অনলাইনে টাকা আয়ের apps ( অনলাইনে টাকা আয়ের শেরা ৮ টি অ্যাপ )


শেরা টাকা আয়ের অ্যাপ
best money making in Bangladesh

টাকা আয়ের apps 2021.  

সত্যি কথা বলতে এই পোস্টটি লিখতে আমাকে যতটুকু রিসার্চ করতে হয়েছে তেমন রিসার্চ আমি খুব কম পোস্ট লিখার ক্ষেত্রে করেছি। 

যেখানে সামান্য কোনো সমস্যার সমাধান দেয়ার ক্ষেত্রে আমি আমার পাঠকদের শেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি, সেখানে যখন ব্যাপারটা টাকা আয়ের তখন কিভাবে আমি পাঠকদের সাথে টাকা আয়ের কোনো ফেক এপস শেয়ার  করব।  এই চিন্তাই আমাকে রিসার্চের সাগরে ফেলে দেয়। 

আরো পড়ুন:

অনলাইনে ইনকামের এপস

অনলাইনে টাকা আয়ের এপস ( টাকা আয়ের apps ) লিখে যারাই সার্চ করেছেন সকলে একটি আশাবাদী মন নিয়ে বসে আছেন, যে কিভাবে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করা যায়। আমি কখনই আপনাদের সাথে এমন কোনো apps শেয়ার করব না যা আপনার আশাবাদী মনকে ভেঙে দিবে। 

অনলাইন থেকে ইনকামের বিষয়ে যে কোনো ধরনের পরামর্শ দিতে গিয়ে আমি এটাই বলি যে, আপনারা অনলানের এমন সব উপায়ের পিছনে পরিশ্রম করুন যা থেকে আপনি লাইফটাইম প্রফিট পেতে থাকবেন। এমন সব উপায়কে বর্জন করুন যা আপনাকে ইন্সটেন্ট কিছু কাজ করার বিনিময়ে সামান্য কিছু টাকা দেবে। 

অনলাইন থেকে লাইফ টাইম ইনকাম কিভাবে করবেন, সেই বিষয়ে আলোচনা পূর্বের অনেক পোস্টে করা হয়েছে। 


অনলাইনে টাকা ইনকামের apps, 

বর্তমানে গুগল প্লে-স্টোর সহ বিভিন্ন এপস স্টোরে হাজারে হাজারে পাওয়া যাচ্ছে।কিন্তু কোনটা আসলে পেমেন্ট করে আর কোনটা করে না সেটা জানাই বড় বিষয়। ঠিক সেই বিষয়টি জানার জন্যই আমি ঘন্টার পর ঘন্টা ইন্টারনেটে খোজ করি এবং অবশেষে কিছু হাতেগোনা এপস খুজে পাই যেগুলোর মাধ্যমে সত্যিই অনলাইন থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যাবে।


কোন কোন কাজ করে মোবাইল এপস দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়?

আমি রিসার্চ করার ফলে যেসব এপসকে ট্রাস্টেড বা বিশ্বস্ত হিসেবে পেয়েছি, সেগুলোর অধিকাংশেরই কাজের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে। অধিকাংশ apps-এই কাজের ধরন একই, তবে কিছু এপস-এ সেটা একেবারে ভিন্ন। 

আরো পড়ুন: অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

সেজন্য টাকা আয়ের এপসগুলোকে আমি দুটি অংশে আলোচোনা করব। প্রথম অংশে যে এপস গুলো শেয়ার করব সেগুলোতে বড় বড় কাজ( সার্ভে করা,  প্রোডাক্ট রিসেলিং, ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং ও ট্রেডিং)করে বেশি বেশি টাকা আয় করা যায়। 

দ্বিতীয় অংশে আমি এমন কিছু এপস শেয়ার করব যেগুলোতে ছোট ছোট কাজ করে তুলনামূলক কম টাকা আয় করা যায়। চলুন প্রথম অংশের আলোচনা শুরু করা যাক।


টাকা ইনকামের apps 

এই অংশে টাকা আয়ের বিশ্বস্ত সব অ্যাপ এর তালিকা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হল। 

১ ShopUp reseller 

ShopUp reseller  বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও শেরা রিসেলিং প্লাটফর্ম। শপআপের এন্ড্রয়েড এপস হল ShopUp reseller এপস।  ফ্রিতে অনলাইনে ইনকামের apps যারা খুজতেছেন তাদের জন্য এই এপসের থেকে ভালো এপস পাওয়া সত্যিই মশকিল। 

এই এপস এর মাধ্যমে টাকা আয়ের প্রধান মাধ্যম হল ShopUp কোম্পানির পন্য রিসেলিং করা। এখানে আপনাকে বেশি কিছুই করতে হবে না,  কোম্পানি থেকে পন্য দেবে এবং ডেলিভারও করবে কোম্পানি।  আপনাকে শুধু নিজের পছন্দমত পন্য বেছে নিয়ে সেই পন্যকে সেল করতে হবে।  

