাটফর্মকে কাজে অনেকেই নিজের প্রয়োজন মত কাজ করে নিচ্ছে। ফেসবুকে টাকা আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছে হাজারো তরুন। এই ফেসবুকের মাধ্যমেই জন্ম নিচ্ছে হাজারো উদ্দ্যোক্তার।

তাই চলুন আজকে জেনে নেই কিভাবে ফেসবুকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়?

আলোচনায় যাওয়ার আগে আমি আপনাকে মানসিকভাবে তৈরি হওয়ার অনুরোধ করছি। যাতে আপনার মনে এমন ভাবনা আসে যে, এই লেখাটি পরে আপনি সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। হয়তো এই লেখাটিই হতে পারে আপনার উদ্দ্যোক্তা হয়ার প্রথম অনুপ্রেরণা।

ফেসবুক থেকে অনেক উপায়ে টাকা আয় করা যায়,  কিন্তু এই পোস্টে আমি দুটি উপায় নিয়ে কথা বলব।

প্রথমত কন্টেন্ট বানিয়ে, নিজস্ব একটি পেজ তৈরি করে যে কোনো বিষয়ের ওপর কন্টেন্ট বানিনোর কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এন্টারটেইনিং, ফানি,  টেকনিকাল, ড্রামা,  রিভিউ ইত্যাদি যে কোনো বিষয়ের ওপর আপনি কন্টেন্ট বানাতে পারেন।

এভাবে আপনাকে ধৈর্য নিয়ে কাজ করে যেতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত না আপনার পেজে ২০০০০ লাইক হয়। তার পরে আপনি আপনার পেজের মোনিটাইজেশন অন করতে পারবেন এবং ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত, পেজে নিজস্ব কোনো পন্য বিক্রি করে।  এটি সত্যিই চমৎকার একটি ব্যবসা। আমার অনেক পরিচিতজন এভাবে দিনে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।

একাজের জন্য সর্বপ্রথম আপনার কাছে থাকতে হবে কোনো পন্য বা কোনো সার্ভিস যা সেল করে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এখন অনেকের কাছে মনে হতে সমস্যা হতে পারে আমার বিক্রি করার মত কোনো পন্য নেই আমি কি করব? এই সমস্যার সমাধানে আমি বলব আপনি কোনো পন্যে ওপর টাকা ইনভেস্ট করুন এবং সেই পন্যকে দিয়ে সাজান  আপনার ফেসবুক পেজ।

এরকম কিছু পন্যের আইডিয়া দিচ্ছি আপনাকে.. পাঞ্জাবি..  পাঞ্জাবি কিন্তু আমরা বিভিন্ন ফেসটিভালে কিনে থাকি..  ঈদে,  বিয়েতে, পূজোয়, শোক দিবসে, পহেলা বৈশাখে আরো বহু ফেসটিভালে পাঞ্জাবির প্রচলন রয়েছে।

আপনি যদি এই পন্যটির ওপর ইনভেস্ট করেন তাহলে প্রফিট ১০০%। আপনি যদি আলিবাবা বা কোনো ফেক্টরি থেকে ১০০ পিস ওর্ডার করেন যার প্রতিটির মুল্য ৪০০ টাকা। আর যদি  সর্বনিন্ম  ৬০০ টাকায়ও বিক্রি করেন তাহলে এই ১০০ পিস পাঞ্জাবিতে আপনার প্রফিট ২০০০০ টাকা। 

দেখলেন তো আপনার মোবাইল আপনাকে কতটা টাকা এনে দিল।
এখন কেউ বলবে ভাই আমার তো টাকা নেই যে ইনভেস্ট করব, আমি কি করব? 

