মোটা হওয়ার খাবার তালিকা কি, রুটিন, চার্ট

ওজন বাড়ানোর খাবারে তালিকা


"স্বাস্থ্যই সম্পদ" এই প্রবাদটি আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। মূলত স্বাস্থের গুরুত্ব বোঝাতে এমন প্রবাদ আমরা সচরাচর শুনে থাকি। যেমন, " স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল" 

স্বাস্থ্য ভালো নাকি খারাপ সেটা হাজারটি ফ্যাক্টর দিয়ে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ফ্যাক্টর হল, BMI Rate, BMR Rate. এদের বাইরেও আরো কিছু ফ্যাক্টর যেমন, রোগ ( পাতলা ) নাকি মোটা ( স্বাস্থ্যবান ) এই দুটি ফ্যাক্টর দিয়েও স্বাস্থের ভালো মন্দের গুনগুন বিবেচনা করে অনেক। 


ভালো স্বাস্থের বা সুস্বাস্থের পরিচয়

সাধারণ যেসকল ব্যাক্তির  BMI Rate ( Body Mass Index ) ১৮ থেকে ২৫ এর মধ্যে তাদের সুস্বাস্থের অধিকারী হিসেবে ধরা হয়। এই রেঞ্জ থাকা প্রতিটি ব্যাক্তি সুস্বাস্থের অধিকারী হয়ে থাকে।  

বিএমআই হলো আপনার শরীরের উচ্চতা অনুসারে আপনার ওজনের হার। অর্থাৎ প্রতি মিটার উচ্চতার জন্যে আপনার শরীরের ওজনের মাত্রা কত সেটাই নির্দেশ করে বিএমআই রেট। 

কারো শরীরের বিএমআই ১৮.৫ এর নিচে হলে তাকে শরীরের ওজন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আর আজকের আর্টিকেল আমরা শরীরের ওজন বাড়ানোর ব্যাপারেই আলোচনা করতে যাচ্ছি।

আপনার শরীরের বিএমআই কত সেটা জানতে নিজের লিংকে ক্লিক করে বিএমআই রেট নির্ণয় করে নিতে পারেন। বিএমআই রেট নির্ণয় করা হয়ে গেলে চলুন এবার মূল আলোচনায় ফিরে যাই।

BMI CALCULATOR 


কাদের শরীরের ওজন বাড়ানো জরুরি?

একটি উদহারন এর মাধ্যমে আপনাকে স্পষ্টভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছি। ধরুন A একজন ব্যক্তি যার উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং ওজন ৪৯ কেজি এই ব্যক্তির বিএমআই রেট করলে সেটি দাড়ায় ১৮ এর কাছাকাছি। 

যেহেতু আদর্শ বিএমআই রেট হল ১৮.৫ - ২৫ এর মধ্যে; সুতরাং দেখা যাচ্ছে A ব্যাক্তির বিএমআই অনেক কম অর্থাৎ উচ্চতা অনুসারে তার ওজন অনেক কম।

তাই ব্যক্তিকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার জন্য ওজন বাড়াতে হবে। এককথায় ওজন বাড়ানো তার জন্যে জরুরী। আশা করি বোঝাতে পেরেছি। 


মোটা হওয়ার খাবার তালিকা

আর্টিকেলটির এই পর্যায়ে এমন কিছু খাবার তালিকা উপস্থাপন করতে চলেছি, যা শরীরের ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর। 


১. দুধ ও পনির

আমরা জানি শরীরের ওজন বাড়াতে ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাদ্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। দুধ ও পনির হল ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবারের প্রধান উৎস। 

এই প্রাণীর আমিষ নিয়মিত গ্রহণের ফলে শরীরে শক্তি সঞ্চার হওয়ার পাশাপাশি ফ্যাট জমতে শুরু হয় যা ওজন বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে। 


২. ভাত ও ভাতের মার

ভাত হল শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এর প্রধান উৎস। ভাত আমরা কম বেশি প্রতিদিনই খাই; ভাত খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণ হয় এবং দেহের পেশী গঠন দ্রুত হারে বাড়তে থাকে। 

এর ফলে শরীর বেশি বহুল হয় এবং দেহের ওজন দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। তাই আপনি নিয়মিত ভাত ও ভাতের মার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ওজন বাড়ি শারীরিক সুস্বাস্থ্যতা অর্জন করতে পারেন।




Next Post Previous Post