চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে - চ্যাট জিপিটির সুবিধা ও অসুবিধা

চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে


বর্তমান সময়টি হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এর সময়। এখন এআই সিস্টেম বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এর মাধ্যমে যে কেউ যেকোনো কিছু করতে পারে। ঠিক সে সময় পৃথিবীর সবচাইতে বড় ইন্টালিজেন্ট চ্যাট বট সামনে এসেছে। যাকে আমরা বলছি চ্যাট জিপিটি। 2022 সালে এই বটটি লঞ্চ করা হয়েছিল। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে তা জানব। কারণ অনেকেই এখন পর্যন্ত হয়তোবা এই বট ব্যবহার করতে পারছি না কিংবা ব্যবহার করার সঠিক নিয়ম জানি না। চলুন আপনি শেষ পর্যন্ত আর্টিকেল পড়ে নিন তাহলে আপনিও চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে অসাধারণ কাজগুলো করতে পারবেন।

চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে

চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে

চ্যাট জিপিটি কাজ করে এ আই সিস্টেমের মাধ্যমে। এমন একটি সিস্টেম যেখানে মূলত একটি রোবট আপনার সঙ্গে কথা বলবে। আপনি যেই প্রশ্নই করেন না কেন সেই সকল প্রশ্নের সঠিক জবাব সেই রোবটের কাছেই থাকবে। বিষয়টা আমার কাছে অত্যন্ত মজাদার মনে হয়। কারণ, এই এআই সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা চাইলে যেকোন ধরনের কঠিন প্রশ্নের সঠিক জবাব পেয়ে যেতে পারি।

উনাকেই এই চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করছে কিংবা আরো বড় বড় কাজ সম্পাদন করছে। বলতে পারেন কিছুদিন পরে যে জামানা আসবে সেখানে শুধুমাত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এর ব্যবহার হবে, চ্যাট ডিপিটি শুধুমাত্র তার নমুনা মাত্র। সামনে এমন বিশ্ব আমরা দেখতে চলেছি যেখানে মানুষের বদলে রোবটের উপর বেশি ভরসা করা হবে। হয়তো মুভির কথাগুলোই সত্য। 

আরো পড়ুন:

আমরা কিভাবে চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করব?

এই সফটওয়্যারটি বা এই রোবটটি ব্যবহার করার জন্য আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে তাদের ওয়েবসাইটের মধ্যে যেতে হবে। আর সেখানে গিয়ে আপনাকে নিজের জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন আপ করে নিতে হবে। অতঃপর মোবাইল এর মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করে ফেললে আপনি সেই অ্যাকাউন্ট দিয়ে রোবটের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারবেন। 

আপনি যেই প্রশ্নই করেন না কেন চ্যাট জিপিটি তার সঠিক উত্তর দিবে। আর বর্তমান সময়ে এই রোবট বাংলা কথা ও বুঝতে পারে এমন কি বিশ্বের সব ভাষায় আপনি চাইলে প্রশ্ন করতে পারেন এবং জবাব পেতে পারেন। কিন্তু কোন ধরনের খারাপ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে কিংবা ভায়োলেশন যুক্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে আপনি উত্তর পাবেন না। 

সঠিকভাবে কোন গুরুত্বপূর্ণ বা আপনার সত্যিই দরকার এমন প্রশ্ন করলেন নিশ্চয়ই খুব দ্রুত উত্তর পেয়ে যাবেন। এবং এই কোম্পানির মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে জ্ঞানী করা। তাছাড়া বর্তমান সময় চ্যাট জিপিটি নিয়ে এসেছে তাদের প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ। সেই মেম্বারশিপ ক্রয় করলে আপনি খুব দ্রুত আপনার প্রশ্নের জবাব পাবেন। তাছাড়াও ফ্রিতে ব্যবহার করা যায় তেমন কোন সমস্যা হয় না।

চ্যাট জিপিটির সুবিধা 

একটি সুবিধা জনক সফটওয়্যার বা এ আই সিস্টেম। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে মানুষ যে কোন প্রশ্নের সঠিক জবাব পেয়ে যাচ্ছে খুব দ্রুত। আগে যেখানে ইন্টারনেটের প্রচুর ঘাঁটাঘাটি করে আমাদের উত্তর খুঁজে বের করতে হতো সেখানে এই বট ব্যবহার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে যে কোন তথ্য। 

তাছাড়া এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ব্যবহার করে বর্তমানে ইনকামের সুযোগও রয়েছে। চাইলে আপনারা এই বট ব্যবহার করে নিজেরাও ইনকাম করতে পারেন তাছাড়া দেশের উপকারও করতে পারেন। আমরা অন্য একটি আর্টিকেলে এই সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন বা রোবট ব্যবহার করে ইনকামের সম্পর্কে জানাবো। তাছাড়া আরও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যা আপনি এটি ব্যবহার করতে লাগলেই বুঝতে পারবেন। 

চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে খুব সহজে বিনামূল্যে আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন চোখের পলকে। আবার চাইলে এই সিস্টেম ব্যবহার করে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি হাজার হাজার প্রশ্নের সঠিক জবাব পেয়ে যেতে পারেন। 

চ্যাট জিপিটির অসুবিধা

চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে অত্যন্ত সুবিধা জনক বা লাভজনক হওয়া গেলেও কিছু যে সমস্যা রয়েছে তা অবশ্যই সত্য। এই চ্যাট ডিবিটি ব্যবহারের ফলে পেরেশানির মধ্যে ভুগছে অনেকেই। কারণ এই সিস্টেম ব্যবহার করে খুব সহজে কোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। যার ফলে ব্লগারেরা ইনকামের সুযোগ পাবে না। 

আবার যারা চাকরি করছে তাদেরও চাকরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ যদি কোম্পানির মালিক খুব সহজে একটি রোবট ব্যবহার করে এত সহজে যে কোন কাজ করিয়ে ফেলতে পারে তাহলে কেন কর্মচারী রেখে আপনাকে বেতন দিবে? এর জন্য তারা ব্যবহার করবে চ্যাট জিপিটি কিংবা এই ধরনের আরও বিভিন্ন এআই সিস্টেম। আর এর ফলে কোম্পানির খরচে কমে যাবে এবং তারা দ্রুতগতিতে কাজ পেয়ে যাবে। 

যেখানে একজন কর্মচারী দৈনিক ১২ ঘন্টা কাজ করতে পারবে সেখানে এই রোবট 24 ঘন্টা কাজ করতে পারবে। তাই অবশ্যই রোবট থেকে মানুষের ক্ষমতা বেশি নয়। আর ঠিক এই কারণেই ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, চাকরি এ ধরনের বিভিন্ন পেশা রয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বেশ কিছু চাকরি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে শুধুমাত্র একটি পাওয়ারফুল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এর জন্য। 

কিন্তু বিলুপ্তর পাশাপাশি একটি কোম্পানি খুবই সহজে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রফিট গড়ে নিতে পারবে এই সকল পাওয়ার ফুল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে। যারা ছোট পথে কাজ করে তাদের জন্যই শুধু বিপদ তবে যারা বড় পদে কাজ করে তাদের জন্য অনেক লাভ। 

শেষ কথা: চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে 

আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর্টিকেলটির প্রতিটি অংশতে আপনাদের সাথে চ্যাট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন যাতে তারাও চ্যাট জিপিটি নামক এই সফটওয়্যারটি সম্পর্কে জানতে পারে। আর আপনি যদি চ্যাট জিপিটি সম্পর্কে আরো জানার ইচ্ছায় থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন কিংবা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। 
Next Post Previous Post