আপনার টাকা নেই ঠিক আছে কোনো সমস্যা নেই আপনার মেধা ও অভিজ্ঞতা তো আছে।  আপনার মেধা ও আভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে।  আপনি যদি টাকা ইনভেস্ট করতে না পারেন তাহলে কোনো সার্ভিস সেল করুন। 

একটু পরিষ্কার করে বলছি... ধরুন আপনি ফোটোশপে খুব ভালো বা টাইপিং এ খুব ভালো তাহলে ফোটোশপ আর টাইপিং হয়ে গেল আপনার সার্ভিস।  আপনার পেজে একটি কোর্স লঞ্জ করুন। প্রথমে ফ্রি কোর্স এর মার্কেটিং করুন পরে যখন ট্রাফিক বেশি হবে তখন পেইড কোর্স চালু করে দিন। প্রথম দিকে সল্প-মুল্যে কোর্স চালু করুন যাতে কাস্টমার দামে সন্তুষ্ট হয় পরে ধিরে ধিরে দাম বাড়ান।

এই ধরনের সার্ভিস ও কোর্স বিক্রি যে কত প্রফিটেবল আপনাকে বোঝাতে পারব না। 

এখন প্রশ্ন হবে এখন সব বিষয়ে ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যায় তাহলে মানুষ কোর্স কিনবে কেন। ভাই কথা ঠিক কিন্তু সবাই ইউটিউব থেকে শিখতে পারে না। অনেকের গাইডের প্রয়োজন হয় প্রেশারের প্রয়োজন হয়,  টিউটরের প্রয়োজন হয়। তাই এখনও অনেকে কোর্স কিনতে আগ্রহি। 

এভাবে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ সেই বিষয়ে কোর্স সেল করেও ফেসবুক থেকে ভালো পরিমানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন এই কাজে আপনাকে প্রচুর ধৈর্যশীল হতে হবে তবেই সফলতার সাথে আপনি স্থায়িভাবে ইনকাম করতে পারবেন। মনে রাখবেন এটা আপনার মোবাইল এর টুক টুক এপস এর মত না যে পেমেন্ট দিবে কিনা এসব নিয়ে চিন্তা করতে হবে।  এই ফেসবুকই আপনাকে সারাজীবন ইনকাম এনে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।


২ ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম :

অনলাইন থেকে টাকা আয়ের উপায়গুলোর মধ্যে ইউটিউবিং সবচেয়ে জনপ্রিয়। আজকাল প্রায় প্রত্যেকটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এটা জানা যে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়।

প্রায় প্রত্যেকটি অনলাইন ইনকামের ভিডিও এবং আর্টিকেলে ইউটিউব থেকে ইনকামের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

তাহলে অতি পরিচিত প্লাটফর্ম ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য কি করতে হবে। এটা সহজ কথা যে ইউটিউব থেকে আয়ের জন্য প্রয়োজন একটি ইউটিউব চ্যানেল।

কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হয় এটা বিশ্বের যে কোনো সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এমনকি ইউটিউব দেখে শিখে নিতে পারেন।

এবার চলুন সামনে আগানো যাক। ইউটিউব চ্যানেল খুলার আগে কিছু প্রশ্ন মনে উদয় হয়। এরকম কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।

কোন বিষয়ের ওপর ইউটিউব চ্যানেল বানাবো?

আমার সাজেশন থাকবে এমন একটি বিষয় সিলেক্ট করুন যেটার মার্কেট value ও এড velue দুটোই আছে। যেমন ধরুন আপনি স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ রিভিও করার একটি চ্যানেল বানালেন। এক্ষেত্রে একটি বিষয় লক্ষ করুন যে, বর্তমান মার্কেটে কিন্তু স্মার্টফোন ও ল্যাপটপের কাস্টমার অনেক। তার মানে এই পণ্য দুটির মার্কেট ভেলু  আছে।

আপনার এই চ্যানেলে যদি কোনো পন্যের এফিলিয়েট লিংকও যুক্ত করে দেন তাহলে এফিলিয়েট সেল পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এই পণ্যের ওপর যত এড আপনার চ্যানেল দেখা হবে তার CPC  রেটও বেশভালো। তারমানে এটি একটি প্রফিটেবল বিষয় ইউটিবিং শুরু করার জন্য।

