হতাশা থেকে মুক্তির উপায়

হতাশা থেকে মুক্তির উপায়
হতাশা থেকে কীভাবে দূরে থাকা যায়

হতাশা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। জীবনের প্রতিটি মোরে আমরা হতাশার নাগাল পাই। এটা কোনো অস্বাভাবিক বিষয় না। কোনো কাজে ব্যার্থতা অথাবা কোনো মানসিক আঘাত আমাদের মধ্যে হতাশার ও দুশ্চিন্তাকে জাগ্রত করে দেয়। 

আমরা যতই হতাশা থেকে মুক্তির উপায় তালাশ করি, ততই যেন হতাশা আমাদের ঘিরে নিচ্ছে। এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। 

কিন্তু অতিরিক্ত হতাশা মানুষের মনের মধ্যের আশাকে হত্যা করে দুশ্চিন্তার জন্ম দেয় যেটা আমাদের স্বাভাবিক জীবনের জন্য হুমকি। তাই আজকের এই পোস্টে আমি হতাশা থেকে মুক্তির উপায় আপনারা সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। 


হতাশার কারন কি?  

হতাশার সঞ্চার বিভিন্ন কারনে হতে পারে। আর্থিকভাবে অসচ্ছলতা, বেকার সমস্যা, চাকরি না পাওয়া, কোনো দূর্ঘটনা, কোনো কাজে ব্যার্থতার শিকার হওয়া ও আপনাজন বিয়োগ সহ বিভিন্ন কারনে আমরা হতাশায় পড়ে যাই। তবে তরুন সমাজের অধিকাংশই চাকরি না পাওয়া বা বেকার সমস্যার কারনেই হতাশায় থাকেন।  

হতাশা থেকে মুক্তির উপায় খোজার আগে আপনাকে হতাশার কারন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে। কেন আপনি হতাশ হচ্ছেন? আপনার হতাশার মূল কারন কি? এসব আত্মকেন্দ্রিক প্রশের উত্তরের মাধ্যমে আপনার হতাশার কারন সন্ধান করতে হবে। এর পরেই আপনি হতাশা থেকে মুক্তির উপায় গুলোর ওপর সফলভাবে কাজ করতে পারবেন। 


হতাশা থেকে মুক্তির উপায়

হতাশা থেকে মুক্তির জন্য বিষেষজ্ঞ গন বেশ কিছু কার্যকারী উপায় উল্ল্যেখ করেছেন। এই আর্টিকেলে আমি সেই সব উপায় আপনাকে জানাবো যার মাধ্যমে আপনি নিজেকে হতাশা থেকে মুক্ত করতে পারবেন। 


নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন

হতাশা থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। আত্মবিশ্বাসী না হলে আপনি কোনো কাজে সফল হতে পারবেন না। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রতি মুহূর্তে নিজেকে মোটিভেটেড মানে অনুপ্রাণিত রাখুন।

আপনার ব্রেইনকে আপনি যেটা বোঝাবেন ব্রেইন সেটাই বুঝবে। নিজেকে কখনো দুর্বল ভাববেন না। নিজের সকল অর্জনগুলো খেয়াল করুন, সফলতার রিল স্মৃতিগুলো আপনার মনে আত্মবিশ্বাস জোগাবে এবং "আমি এ কাজটি করতে পারব না" এ ধারণাকে মুছে ফেলবে। সব সময় ভাববেন যে আপনি যেকোনো কাজ করতে পারবেন।


লক্ষ্য নিরধারণ করুন

হতাশা তখনই আপনাকে পেয়ে বসবে যখন আপনার কোনো লক্ষ থাকবে না। যার কোনো সঠিক গন্তব্য নেই, হতাশা তাকে সহজেই পেয়ে বসে। তাই নিজেকে মোটিভেট করার পরপরই আপনার গন্তব্য নির্ধারণ করুন।

লক্ষ্য নির্ধারণ শুধু হতাশা দূরকরনে কার্যকারী নয় বরং সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি চাইলে একটি নোটিশ বোর্ড বা নোটবুকে আপনার লক্ষ্য অথবা Goal লিখে রাখতে পারেন। যেটা আপনি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অর্জন করার চেষ্টা করবেন।


সফলতার মাপকাঠি নির্ধারণ

এই বিষয়টা একটু জটিলই মনোযোগ সহকারে খেয়াল করুন। সফলতার মাপকাঠি নির্ধারণ বলতে বোঝানো হচ্ছে কতটুক চাহিদার মধ্যে আপনি নিজেকে সফল অনুভব করছে। যেমন ধরুন কেউ ১ লক্ষ টাকার স্যালারি পেলে নিজেকে সফল ভাবে। আবার কেউ ১০ লক্ষ টাকার স্যালারি পেয়ে নিজেকে সফল মনে করে না।

এই যে ১ লক্ষ টাকা ও 10 লক্ষ টাকা এই দুটো পরিমাণ এই হল উভয় ব্যক্তির সফলতার মাপকাঠি। এবার কথা আসে আপনি কতটুকু পেলে নিজেকে সফল ভাববেন? সেটা নির্ধারন করার পাল। 

এক্ষেত্রে আমি শুধু টাকাকেই উদহারন হিসেবে উল্লেখ করলাম আপনার ক্ষেত্রে সফলতা অন্য কিছু পাওয়াও হতে পারে। যেমন : কোনো প্রজেক্ট কমপ্লিট করা, কোনো পরীক্ষায় ভালো করা অথবা কোনো দেশ ভ্রমণে যাওয়া। তাহলে আপনার হতাশা দুর করার উপায় গুলোর মধ্যে তৃতীয় উপায়টি হল, সফলতার মাপকাঠি নির্ধারণ করা। 


নিজেকে প্রোডাক্টিভ কাজে বা কিছু শেখার কাজে ব্যাস্ত রাখা

কথায় আছে "অলস মস্তিস্ক শয়তানের বাসা"। যতক্ষন না আপনি কোন প্রোডাক্টে কাজ বা কোন কিছু শেখার পেছনে সময় ব্যয় করছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি হতাশায় ভুগবেন। 

কোন কাজের পিছনে সময় ব্যয় না করলে আপনি পিছিয়ে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক আর আপনার পিছিয়ে পড়ায় আপনার হতাশার মূল কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই হতাশা থেকে কাটিয়ে উঠতে দিনের বেশিরভাগ সময় কাজের পেছনে ব্যয় করুন।


হতাশা থেকে মুক্তির উপায় ইসলামিক



 




Next Post Previous Post