বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কি কি লাগে

বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কি কি লাগে

আপনি কি ভারতে যেতে চান? জেনে নিন বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কি কি লাগে ও আরো বেশ কিছু তথ্য। কারণ ভারতে গিয়ে ঝামেলাই পড়তে না চাইলে আপনাকে সাথে বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যেতে হবে। 


বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ বর্তমান সময়ে ভ্রমণের জন্য ভারতে যেতে চায়। কিন্তু ভারতে যেতে গেলে তার বেশ কিছু ডকুমেন্ট কিংবা বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয় তা কিন্তু জেনে রাখতে হয়। কারণ ভারত হচ্ছে এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে রয়েছে অনেক ধরনের প্রদেশ। প্রতিটি প্রদেশে রয়েছে আলাদা আলাদা নিয়মকানুন এবং রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিধি নিষেধ। 


যদি আপনি ভারতে গিয়ে সেই দেশের নিয়ম অবলম্বন না করেন এবং তাদের বিধিনিষেধ অমান্য করেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার জেল হতে পারে। অর্থাৎ সকল ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনাদেরকে জেনে নিতে হবে তা না হলে ভারতে গিয়ে করুন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাহলে চলুন আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে নিবেন তাহলে খুব সহজেই আপনি জেনে যাবেন বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কি কি লাগে।

বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কি কি লাগে

বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে সবার প্রথম আপনার দরকার হবে ভিসা এবং পাসপোর্ট। আপনার যদি ভিসা এবং পাসপোর্ট না থাকে তাহলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারেন না। অতঃপর বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে হলে আপনার দরকার হবে সকল ধরনের টেস্ট ফরমালিটি পূরণ করা। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান সময়ে আপনি টিকা দিয়েছেন কিনা সেটি অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। 

যারা যারা টিকা দিয়েছে তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে এবং সেটির সাথে রাখতে হবে। তাছাড়া যারা বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে চান তাদের জন্য বলে রাখা ভালো বর্তমান সময়ে বেনাপোল থেকে ভারতে অর্থাৎ কলকাতা পর্যন্ত ৫০ টাকা ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান টাকায় পূর্বেও ২০ রুপি থাকলেও বর্তমান সময়ের ট্রেন ভাড়া ২০ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে এবং তা ৫০ রুপিতে পরিণত হয়েছে। 


আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বেনাপোল থেকে বর্তমান সময়ে বাস বা স্থলবন্দর পরিষেবা বন্ধ রয়েছে বলে শুধুমাত্র ট্রেন পথে কিংবা ট্যাক্সি করে আপনাকে কলকাতা পর্যন্ত যেতে হবে। যাতায়াতের কথা এ পর্যন্তই শেষ চলুন এবার জেনে নেব কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। (বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কি কি লাগে)

বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে যা যা কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে


বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে যা যা কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে

একজন বাংলাদেশী নাগরিক যদি ভারতে যেতে চেয়ে থাকে ঘোড়ার উদ্দেশ্যে, তাহলে তার জন্য অবশ্যই বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। আপনাকে ৫০০ টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জমা দিতে হবে এবং তারপরে বাংলাদেশ এ আপনি কবে নাইন্টিন টিকা দিয়েছেন তার একটি সার্টিফিকেট সাথে রাখতে হবে। অতঃপর আপনার দরকার হবে এন আই ডি কার্ড। ভারতে গেলেও আপনি অবশ্যই সঙ্গে বাংলাদেশের এনআইডি কার্ড এবং নিজের একটি পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি সঙ্গে রাখবেন।

অন্যদিকে নিজের পাসপোর্ট এবং জরুরি ডকুমেন্টগুলো কখনোই কারো সাথে শেয়ার করবেন না। অফিসের নির্ধারিত কর্মকর্তা বাদে কারো সঙ্গে এই সকল গুরুত্বপূর্ণ এবং দরকারি ডকুমেন্টগুলো শেয়ার করার কোন দরকার নেই বলে মনে করি। (বাংলাদেশ থেকে ভারত যেতে কি কি লাগে)

আগে থেকেই টিকিট করে রাখুন


যারা মূলত বেনাপোল হয় ভারতে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য বলে রাখি বর্তমান সময়ে আপনারা খুব সহজে বেনাপোল পার করে ট্রেনের মাধ্যমে কলকাতা যেতে পারবেন। অত্যন্ত দূরের রাস্তা হলেও ভাড়া লাগে মাত্র ৫০ টাকা। মাত্র কয়েক বছর আগেও ২০ টাকা ভাড়া ছিল তারপর ৩০ টাকা কিন্তু বর্তমানে ৫০ টাকা করা হয়েছে। 