এবার যদি আপনি ভালো একটা এন্টারটেইনিং চ্যানেল শুরু করেন তাহলেও ভালো ইনকামের সুজোগ থাকে।  এ-ধরনের চ্যনেলে স্পন্সারশিপেএ মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা ইনকামের সুজোগ থাকে। 

মোট কথা এমন সব বিষয়ের ওপর চ্যানেল বানাবেন যার ওপর মানুষের আগ্রহ আছে, যা নিয়ে মানুষ সার্চ করে থাকে।  অনেকে শুরুতে ভ্লগিং করে ইউটিউব চ্যানেল শুরু করে। আরে ভাই আপনি কি তৈহিদ আফ্রিদি যে আপমার চ্যানেল ইউটিউবে সার্চ করে মানুষ আপনাকে দেখবে। আশা করি এমন ভুল করবেন না। 


ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করব?

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকামের বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে, তবে এদের মধ্যে জনপ্রিয় হল, এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং ও স্পন্সারশিপ। 

এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য কিছু শর্তাবলী দেয়া হয়েছে ইউটিউব কমিউনিটির পক্ষ থেকে। 

১ দশ হাজার সাবক্রাইবার
২ চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম

এই দুটি শর্ত পূরন করলেই আপনার ইউটিউব থেকে এডসেন্স দিয়ে ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

বাকি থাকল এফিলিয়েট মার্কেটিং ও স্পন্সারশিপ। এই দুটি মেথডের ওপর কোনো শর্তাবলি নেই আপনি যখন ইচ্ছা এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। কিন্তু সম্পুর্ন বিষয়টি নির্ভর করে আপনার অডিয়েন্স এর ওপর। ভালো অডিয়েন্স না থাকলে কেউ আপনার চ্যানেলে স্পন্সার করবে না।

 

ইউটিউব থেকে টাকা কিভাব পাবেন?

প্রথমত গুগল এডসেন্স একাউন্টের সাথে আপনার ব্যাংক একাউন্ট এড করতে হবে।  তার পরে এডসেন্স একাউন্টে ১০০ ডলার + হলেই প্রতি মাসের ২২ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে এডসেন্স আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে।


৩ দারাজের মাধ্যমে টাকা ইনকাম।

দারজ দেশের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট। প্রিতিদিন হাজারো কাস্টমার তাদের প্রয়োজনীয় পন্য কেনার জন্য দারাজে ভিড় করছেন। আপনাকেও এই সুজোগটিকে কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু কিভাবে?

কিভাবে দারাজ থেকে টাকা ইনকাম করা যায়?

দারাজ থেকে ইনকাম করার কোনো আলাদা করে অপশন দেয়া নাই কিন্তু দারাজের সাথে বিজনেস করার একট দারুন সুজোগ রয়েছে।
এই সুজোগকে কাজে লাগিয়েই টাকা আয়ের ব্যাবস্থা করা যায়।

প্রথম আপনাকে দারাজে একটি সেলার একাউন্ট খুলতে হবে। দারাজে কিভাবে সেলার একাউন্ট খুলে ইনকাম করা যায় এই নিয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন।

 

সেলার একাউন্ট খুলে নিলাম এবার কি করব?

এবার আপনাকে একটি পন্য বাছাই করে নিতে হবে যা সেল করে আপনি ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি ঢাকার বাইরে থাকেন তাহলে আপনার এলাকায় সহজে ও সল্পমূল্যে  পাওয়া যায় এমন একটি পন্য সিলেক্ট করুন। 

যেমন ধরুন আপনার এলাকায় মধু খুব কম দামে পাওয়া যায় ( শহরের বাইরে মধুর দাম সচরাচর কম থাকে ) তাহলে আপনি মধু সিলেক্ট করতে পারেন। দারাজে মধুর দাম সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা প্রতি কেজি থেকে শুরু। আর  আমার এলাকায় পাইকারিতে মধুর দাম সর্বোচ্চ ৩৫০ থেকে ৪৩০ তাহলে লাভটা বুঝতে পারছেন। আপনাকে দারাজে শুধু ৬০০ টাকাতেই মধু সেল করতে হবে এমনটা নয়, আপনি চাইলে ৮০০ টাকাও বিক্রি করতে পারেন।