ShopUp থেকে কিভাবে মাসে হাজার-হাজার টাকা আয় করা যায়? কিভাবে ShopUp-এ সেল বাড়ানো যায়? এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আপনার জন্য অন্য একটি পোস্টের প্রয়োজন হবে তাই আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়তে পারেন।

আরো পড়ুন: লেখালেখি করে আয় করার ওয়েবসাইট

 


২ YouTube

এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য ইউটিউব কতৃপক্ষের কিছু শর্ত আছে। যেমন : চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম ও ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। 

এখন অনেকের মনে হতে পারে, আমি খুব সহজেই সব কিছু বলে দিলাম কিন্তু মোবাইল দিয়ে কোন ভিডিও বাবাবো এটাই তো সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ।  

আমি কিছু বিষয়ের কথা বলছি যেগুলোর ভিডিও আপনি মোবাইলেই বানাতে পারবেন।

১ ছবি দিয়ে ডকুমেন্টারি ভিডিও বানাতে  পারেন।

২ বিভিন্ন ট্রেন্ডিং নিউজ বা বিষয়ের ওপর  ভিডিও

বানাতে পারেন

৩ খেলাধুলার ওপর বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন।  

৪ বিভিন্ন লিস্টিং ভিডিও বানাতে পারেন। যেমন : ইতিহাসের শেরা ৫ টি মুভির নাম,  শেরা ৫ টি রোমাঞ্চকর বইয়ের নাম। ইত্যাদি। 


👉টিকটক আইডি খুলে টাকা ইনকাম👈


উপরের বিষয়গুলোর যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন অথবা আরো কিছু বিষয় নিজে সার্চ করে নিতে পারেন আপনার নতুন ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার জন্য।  

ধৈর্য নিয়ে পরিশ্রম করতে থাকলে একসময় ইউটিউব থেকে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা খুব কঠিন না। 


৩ ySense apps

সার্ভে করে টাকা আয়ের কথা তো অনেক শুনেছেন।  এই এপসটি থেকেও সার্ভে করে মাসে হাজার টাকা আয় যায়। সার্ভে ওয়ার্ল্ডের বিখ্যাত কোম্পানি হল ySense, এই ySense কোম্পানিরই এন্ড্রয়েড এপস হল এটি।  গুগল প্লে-স্টোরে সহজেই পেয়ে যাবে apps টি। 

প্রথমে আপনাকে এপস এ একাউন্ট করতে হবে। সার্ভে কোম্পানিতে একাউন্ট করতে নাম ও ইমেইল এড্রেস ছাড়া কিছু লাগে না।তারপরে এপস-এ আরোকিছু তথ্য দিয়ে একটি সার্ভে একাউন্ট করে নিতে হবে।  সার্ভে একাউন্ট করতে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবে। এগুলোর উত্তর ঠিকভাবে দিলে আপনি সার্ভে করার জন্য প্রস্তুত। 


৪ Swagbuck 

Swagbuck একটি ট্রাস্টেড, জনপ্রিয় ও পুরোনো সার্ভে প্রোভাইডিং কোম্পানি। অনেক আগে থেকেই মানুষ এই কোম্পানির ওয়েবসাইটে সার্ভে করে টাকা আয় করে আসছেন।  Swagbuck - ও তাদের ওয়ার্কারদের দির্ঘ সময় ধরে বিশ্বস্ততার সাথে পেমেন্ট  করে যাচ্ছে।

সার্ভে করে টাকা আয়ের জন্য Swagbuck একটি অসাধারণ এপস বলে আমি মনে করি তাই শেয়ার করলাম। এই এপস এ কাজের পরিমান ও টাকা আয়ের পরিমান অন্যন্য এপস এর তুলনায় একটু বেশি। ২০ - ৩০ মিনিটের সার্ভে করার জন্য এরা প্রায় ২ থেকে ৫ ডলার অফার করে থাকে এবং এমন কাজের সংখ্যা প্রচুর।

তো এই এপস-এ কাজ করার জন্য সর্ব প্রথম আপনাকে এপস ইন্সটল করে নিতে হবে। এপস এর নাম দিয়ে এক সার্চে  পাওয়া যাবে গুগল প্লে-স্টোরে। 

এপস একাউন্ট করা আগেই বলেছি খুবি সোজা। কিন্তু সার্ভে একাউন্টা করা একটু ঝামেলার। কেননা এসব কোম্পানি কোনো বাঙালীকে এপ্রুভ করে না। এক্ষেত্রে আপনি VPN বা IP কিনে সেটা ব্যবহার করে কাজ করতে পারেন।  

VPN বা IP ডিভাইসে কানেন্ট করে fake name ও address প্রোভাইড করে এমন যে কোনো ওয়েব সাইট থেকে একজনের বিদেশির ফেক তথ্য নিয়ে সহজেই আপনার সার্ভে একাউন্ট এপ্রুভ করে নিতে পারবেন। এভাবে অনেকেই কাজ করে টাকা আয় করছে। 

