পুঁইশাকে বিদ্যমান শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন দেহে শক্তির উৎপাদনে ও দেহ গঠনে বিশেষভাবে উপকারী।
আজকের আলোচনা আপনাদের সাথে পুঁই শাক খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলাপ করতে চলেছি; সেই সাথে পুঁইশাকে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য দিতে চলেছি।
পুঁইশাকে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান
মানবদেহের জন্য পুঁইশাক কতটা উপকারী সেটা জানতে হলে, সবার আগে জানতে হবে পুইসাকে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদানগুলো সম্পর্কে। নিচে পুঁইশাকএ বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান গুলো সম্পর্কে আপনাদের জানানো হল।
পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যাবে শক্তির কারণে কার্যকারী। এছাড়া, ১০০ গ্রাম পুঁইশাক-এ (০.৩ )গ্রাম ফ্যাট, পটাসিয়াম থাকে ১৫ গ্রাম ও শর্করা থাকে ৩.৪ গ্রাম এর মত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে।
মানবদেহের জন্যে পুঁইশাকের উপকারিতা
নিঃসন্দেহে পুঁইশাক মানব দেহের জন্য একটি উপকারী খাদ্য উপাদান। নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ার ফলে মানবদেহে কি কি উপকারিতা লক্ষ্য করা যায় অথবা মানবদেহের জন্য পুঁইশাক কতটা উপকারী ভূমিকা রাখ সেটা নিচে তুলে ধরা হলো।
০১. রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ায়
পুইশাকে রয়েছে পাইরিডক্সিন এর মত অতি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এছাড়া, পুঁইশাকে বিদ্যমান আয়রন ও শর্করা দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম সুসংগঠনে সরাসরিভাবে কার্যকরী। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষম শাকসবজির তালিকায় পুঁইশাকের নাম সর্বদাই উপরে।
২. দেহের হার গঠনে
পুইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা মানব দেহের হাড় সুসংগঠনে ও আর সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে উপকারী। এই শাকে বিদ্যমান ভিটামিন ডি শিশুদের হার জনিত রোগ ( রিকেটস ) প্রতিরোধে সহায়ক।
৩. চোখ ও দাত ভালো রাখতে
আমরা সকলেই জানি চোখের জন্য ভিটামিন এ কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। পুইশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি পাওয়া যায়।
ভিটামিন-এ চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং ভিটামিন-সি দাত ভালো রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪. উচ্চ রক্তচাপে ঝুঁকি কমায়
মানবদেহের উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য পটাশিয়াম বিশেষভাবে কার্যকরী আর পুঁইশাক হলো পটাশিয়ামের অন্যতম একটি উৎস। ১০০ গ্রাম পুঁইশাক থেকে ২৫৬ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম পাওয়া যায়। যেটা মানবদেহের জন্যে পর্যাপ্ত।
সুতরাং নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ার মাধ্যমে দেহের পটাসিয়াম এর ঘাটতি পূরণ করে উচ্চ রক্তচাপ এর মত সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
৫. হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে সাক ও সবজি জাতীয় খাবার। পুঁইশাক কোষ্ঠকাঠিন্য এর মত সমস্যা সমাধান করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। সুতরাং আপনার হজম জনিত কোনো সমস্যা থাকলে আপনি পুঁইশাক খেতে পারেন আশা করি সুফল পাবেন।
৬. শক্তি উৎপাদনে
পুইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও ক্যালরি, এসব পুষ্টি উপাদান দেহে শক্তি উৎপাদনে সরাসরি ভাবে কাজ করে। সুতরাং বলা যায় পুঁইশাক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শক্তি উৎপাদনের সাথে জড়িত।
পুঁইশাকের অপকারিতা
বৈশাখ খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা বা পেনের ফিট থাকলেও এই খাবারের রয়েছে কিছু অপকারিতাও। পুইশাক খাওয়ার ফলে আপনি যেসব সমস্যায় পড়তে পারেন সেগুলো হল:
১. পায়খানা পাতলা হয় : পুই শাক খাওয়ার ফলে দেহের হজম শক্তি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এর ফলে আপনার মন বা পায়খানা পাতলা হতে পরে।
২. এলার্জি বাড়াতে : দেহে এলার্জি বাড়ানোর ক্ষেত্রে পুঁইশাক সামান্য হলেও অবদান রাখে।
এসব ছাড়া পুঁইশাক খাওয়ার ফলে তেমন কোন ধরনের সমস্যা দেখা যায় না। আপনি চাইলে নির্দ্বিধায় এই সাক বিভিন্ন উপায়ে রান্না করে খেতে পারেন।