পন্য হিসেবে আপনাকে মধুই সিলেক্ট করতে এমনটা নয়। হজারো পন্য রয়েছে, যে কোনো একটিকে সিলেক্ট করে বিজনেস শুরু করতে পারেন।

আপনাকে কিছু ইউনিক প্রোডাক্টের নাম বলি যেগুলো আপনাকে বিজনেস শুরু করতে সাহায্য করবে যেমন : পেট বা পোষা প্রানি এর চাহিদা যে কত মার্কেটে না নামলে বুঝবেন না। পোষা বিড়াল, পোষা পাখি, টিয়া,  কবুতর, খরগস,  পোষা ককুর সহ আরো অনেক।

আবার পোশাক-আশাক এর কথা তো বাদ দেয়ার মত না। পেন্ট, শার্ট,  টি- শার্ট, মেয়েদের বিভিন্ন ড্রেস এগুলো চাহিদা দারাজে সবসময় বেশি।

কম্পিউটারের বিভিন্ন পার্টস, বাইকের বিভিন্ন পার্টস,  মোবাইলের পার্টস এসব পন্যের পায়কারি মূল্য থেকে বিক্রি মুল্য অনেক বেশি তাই এসব পন্যে লাভও বেশি হয়।

এসব পন্যের মধ্যে যে কোনো একটিকে বেছে নিয়ে সাজিয়ে কিছু টাকা ইনভেস্ট করে সাজিয়ে ফেলুন আপনার দারাজ শপ।

এবার কেউ বলবে ভাই আমি তো টাকা ইনভেস্ট করার ক্ষমতা রাখি না।  তাহলে এই লাইফটাইম ইনকামের অপশনটি আপনার জন্য কাজে দেবে না।  পরবর্তি টপিকস টি হয়ত আপনাকে সাহায্য করবে।


৪ ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়।  ব্লগ থেকে টাকা আয়।

অনলাইন থেকে ফ্রিতে, কোনো প্রকার টাকা ইনভেস্ট ছাড়া,  লাইফটাইম ইনকাম করার সর্বোত্তম মাধ্যম হল একটি ওয়েবসাইট।

যে কোনো বিষয়ের ওপর একটি ওয়েবসাইট বানানো যায় যেমন : নিউজ,  ব্লগ,  এন্টারটেইনমেন্ট, ফোটো ডাউনলোডিং, এপস ডাউনলোডিং,  ইত্যাদি। আপনি যে কোনো বিষয়ের ওপর নিজের পছন্দমত একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিয়ে পারেন।

ওয়েবসাইট বানিয়ে টাকা আয় করব কিভাবে?

ওয়েবসাইট দুই ভাবে বনাবো যায় প্রথমত ফ্রিতে ব্লগার ডট কম এর মাধ্যমে দ্বিতীয়ত টাকা দিয়ে পেইড ডোমেইন-হোস্টিং কিনে।
ডোমেইন-হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেস বা জুমলার মাধম্যে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে টাকা আয় করা যায়।

এখন একটি ভালোমানের ওয়েবসাইট বানানোর জন্য কিন্তু ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের প্রয়োজন হবে।
এবার যাদের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ নেই তারা কি করবে।  সমাধান হল তারা মোবাইল দিয়ে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট বানাতে পারে খুব সহজেই। 


ব্লগ ওয়েবসাইট কি? ব্লগ থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

সহজ কথায় ব্লগ হল এক ধরনের ওয়েবসাইট৷ ব্লগ ওয়েবসাইটকে অনেকে অনলাইন ডায়েরি বলে থাকে। আপনি এখন যেই ওয়েবসাইট এ আছেন সেটাও একটি ব্লগ। ব্লগার ডট কম এর মাধ্যমে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট বানানো খুবই সহজ যেটা মোবাইল দিয়েই করা সম্ভব।

 

ব্লগে কাজ কি করতে হবে?

