ডিম, সিদ্ধ ডিম ও হাসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ডিম খাওয়ার উপকারিতা



ডিম আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ডিম একটি পরিচিত নাম। ডিম একটি আমিষের ভান্ডার, দেহের দৈনিক আমিষের চাহিদা পূরণে ডিমকে বেছে নেওয়া যায় নিশ্চিন্তে। 

আজকের পর্বে আপনাদের জানাতে চলেছি ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। সেই সাথে সিদ্ধ ডিম, হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি সেটা জানতে পারবেন এই আলোচনায়।

সুতরাং চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পুরো আর্টিকেলটি শুরু করা যাক টিম এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। 


ডিম এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ডিম এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ক্লোস্টেরল, ফ্যাট এবং ভিটামিন ও মিনারেল সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। ডিমের মধ্যে এত সব পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে এটির অপকারিতার চেয়ে উপকারীতাই বেশি। সুতরাং এই পর্যায়ে ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক: 

১. আমিষের চাহিদা পূরণে

ডিম হলো আমিষের একটি অনন্য উৎস। একজন মানুষের দৈনিক ৪৮ থেকে ৫৬ গ্রাম এর মত আমিষ প্রয়োজন হয় যা ডিম খাওয়ার মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব। 

২. দেহ গঠনে

ডিমে থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান গুলো দেহ গঠনে ও শারীরিক বিকাশে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। ডিমে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন শরীরের পেশী গঠনে বিশেষভাবে কার্যকরী। 

৩. মেধা বিকাশে

শিশুদের মেধাবিকাশে তাদের খাদ্য তালিকায় ডিম অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য। ডিমে থাকা ভিটামিন-এ ও জিংক এর মত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান শিশুদের মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে অবদান রাখে।

৪. হার গঠনে

ডিমে থাকা ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম এর মত পুষ্টি উপাদান যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শারীরিক হার গঠনের ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয়। তাই যে কোন বয়সে অস্থি সুস্থ ও মজবুত রাখার জন্য নিয়মিত ডিম খেতে পারেন।

৫. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে

টিমে রয়েছে ভিটামিন-এ । আমরা সকলেই জানি ভিটামিন-এ আমাদের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে কতটা গুরুত্বপুর্ন। নিয়মিত ডিম খাওয়ার মাধ্যমে রাতকানা সহ অন্যান্য চোখের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

৬. দুর্বলতা দুর করে শক্তি উৎপাদনে

ডিম প্রচুর পরিমাণে এনার্জীর উৎস, শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকরী। তাই যে কোন শারীরিক দুর্বলতা দূর করে দেহে শক্তি উৎপাদনের জন্যে ডিম খাওয়া লাভজনক।  


ডিম এর অপকারিতা

ডিমের বিশেষ কিছু উপকারিতা থাকলেও ডিম সকলের জন্য উপকারী নয়। কারো কারো জন্য ডিম অপকারী খাদ্য উপাদান হতে পারে। নিচে ডিমের কিছু অপকারিতা বা ডিস-এডভান্টেজ দেখানো হলো। 

  • প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচ্চারণ তো যাবে এর কারণ হতে পারে। ডিমে থাকা কোলেস্টরল উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। এছাড়া ডিম এর কুসুম প্রতিদিন খেলে এক সময় আপনি উচ্চ রক্তচাপ এর ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। 

  • ডিমের অধিক পরিমাণে ফ্যাট থাকায় এটি শারীরিক ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান বা ডায়েট কন্ট্রোল এ থাকেন তাহলে আপনার জন্যে কম পরিমাণে ডিম খাওয়াই ভালো।





Next Post Previous Post