বৃষ্টির কবিতা | বৃষ্টি নিয়ে কবিতা | বৃষ্টির ছন্দ | বৃষ্টির কবিতা রোমান্টিক
বর্ষাকাল আমাদের দেশের ছয় ঋতুর মধ্যে অন্যতম। এই সময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমায় বাংলার ভূমিতে প্রচুর বৃষ্টি নামে এবং বর্ষার বৃষ্টিতেই বাংলার ভূমিতে ফসল জন্মে। বর্ষা কালের বৃষ্টি এদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ও গ্রামীণ মানুষের জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। সেই সাথে বৃষ্টি মানুষের মনে এক আনন্দের সঞ্চার ঘটায় ও এক আনন্দপূর্ণ পরিবেশের তৈরি করে।
বৃষ্টি নিয়ে কবিতা
তাহলে বৃষ্টি যে বাংলার মানুষের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে সেটা স্পষ্টভাবে প্রমানিত। আর যা মানুষের জিবনের সাথে জরিত সেই বিষয়টাই কবিদের কাব্য ও উপন্যাস রচনার বিষয়। তাই বৃষ্টির ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম হচ্ছে না। বৃষ্টিকে নিয়েও কবি ও সাহিত্যিক গন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কবিতা, গল্প ও উপন্যাস রচনা করে গেছেন। আর প্রাকৃতির প্রতি সৌন্দর্য নিয়ে কবিতা রচনা করা হলে বৃষ্টি নিয়ে বৃষ্টির কবিতা রচনা হবে না এমনটা কি হয়।
তাই বরাবরের মতই Nbanglablog পাঠকদের জন্য পছন্দের কবিতা ও ছন্দ নিয়ে হাজির হয়েছে। আর এই আলোচনাটি হল বৃষ্টি নিয়ে কবিতা বা বৃষ্টির কবিতা সমগ্র এর ওপর।
ইউটিউব ভিডিও দেখে ও ফেসবুক লাইক করে টাকা আয়
বৃষ্টির কবিতা সমূহ
তাহলে আর সময় অপচয় না করে দ্রুত চলে যাই আজকের মূল আলোচনা বৃষ্টির কবিতায়। এই প্রতিবেদনের পরবর্তী অংশে আপনাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের বৃষ্টির কবিতা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, বৃষ্টির ছন্দ, বৃষ্টির কবিতা রোমান্টিক, বৃষ্টি নিয়ে স্ট্যাটাস ইত্যাদি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
>>
ইন্দ্রকে লুকায়ে রাখিয়া
নীল-সাদার আকাশ গেল,
কালো মেঘে ঢাকিয়া।
কালো মেঘে ঢাকা নীল আকাশে,
নেই যে কোথাও ফাঁক,
এ যে বৃষ্টি নামার হাক;
আজি কাজ কাম সব থাক,
লাঙ্গল, কোদাল গুটিয়ে নিয়ে,
ঘরে ফিরে যাওয়া যাক।
>>
আমি খুজে মরি তোমার
কোথা গেলা এই আঁধারে,
আকাশের কালো মেঘ বলে,
নামিবে বর্ষা অঝোরে।
থেকোনা প্রিয় আর দূরে
অপেক্ষায় তোমার দুয়ারে
তোমায় না দেখা পেয়ে
ঝড় উঠে হৃদ-মাঝারে
>>
মেঘে ঢাকা আকাশ,
আবার মনে করিয়ে দেয়;
ছোট বেলার খেয়াল যেন,
মনে উকি দেয়।
দল বেঁধে বৃষ্টিতে ভেজা;
মেঘ ডাকতেই ভয়;
মায়ের কোলে লুকানো,
আবার মনে করিয়ে দেয়।
বৃষ্টি এলেই পড়ায় ফাঁকি,
স্কুলে যাওয়া নেই;
আম কুড়ানো, জাম কুড়ানো,
ভুলি কি করে ভাই?
ভিজতে গিয়ে ঠান্ডা লাগা
হাঁচি দিলে বোকা খাওয়া
এসব কি আর ভোলা যায়?
তাইতো বৃষ্টি যেন পুরনো আবেগ,
মনে করিয়ে দেয়।
বৃষ্টির ছন্দ
গ্রামের টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার আওয়াজ ভাবনাতে এক তাল বা ছন্দের সৃষ্টি করে। আর সেই ছন্দ থেকে অজানতেই মুখে বৃষ্টির ছন্দ উচ্চারিত হয়। আর এমনি কিছু বৃষ্টির ছন্দ থাকছে আলোচনার এই অংশে। ( বৃষ্টির কবিতা )
>>
টাপুর টুপুর বৃষ্টি নামে
শীতল হাওয়া লাগে গায়ে
প্রাণ চায় ভালোবাসার ছোঁয়া
প্রাণকে বোঝাই কি উপায়ে।
>>
ঠিকানা বিহীন নিরুদ্দেশের
যাত্রী হতে চাই
মেঘে ভেসে বৃষ্টিতে ভিজে
পৃথিবী দেখবো ভাই
>>
মহামহিমের এ কি সৃষ্টি!
মেঘ হতে নামে জীবন বৃষ্টি।
বৃক্ষ তেজ হয়, গ্লুন গজায়;
প্রকৃতি যেন সবুজে সাজায়;
প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে যেন,
জুড়ায় চোখের দৃষ্টি;
সত্যি, মহামহিমের এ কি সৃষ্টি !
>>
নীল আকাশে মেঘ জমলে,
ঝম ঝমিয়ে বৃষ্টি হয়;
ভালোবাসা মনে জমলে,
সখীর কথা মিষ্টি হয়;
>>
বর্ষার ঘন মেঘ,
ঢেকে উজ্জ্বল রোদ্দুর;
নয়নজলের বৃষ্টিতে আজ
ডুবে যাক, নদী-সমুদ্দুর।
>>
শোনো মাঝি, নাও বাইয়িও না,
মেঘ দেখিলে বৈশাখে;
ঝড়ো হাওয়ার ঘূর্ণিতে পড়ে,
পড়বে তুমি বিপাকে।
বৃষ্টির কবিতা রোমান্টিক
বৃষ্টি একেক সময় মানুষের মনে একেক ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি করে। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি কখনো মনে ভালোবাসার অনুভূতির সঞ্চার ঘটায় আবার কখনো পুরনো স্মৃতি জাগিয়ে মনের আবেগকে জাগ্রত করে দেয়। তবে বৃষ্টি যে আমাদের মনে আনন্দ দেয়, এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। ( বৃষ্টির কবিতা )
>>
বৃষ্টিতে হল পৃথিবী সবুজ,
মেঘলা আকাশ হলো নীল;
জীবনভরের সাথী হব তাই,
আজ হোক তোমার-আমার মিল।
>>
আকাশ জুড়ে ভাসছে বাদল
বাতাসে ভেসে আসছে বর্ষার সন্দেশ
ধরণী বুকে নামবে বাদল,
আনন্দের নেই শেষ।
>>
এই বর্ষায়, মেঘ নাহি সয়,
অঝোরে অঝোরে ধারা,
বহিতেই রয়।
এই নিরালায়, মন শুধু চায়,
তোমাকে তোমাকে শুধু,
তোমাকেই চায়।
>>
মেঘ বর্ষার শীতল হওয়াতে,
জুরাবো আমার প্রাণ।
বাষ্পের সনে গগনে ছুটিয়া,
মেঘেতে করিব স্নান।
>>
বৃষ্টিতে ভেজা বদনে
এলে তুমি মোর ঘরে
তোমার স্মৃতির স্মরণে
মোহের বর্ষা ঝড়ে।