ব্লগ পোস্ট লিখতে হবে। আপনি ফেসবুকে যে ভাবে পোস্ট লিখেন সেভাবেই ব্লগারে ব্লগ পোস্ট লিখতে হবে। কিন্তু এখানে আপনার লাইফস্টাইল নিয়ে লিখলে কোনো কাজ হবে না। মনে রাখবেন একটি ব্লগ হল আপনার সব প্রতিভার দর্পন ( আয়না)।
আপনাকে এখানে সেই বিষয়ে লিখিতে হবে যে বিষয়ে আপনার ভালো জ্ঞান বা ধারণা আছে এবং সেই সাথে বিষয়টি যেন মানুষ গুগলে সার্চ করে।

ধরুন আপনি ভালো গিটার বাজাতে পারেন এখন আপনি যদি এই বিষয়ের ওপর একটি ব্লগ বানান তাহলে আপনার পোস্ট লিখতে সুবিধা হবে কেননা  বিষয়টির সব কিছু আপনার জানা। অপরদিকে মানুষ গুগলে সার্চ করছে  "How to play guitar" অথবা "কিভাবে গিটার বাজাতে হয়" ।  আশা করি বোঝাতে পেরেছি।


ব্লগ থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করব?

আপনার ব্লগ যখন পাঠক বা ভিজিটর আসতে শুরু করবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারেন। এডসেন্স এপ্রুভাল পেয়ে গেলে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

এখন ওয়েবসাইট বানানো থেকে এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে যেই  সময়টা আপনাকে ধৈর্য নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। এই বিষয়ে আরো তথ্য পেতে আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন।


৫ রিসেলিং করে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম।

মোবাইল দিয়ে খুব কম পরিশ্রমে কোনো টাকা খরচ না করে টাকা ইনকাম করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল প্রোডাক্ট রিসেলিং। এ কাজের জন্য আপনার কোনো বিষেশ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। সহজেই যে কেউ প্রোডাক্ট রিসেলিং করে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারে।


রিসেলিং কি? এখানে কি কাজ করতে হয়?

রিসেলিং,  ইংরেজি শব্দটি শুনেই বোঝা যাচ্ছে এর অর্থ কি হতে পারে। রি-এর অর্থ পুনরায় বা আবার, সেলিং-এর  অর্থ সেল করা বা বিক্রি করা।  আর্থাৎ কোনো পন্যকে পুনরায় বা দ্বিতীয় বার বিক্রি করা। 

রিসেলিং এ আপনার মুল কাজ হল পন্য বিক্রি করা। এখন কারো মনে হতে পারে আমার কাছে তো কোনো টাকা নাই আমি কিভাবে কোনো পন্য কিনব আর সেটা বিক্রি করব।

আমি আগেই বলেছি এখানে কোনো টাকা আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে না। আপনি যে কোম্পানির পন্য রিসেলিং করবেন সেই কোম্পানিই আপনাকে একটি অনলাইন শপ দেবে যা থেকে আপনি  নিজের পন্য কাস্টমারের কাছে বিক্রি করতে পারেন।  সেই কোম্পানির সব পন্যই আপনি নিজের দোকানে এড করতে পারবেন। অর্থাৎ কোম্পানি আপনাকে পন্য দেবে আপনাকে তা বিক্রি করতে হবে। 


প্রশ্ন হবে, আমি কাস্টমারকে  পন্য ডেলিভারি করব কিভাবে?

সিম্পল উত্তর আপনাকে কিছুই করতে হবে না পন্য ডেলিভারি টাকা নেয়া সব কাজ কোম্পানি করবে এ নিয়ে আপনাকে কোনো চিন্তা করতে হবে না


প্রশ্ন হবে,  আমি কাস্টমার পাব কোথায়?