অন্যদিকে হিলি বর্ডার হয়ে যদি যেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে শিলিগুড়ি। এবং শিলিগুড়ি থেকে ভারতের যেকোনো রাজ্যে খুব সহজে বাস কিংবা ট্রেনের মাধ্যমে যেতে পারেন। তাছাড়া যারা বিমানে করে যেতে চান কিংবা বাংলাদেশের যেকোন ধরনের যে সকল বর্ডার রয়েছে সেগুলোতে যেতে চান তারাও যেতে পারবেন কোন সমস্যা নেই আগের ভাড়া থেকে শুধুমাত্র কিছুটা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।

বিমানে যেতে চাইলে আপনি মূলত বাংলাদেশের ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দিল্লি অথবা কলকাতা অথবা ভারতের যেকোনো জায়গায় সরাসরি যেতে পারবেন। বর্তমান বাংলাদেশের যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অত্যন্ত অগ্রগতি পেয়েছে এবং বর্তমান সময়ের অত্যন্ত ভালো মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় আমরা খুব দ্রুত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের যেকোনো স্থানে যেতে পারি। 

সাথে কত টাকা রাখবেন?


যারা ভারতে যেতে চান তাদের মনে অনেক সময় প্রশ্ন আসে সাথে কত টাকা রাখা উচিত। কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে কত টাকা নিয়ে যেতে হবে। আসলে আপনার যে পরিমাণ টাকা দরকার সেই পরিমাণ টাকার পাশাপাশি আপনার পাসপোর্টের খরচ বাবদ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ রেখে দিবেন। পাসপোর্ট এর খরচ বাবদ ১৫০ ডলার কিংবা ১০,০০০ বা ১৫,০০০ টাকা সাথে রেখে দিবেন। 

কারণ পাসপোর্ট যদি কোনো কারণবশত হারিয়ে যায় কিংবা নষ্ট হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে রিকভারি করার জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে আর তার জন্য আপনার অবশ্যই টাকার প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে যারা ভারতে ঘোরাঘুরি করতে চান তারা অনলাইন থেকে অবশ্যই জেনে নেবেন ভারতের কোন স্থানে কত টাকা ভাড়া এবং বাস ভাড়া ট্রেন ভাড়া এবং অন্যান্য সবকিছু। 
তাহলে আপনার সুবিধা হবে সব কিছুর ভাড়া গুলো একসাথে জোগাড় করে নিয়ে যাওয়ার। আর ভারতের বিভিন্ন শপিংমল গুলোতে যদি শপিং করার আগ্রহ থাকে তাহলে আমি অবশ্যই বলব কলকাতায় বিগ বাজার সবচেয়ে সেরা। এছাড়া রয়েছে সিটি মার্ট। আমি নিজেও গিয়েছি কলকাতায় প্রায় কয়েকবার তাই অবশ্যই কলকাতা সম্পর্কে কিছুটা হলেও তথ্য জানি। 

এবং সিটি মার্ট ও বিগ বাজার বাদেও রয়েছে নিউ মার্কেট। এই তিনটি মার্কেটে আপনি খুব কম দামে ভালো মানের পণ্য এবং কম দামে পেয়ে যাবেন। তাই যারা বাজারের উদ্দেশ্যে যেতে চান তারা নিজেদের বাজারের টাকা সহকারে মূল ১৫০ ডলার নিয়ে যাবেন। তা না হলে বিপদে পড়লে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন এবং সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভারতে অনেক দিন অবশ্যই করতে হতে পারে সময়। 

আমাদের শেষ কথা

যেহেতু আমি চাই যেন আপনারা সুরক্ষিতভাবে ভারতে যান এবং আবারো ফিরে আসুন সেজন্য আমার দেওয়া সকল তথ্যগুলো সঠিকভাবে মেনে চলবেন। এতে করে খুব সহজে আপনি ভারতে গিয়ে আবারো ফিরে আসতে পারবেন কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। আর মনে রাখবেন ভারতে যে বর্ডার দিয়ে গিয়েছেন সেই বর্ডারের উল্টো বর্ডার দিয়ে আপনাকে আবার ফেরত আসতে হবে। 

ধরুন আপনি হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন। তাহলে আপনাকে ফেরত আসতে হবে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে। যদি আপনি এই কাজ না করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ঝামেলা হবে এবং ফেরত আসার সময় আপনাকে আটকে দেওয়া হবে এবং অন্য বর্ডারে যেতে বাধ্য করা হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে দ্বিগুণ খরচ করতে হতে পারে তাই আমার কথা মেনে চলুন এবং সঠিকভাবে দুইটি আলাদা বর্ডার বাছাই করে নিন পূর্বেই। 

একটি বর্ডার দিয়ে আপনাকে ঢুকতে হবে অন্য বর্ডার দিয়ে আপনাকে বাংলাদেশের ফেরত আসতে হবে। চেষ্টা করবেন সকাল-সকাল ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার এতে করে খুব দ্রুত বর্ডারে প্রবেশ করা যেতে পারে। তা না হলে অনেক ভিড় হয়ে যায় এবং সবকিছু প্রসেসিং হতে প্রায় অনেক ঘন্টা লেগে যায়।
Next Post Previous Post