কিন্তু আমার পক্ষ থেকে এধরনের কাজ না করারই পরামর্শ পাবেন আপনি।  তবুও আপনি যদি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে এভাবেই কাজ করবেন তবে আপনি সামানে আগাতে পারেন কানো সমস্যা হবে না আশা করি।


৫ Ring ID

বাংলাদেশের শেরা এপসগুলোর তালিকার মধ্যে একটি হল Ring ID এপস। এটি মুলত একটি শোসাইল নেটওয়ার্কিং ও কন্টেন্ট শেয়ারিং এপস।  এই এপস এ কাজ করেও বেশ ভালো পরিমাণের টাকা আয় করা যায়। 

Ring ID এপস-এ আপনার মুল কাজ হল রেফার করা ও লাইভ করা।  রেফার ও লাইভ করার ফলে আপনি পাবেন গোল্ড কয়েন।  একটি রেফারের বিনিময়ে আপনি প্রায় ৪০ টাকার মত পেয়ে যাবেন। আর যে কোনো বিষয়ে লাইভ ভিডিও করলে আপনি গোল্ড কয়েন গিফট পাবেন। এভাবে মুলত Ring ID থেকে টাকা উপার্জন করা যায়। 

তবে এখানেই শেষ নয়, Ring ID  কতৃপক্ষ  Community Jobs নামে একটি নতুন সেবা চালু করেছে যেখানে আপনি কিছু টাকা খরচ করে মেম্বারশিপ কিনে দৈনিক ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। 

আপনার জন্য ৩ টি মেম্বারশিপের অফার রাখা হয়েছে, সিলভার,বেসিক ও গোল্ড। যাদের মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০০ টাকা,  ১০০০০ টাকা ও ১৮০০০ টাকা। আপনি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন।  আর যদি টাকা ইনভেস্ট করতে অনিচ্ছুক হন তাহলে আপনি ফ্রিতেও ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন যদি ভালো মত কাজ করেন।

উপরে যে ৫ টি এপস নিয়ে কথা বললাম সেগুলোর প্রত্যেকটি বিশ্বস্ত এপস। এবার দ্বিতীয় অংশে আমি যেসব এপস শেয়ার করব সেগুলো থেকে ছোটো ছোটো কিছু কাজ করে ইন্সটেন্ট কিছু টাকা আয় করতে পারবেন।


৬.  2Chaptcha Bot

Captcha টাইপ করে টাকা আয় করার জন্য এই এপসটি একটি জনপ্রিয় এপস। মোবাইল ফোন দিয়ে ক্যাপচা সলভ করে টাকা আয়ের ( টাকা আয়ের apps )  জন্য এই এপ্লিকেশনটি শেরা। 

ব্যাক্তিগত তথ্যাদি দিয়ে এপস এ রেজিস্টার করে নিতে হবে। কাজের বিনিময়ে আয় করা ডলার পেপাল, ব্যাংক একাউন্ট, গিফটকার্ড অথবা মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে হাতে পেয়ে যাবেন।


৭.   ClipClaps 

মাইক্রো জবস কম্পলিট করে টাকা ইনকামের জন্য বিখ্যাত এপস হল CipClaps এপ। এপ এ রেজিষ্ট্রেশন করার পরে কাজ শুরু করতে হবে। 

এড দেখে,  ভিডিও দেখে, সার্ভে করে, গেম খেলে,  ভিডিও শেয়ার ও রেফার করা সহ অনেক উপায়ে ClipClaps থেকে টাকা আয় করা যায়। 


৮ Earn Cash Reward 

সকলের কাছে বিশ্বস্ত এই এপ্স টি কোনো ঝামেলা ছাড়াই টাকা পে করে আসছে বহুদিন ধরে। ইউজার- ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস ও সহজ কাজ অফারের জন্য সকলের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে এপটি।

এই এপ্লিকেশনে কাজ মুলত গেম খেলা, গান শোনা, কিছু টাস্ক ইইন্সটল করা ও রেডিও শোনা। আবার ফোনের স্ক্রিন লকে এই এপস ব্যবহারের বিনিময়ে কিছু টাকা পে করে থাকে৷ 

আপনার আয় করা টাকা পেপাল, অথবা আমাজন গিফট কার্ড, অথবা গুগল প্লে-গিফট কার্ডের মাধ্যমে উইড্রো করতে পারেন। 

আরো বেশ কিছু টাকা ইনকামের এপস রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে মাসে সামান্য কিছু থেকে মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব। তবে সেগুলো কতটা নির্ভরযোগ্য সেই বিষয়েই রয়েছে সন্দেহ৷ 


পরশেষে বলা যায়

উপরে আমি যে কয়েকটি টাকা আয়ের app শেয়ার করেছি সেগুলোর মধ্য থেকে যে কোনো একটিকে বেছে নিতে পারেন অনলাইন ইনকামের জন্য। আপনার অনলাইন ইনকাম যাত্রা শুভ হোক এই কামনাই করি। 


Next Post Previous Post