সোশাইল মিডিয়াতে ।  আপনি যে পন্যটি আপনার অনলাইন শপে এড করবেন Same পন্য আপনাকে ফেসবুকে শেয়ার করতে হবে..  পেজে, বিভিন্ন Buy-sell গ্রুপে, আপনার প্রোফাইলে, টুইটারে...বিভিন্ন প্লাটফর্মে।
এভাবে অনেক সেল পাওয়া যায়।  আমি নিজেও একসময় রিসেলিং করতাম এবং এই টেকনিক গুলো ফলো করতাম।

প্রোডাক্টের ভালো সেল পেতে ও বিভিন্ন ঝামেলা এড়াতে অনেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট বানিয়ে নেয়, আপনার সামর্থ থাকলে আপনিও একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন।


কিভাবে রিসেলিং করে টাকা ইনকাম করব।

এখন আসা যাক মুল আলোচনায় টাকা কিভাবে পাওয়া যাবে।  কোম্পানি আপনাকে কোনো পন্য সেল করতে দিলে সেই পন্যের একটি নিদ্রিষ্ট মুল্য ধরে দেবে। এই মুল্যের বেশি আপনি যত টাকা সেল করতে পারেন সব আপনর।

ধরুন একটি সার্ট আপনি পছন্দ করলেন,  আপনার মনে হল এটা কাস্টমার বেশি পছন্দ করবে।  আপনি শার্টটি আপনার শপে এড করলেন, কোম্পানি আপনাকে বলল এর মুল্য ৩০০ টাকা এর বেশি আপনি যত সেল করতে পারবেন পুরো টাকাটাই আপনার। আপনি যদি শার্টটি ৫০০  টাকায় সেল করেন তাহলে আপনার লাভ ২০০ টাকা। এভাবেই আপনি রিসেলিং করে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন। 


কোন কোম্পানিকে রিসেলিং এর জন্য বেছে নেব?

বাংলাদেশে রিসেলিং বিজনেস করে এমন কোম্পানির সংখ্যা অনেক। যে কোনো একটাকে বেছে নিয়ে কাজ শুরু করলেই হল। আমি সর্বপ্রথম ShopUp reseller এ জয়েন করেছিলাম আপনিও চাইলে ShopUp reseller  দিয়ে শুরু করতে পারেন। তাছাড়া
আরো কিছু রিসেলিং প্লাটফর্ম হক,  রিসেলার হাব( Reseller hub),  বিবাজার( Bbazar),  রিসেলার অনলি( Reseller Only)  ইত্যাদি।


কিছু কথা : 

উপরে অনলাইনে ইনকামের যে সব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সবগুলোই ট্রাস্ট্রড ( বিশ্বস্ত) পদ্ধতি এবং সব চেয়ে বড় কথা প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনি মোবাইল দিয়ে কাজ করে ইনকাম করবেন।

এসব কাজ বড় বড় কাজ। এগুলো শুধু কাজ নয় বরং একটা সুজোগ যাকে কাজে লাগিয়ে লাইফটাইম ইনকামের একটা ব্যবস্থা করা যায়। তাই আমি আশা করি আপনার জন্য এগুলোর মধ্যে কোনো একটি উপায় কাজ করে যাবে। 

এবার আলোচনা করব এমন সব কাজ নিয়ে যেসব কাজ করে আপনি ইন্সটেন্ট কিছু টাকা আয় করতে পারেন।  আমি আগেই এগুলোকে  মাইক্রো জবস নামে পরিচিত করিয়ে দিয়েছি।


১ সার্ভে করে টাকা আয় 

অনলাইন থেমে ইনস্টেন্ট টাকা আয়ের অন্যতম আলোচিত মাধ্যম হল সার্ভে করে টাকা ইনকাম। অনলাইনে ইনকাম করার উপায় নিয়ে যারা একটু হলেও ইন্টারনেটে খোজ করেছে, তাদের সামনে সার্ভে করে টাকা আয় করার উপায় একবার হলেও চোখে পরেছে। 


কিভাবে সার্ভে করে টাকা আয় করা যায়? 


