কোন কোন জিনিস ফ্রিজে রাখা উচিত নয়?

খাদ্যদ্রব্য ও ঔষধ সংরক্ষণের জন্য আমরা প্রায় সকলেই ফ্রিজ ব্যবহার করে থাকি। ফ্রিজে আমরা মাছ মাংস সবজি দুধ জাতীয় পদার্থ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারি। তবে এসব খাদ্যদ্রব্যের বাইরে এমন কিছু খাদ্যদ্রব্য রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করার থেকে না করাই ভালো।

এই পোস্টে আমরা আপনাদের জানাবো কোন কোন জিনিস ফ্রিজে রাখা উচিত না। এমন কোন খাদ্যদ্রব্য রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে রাখার চেয়ে বাইরে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করাই বেশি উত্তম। আসুন জেনে নেই কোন কোন জিনিস ফ্রিজে রাখা উচিৎ না।


কোন জিনিসগুলো ফ্রিজে রাখবেন না

ফ্রিজে কি কি রাখা যাবে না?

আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের খাবার ফ্রিজে রাখার উপযুক্ত নয়। এমনকি সব খাবারই ফ্রিজে রাখা উচিতও নয়। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে রাখার ফলে তাদের মৌলিক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। নিচে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হল।


১. মধু

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা মধুর ভেজাল পরীক্ষার জন্যে ফ্রিজে দীর্ঘদিন মধু রাখেন। প্রকৃতপক্ষে এটি মধুর নির্ভেজালতা পরীক্ষা করার কোন সঠিক পদ্ধতি নয়।

মধু ফ্রিজের তুলনায় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় খোলা পরিবেশে ভালোভাবে সংরক্ষণ করা যায়। ফ্রিজে রাখলে মধুর জমাট বাধার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং সাধের সাথে সাথে মধুর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।


২. পেঁয়াজ-রসুন অথবা রসুন বাটা

পেয়াজ রসুন হলো মসলা জাত দ্রব্য। এগুলো গন্ধ রয়েছে, ফ্রিজের মধ্যে এই মসলা জাত রাখলে পেঁয়াজ রসুনের গন্ধে অন্যান্য খাবারে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া পেয়াজে যেহেতু হাইড্রোক্লোরিক এসিড রয়েছে এটি সহজেই অন্যান্য খাবারে পচন ধরতে পারে।

তাই আজকে থেকেই আপনার ফ্রিজে পেঁয়াজ রসুন অথবা রসুন বাটার মত মশলা জাতীয় দ্রব্য রাখা থেকে বিরত থাকুন।


০৩. তেল

মধুর মতই আপনি ফ্রিজে তেল সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকবেন। অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল এর মত ফ্রিজে রাখলে তেল তরল অবস্থা থেকে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয়ে যায়।

তেল জমে গেলে সেই তেল ব্যাবহার করা বেশ অসুবিধার। তাই আজকে থেকেই ফ্রিজে তেল সংরক্ষণ করা থেকে বিরত থাকুন।



০৪. কলা

অনেকেই কাঁচা কলা ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। এটি একটি ভুল কাজ। কলা পাকার জন্যে Room Temperature প্রয়োজন। আপনি যদি কলাকে রেফ্রিজারেট করেন তাহলে কলা কলা পাকতে প্রচুর সময় লাগবে। ফ্রিজে থাকা অবস্থায় কলা কখনোই পাকবে না।

কলা সংরক্ষণের জন্য Room Temperature যথেষ্ট হোক সেটা কাঁচা কলা কিংবা টাকা কলা। তবে তরকারি হিসেবে আমরা যেই কলাটি খাই সেই কলাটি ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে কিন্তু দীর্ঘদিনের জন্য না।


০৫. আলু

ফ্রিজে আলু সংরক্ষণ করার ব্যাপারে অনেক গবেষকই নিষেধ করেছেন। আলু ফ্রিজে সংরক্ষণ করার ফলে আলুতে থাকা গ্লুকোজ সাগরে রূপান্তরিত হয়ে উচ্চ-রক্তচাপ এর মত রোগ সৃষ্টি করে ।

এছাড়া আলু রেফ্রিজারেট করলে আলুতে থাকা ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-সি এর পুষ্টিগুণ ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়। ফ্রিজে রাখা আলু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করার চেয়ে অপকার বেশি করে।


কোন কোন জিনিস ফ্রিজে রাখা উচিত না

এই পাঁচটি খাবারের বাইরে অন্য আরো কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে রাখলে যদিও তেমন কোনো ক্ষতি হয় না কিন্তু পরবর্তীতে সেগুলো ব্যবহারে অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে যেমন, রুটি ফ্রিজে রাখলে শক্ত হয়ে যায়। তরমুজ ফ্রিজে রাখলে শক্ত হয়ে যায়।

আশা করি এই আর্টিকেলে উপস্থাপিত তথ্যগুলো আপনার জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। যদি আমাদের আর্টিকেল পড়ে সামান্য উপকৃত হন তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার করে আমাদের আরো ভালো মানের কন্টেন্ট বানাতে সহায়তা করুন।

Next Post Previous Post