মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়।

পৃথিবীতে জীবন ধরনের জন্যে টাকা একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। টাকা ছাড়া আমরা জীবনের উন্নতি কল্পনা করতে পারি না। আর টাকাকে ইনকাম করা পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজ গুলোর মধ্যে একটি। 

বাংলাদেশের যুবক শ্রেনিদের টাকা ইনকামের অন্যতম উপায় হলো চাকরি চাকরি ছাড়া আমরা টাকা ইনকাম কল্পনা করতে পারে না। আর সারা জীবনের পড়াশোনা শেষ করে চাকরি পেতে লম্বা একটা সময় পার করতে।

হিসেব করলে দেখা যায় পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটি চাকরি পেতে ( যে চাকরি থেকে মাসে ২০,০০০  টাকা আয় করা সম্ভব ) আমাদের প্রায় ২৭ বা ২৮ বছর লেগে যায়। তাহলে জীবনের এই লম্বা সময় কি আমরা অন্য কাজে লাগাতে পারি না যেখান থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বের করা সম্ভব। 

আসলেই এমনটা করা সম্ভব, পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু উৎপাদনমুখী কাজের সাথে জড়িত থাকলে ছাত্র অবস্থাতেই কিংবা পড়াশোনা শেষ করেই মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। 

এরকম কিছু উৎপাদনমুখী কাজের সাথেই আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চলেছি যাতে করে আপনারা সহজেই ছাত্র থাকা অবস্থায় মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। 

 

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়


মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

প্রকৃতপক্ষে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় কিন্তু অনেকগুলো। আমি জানি এই পরিমাণ টাকা মাসে আয় করার জন্য আপনার মনেও এখন বেশ কিছু আইডিয়া ঘুরপাক খাচ্ছে। 

আরো পড়ুন: অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

তবে আমি সব আইডিয়া কিংবা উপায় একসাথে এক আর্টিকেল উল্লেখ করতে পারব না। তাই এই পোস্টে এমন কিছু আইডিয়া নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি যারা মাধ্যমে আপনি সহজেই মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 


১. মধু হোলসেল ব্যাবসা

মধুর চাহিদা যেভাবে দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় মধুর ব্যবসা করা একটি সুবর্ণ সুযোগ মাসে মোটা অংকের টাকা আয় করার। একজন দশম শ্রেণীর ছাত্র থেকে শুরু করে ৩০ বছরের একজন যুবক সব সবাই এই ব্যাবসার জন্য উপযুক্ত। 

এখানে মধুর ব্যবসা বলতে মধুর দোকান নিয়ে বসাকে বোঝাচ্ছি না। মধুর ব্যবসা এর থেকেও ভিন্ন ভাবে করা সম্ভব। আপনি গ্রাম থেকে কম দামে মধু কিনে শহরে পাইকারি দামে হোল সেলে ( Whole sell ) ব্যাবসা করতে পারেন। 

দেশেও বিভিন্ন জেলার তরুণ-যুবক ছাত্র-ছাত্রী এই ব্যাবসার প্রতি ঝুঁকছে। ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও এখন এই ব্যবসা করে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে প্রতি মাসে। 


মধুর ব্যাবসা অনলাইনে

আপনাকে শুধু যে মধুর ব্যবসা অফলাইনে করতে হবে বা মার্কেটে গিয়ে করতে হবে এমন কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। আপনি চাইলে অনলাইনে কিংবা ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে মধুর হোলসেল ব্যবসা শুরু করতে পারে।

চলুন আপনাকে একটি আইডিয়া দেওয়া যাক মধুর ব্যাবসার সম্পর্কে। আশা করি এবার আপনি আরো বেশি পরিষ্কার হবেন। 

আপনি যদি সরাসরি বাওয়াল দের কাছ থেকে মধু কিনেন তাহলে আপনি ৪০ কেজি মধু পাবেন ১২,০০০ টাকা কিংবা ১৩,০০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি মধু কিনতে আপনার লাগবে ৩০০ টাকা কিংবা ৩২০ টাকা। 

আর আপনি যদি এই মধু ৪০০ টাকা কেজিতে পাইকারি বিক্রি করেন তাহলে প্রতি ৪০ কেজিতে আপনার লাভ আসবে ৪,০০০ কিংবা ৪,৫০০ টাকা। আর খুচরা বিক্রিতে প্রতি কেজি মধুর দাম ৫০০ টাকা। অর্থাৎ খুচরা বিক্রিতে আরো বেশি লাভ। 

এভাবে প্রতি মাসে আপনি যদি তিন থেকে চার মন মধুর ব্যবসা অনলাইনে কিংবা অফলাইনে করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে নিমিষেই 15 থেকে 20 হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

এটা কোনো মিথ্যে আইডিয়া না। আমি এখানে যেই আইডিয়া সেটার করেছি সেটা করে অনেকেই মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন। তাই আপনি সঠিকভাবে কাজে নামতে পারলে আপনিও আয় করতে পারবেন বলে আমি আশাবাদী। 


২. ডিমের ব্যাবসা 

ডিম আমিষের অন্যতম একটি উৎস। আমাদের খাবারের তালিকা নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য গুলোর মধ্যে ডিম অন্যতম। ডিম এর চাহিদা সব সময় ছিল এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

তাই ব্যবসা করার জন্য ডিম হতে পারে অসাধারণ একটি লাভজনক ব্যবসা পণ্য। আজকের আমরা ডিম নিয়ে ব্যাবসা করা সম্পর্কে জানব। ডিম নিয়ে ব্যাবসা করে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 

এই ব্যাবসা করার জন্য আপনাকে ডিম এর দোকান নিয়ে বসতে হবে না। দোকান নিয়ে বসার ব্যাপারে আমি বারবার অনাগ্রহ দেখাচ্ছি কেন জানেন? 

আমাদের তরুণ সমাজের ধারণা দোকান পরিচালনার কাজ করলে তাদের স্ট্যাটাস এ মানহানি হতে পারে। তাই তারা দোকানে বসে কাজ করতে ভীষণভাবে অনাগ্রহী। তাই আমি এমন কিছু আইডিয়া শেয়ার করছি যেখানে দোকানে না কাজ করেও আয় করা সম্ভব।

তো ডিমের ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে পর্যাপ্ত ডিমের। আর হোলসেলে ডিম বিক্রি করার জন্য আপনাকে দুটো উৎস থেকে ডিম সংগ্রহ করতে হবে।

এক, সরাসরি খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করা আর দ্বিতীয়টি হল আড়ৎদার এর কাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করা। 

এবার আসা যাক এই আপনি কোথায় বিক্রি করবেন প্রকৃতপক্ষে ডিম বিক্রি করা অনেকগুলো উপায় রয়েছে। যেমন : কোনো ফাস্টফুড বেকারী, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, সিদ্ধ ডিম বিক্রেতা, মুদির দোকানদার ইত্যাদি। 

সঠিক দিকনির্দেশনার মেনে কাজ করলে এই ব্যাবসা থেকে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা বা তারও বেশি খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। 


শেষ কথা :

তো এই ছিল আজকের আয়োজনে। কিভাবে মাসে ২৯ হাজার টাকা আয় করা যায় তার উপায় গুলো নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আমি আশা করি আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পেরেছেন। 

Next Post Previous Post