সার্ভে করে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম একটি সার্ভে সাইটে একাউন্ট বানিয়ে নিতে হবে। একাউন্ট তৈরি করা খুবই সহজ এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি ই-মেইল এড্রেস,  নাম ও  পাসওয়ার্ড এই আর কি। 

একাউন্ট করার পরে আপনাকে বিভিন্ন সার্ভে করে টাকা আয় করতে হবে। বেশির ভাগ সার্ভে প্রশ্ন-উত্তর সার্ভে হয়ে থাকে।  আপনাকে শুধু বুদ্ধি খাটিয়ে সার্ভে কমপ্লিট করতে হবে। প্রতিদিন ১ থেকে ২ ঘন্টা ভালোমত কাজ করলে ডেইলি ২ - ৫ ডলার পরিমান টাকা ইনকাম করা অসম্ভব নয়। 

সবই তো হল এবার কোন সাইটে সার্ভে করবেন 

তা যেনে নিন। অনলাইনে ট্রাস্টের সার্ভে সাইট রয়েছে অনেক,এর মধ্যে যে কোনো একটিকে সিলেক্ট করলেই হল।  তবুও আমি দুটি সাইটের নাম বলে দিচ্ছি। 

১  Swagbucks

২  ysence 

এই দুটি সাইটে কাজ করতে পারেন সার্ভে করে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করার জন্য। 


২ রেফারেল সিস্টেম ব্যবহার করে অনলাইনে ইনকাম।

কাউকে রেফার করে অনলাইন থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায় খুব সহজে। এ কাজের জন্যও কোনো বিষেশ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। খুব সহজে মোবাইল ব্যবহার করে বিনা ইনভেস্টে টাকা আয়ের জন্য এর বিকল্প উপায় খুজে পাওয়া মুশকিল।


কিভাবে রেফার করে টাকা আয় করা যায়?

খুব সহজ, প্রথমে আপনাকে একটি এপস বা ওয়েবসাইট অথবা কোনো প্লাটফর্ম সিলেক্ট করে যার রেফার আপনি আপনার বন্ধুদের কাছে করবেন। 

ধরে নিলাম আপনি টিকটক এর রেফার করার জন্য মনস্থির করেছেন।এবার টিকটক একটি রেফারেল লিংক দেবে সেই লিংকের মাধ্যমে আপনার কোনো বন্ধু যদি টিকটকে জয়েন করে তাহলে টিকটক আপনাকে কিছু টাকা দেবে। 

এভাবেই ইনকাম করতে হয় রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে৷ এবার মনে হতে পারে রেফার করার জন্য এপস পাব কিভাবে? 

এই কাজটিও খুব সহজ আপনাকে শুধু একটি আপডেটেড থাকতে হবে। যখনই কোনো নতুন এপস মার্কেটে আসবে তাদের রেফারেল প্রোগ্রামে জয়েন করে সুজোগটিকে কাজে লাগাতে হবে। 


রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে বেশ ভালো অংকের টাকা আয় করা যায় যার প্রমান আমি নিজে।  যখন বিকাস এপস নতুন বাজারে আসল তখন আমার পরিচিত অনেকে শুধু রেফার করে হাজার হাজার টাকা লুটে নিয়েছে। 

এখনো বাজারে অনেক এপস রয়েছে যেগুলো রেফারেল প্রোগ্রাম ব্যবহার করে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। যেমন : রিং এইডি, টিকটক, উপায় এপস, স্নেক ভিডিও সহ  আরো বহু এপস রয়েছে যা আপনার মাসের হাতখরচ পর্যন্ত এনে দিতে সক্ষম।

রেফারেল প্রোগ্রাম ব্যবহার করে টাকা আয়ের কার্যকারী সব উপায় ও টিপস পেতে আপদের এসব পোস্ট পড়তে পারেন।


৩ কেপচা টাইপ করে অনলাইনে আয় করব কিভাবে?

কেপচা টাইপ করে ইন্টারনেট থেকে আয়ের ব্যাপারে জানে না এরকম লোকের সংখ্যা মনে হয় খুবই কম। বর্তমানের সফল ফ্রিল্যান্সারাও একসয় একাজ করেছে। 


এখনো কেপচা টাইপ করে অনলাইন থেকে ইনকাম  করা যায়।  যদিও খুব পরিমানে বেশি না কিন্তু ভালোমত কাজ করলে দেখা যায় দিনে ২-৩ ডলার আয় হয়েই যায়।


  2captcha bot 

  CyberAIO

  Captcha typing work 


এই কয়েকটি হল জনপ্রিয় এপস যেগুলো কেপটা টাইপ করার বিনময়ে আপনাকে টাকা পে করে থাকে।


৪ বাংলা লিখে টাকা আয় 

বাংলা আর্টকেলের মুল্য দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।  যখন থেকে গুগল বাংলা ব্লগের জন্য এডসেন্স এপ্রুভাল দেয়া শুরু করেছে তখন থেকে বাংলা ব্লগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।


কিভাবে বাংলা লিখে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়?

বিভিন্ন ব্লগ ও ফোরামের কতৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট লিখে নেয়ার জন্য লেখক হায়ার করে থাকে।  চাইলে আপনিও এভাবে নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারেন আর সেইসাথে কামিয়ে নিতে পারেন কিছু টাকাও। 

বাংলা কন্টেন্ট লিখার জন্য বিকাশে পেমেন্ট করে এমন একটি অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে আমি তারমধ্য থেকে কয়েকটি তুলে ধরছি 


  ১ টেকটিউনস

  ২ জে-আইটি

  ৩ প্রতিবর্তন 

এই কয়েকটি ব্লগ ওয়েবসাইটে বাংলা আর্টিকেল লিখে আপনি ভালো টাকা আয় কর‍তে পারবেন আশা করি।


৫ বিভিন্ন মোবাইল এপস-এ ভিডিও এবং এড দেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম

উপরে অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের ব্যাপারে যতগুলো উপায় নিয়ে লিখেছি সেগুলোর মধ্যে একটিও যদি আপনার জন্য উপযুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আপনি এই পদ্ধতিটি পছন্দ করবেন।


মোবাইল এপস দিয়ে টাকা আয় করা সবার মাঝে জনপ্রিয় একটি উপায়। যেটাকে আমি সব থেকে কম সাজেস্ট করে থাকি সেটাই হল এই পদ্ধতি।  টাকা ইনকাম করার জন্য মোবাইল এপস-এ ভিডিও দেখা বা এড দেখা এটা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ না। এসব শুধুই সময় নষ্ট।  তার পরও এমন কিছু এপস রয়েছে যেগুলো থেকে সত্যি টাকা আয় করা যায়। আমি সেরকমই কিছু এপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।


টাকা ইনকাম করার apps সমূহ

 ১ Clipclaps reward 

 ২ Wowapp 

 ৩ Earn cash reward 

 ৪ Toloka

 ৫ Swagbucks

 ৬ bituro 

এসব এপস মোটামোটি ভালো সার্ভিস দেয় এবং টাকা পেমেন্টও করে আপনি যে কোনো একটিকে বেছে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন ঃ

অনলাইনে টাকা আয়ের apps  অনলাইনে টাকা আয়ের শেরা ৮ টি অ্যাপ।

রিসেলার ব্যাবসা শুরুর সম্পুর্ন গাইডলাইন। কিভাবে ShopUp-এ রিসেলার ব্যাবসা করবেন। Shop Up -এ রিসেলিং করে টাকা আয়

মোবাইলে নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম? কিভাবে নগদ একাউন্ট খুলতে হয়।

 

পরশেষে বলা যায় 

এই ছিল আমার পক্ষ থেকে ১০ টি বিশ্বস্ত মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকামের উপায়। আমি আপনাদের সর্বোচ্চ ভালোর কথা চিন্তা করে, লাইফটাইম ইনকামের কথা ভেবে এসব উপায় শেয়ার করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। 

আমি চাই আপনারা যেন অনলাইনে ইনকাম করতে এসে কোনো ফাঁদে পরে না যান। সর্বদা চাইব যেন আপনি সফলভাবে অনলাইন থাকে ইনকাম কর‍তে পারেন। আপনার অনলাইন যাত্রা শুভ হোক এই কামনাই রইল।

Next Post Previous Post