বর্তমান সময়ের যুবকদের অনেকগুলো খারাপ অভ্যাসের মধ্যে অন্যতম একটি খারাপ অভ্যাস হল হস্তমৈথুন এর অভ্যাস। যুবকদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি যুবক হস্তমৈথুন এর সাথে জড়িত। মেয়েদের মধ্যে এই বদ অভ্যাসের প্রবণতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুতরাং হস্তমৈথুন সম্পর্কে আলোচনা করা এবং এই বদ অভ্যাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে এই অভ্যাস থেকে ফিরিয়ে আনার এখনই উপযুক্ত সময়।
এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো হস্তমৈথুন করা ক্ষতিকারক নাকি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী এবং হস্তমৈথুন করার সহনীয় মাত্রা কতটুকু? কতদিন পর পর হস্তমৈথুন করলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায় কতদিন পরপর হস্তমৈথুন করা উচিত? নাকি হস্তমৈথুন করা পুরোপুরি অনুচিত? এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এই লেখাটি পড়ার মাধ্যমে।
হস্ত মৈথুন করা উচিত নাকি অনুচিত?
স্বাস্থ্যবিজ্ঞান এর দিক দিয়ে বিবেচনা করলে হস্তমৈথুন করা একটি স্বাভাবিক বিষয়। আমাদের যৌন স্বাস্থের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হস্তমৈথন। সহনীয় মাত্রায় হস্তমৈথুন করলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না।
আমাদের অন্ডকোষ প্রতিনিয়ত বীর্য উৎপাদনে কাজ করে যায়। তাই সহনীয় মাত্রা অনুসরণ করে হস্তমৈথুন করলে আপনার বীর্য কিংবা লিঙ্গের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা অনেক কম।
তবে ইসলামের নৈতিকতার মানদণ্ড দিয়ে বিবেচনা করলে হস্তমৈথুন করা সম্পূর্ণ অনুচিত একটি কাজ। যেহেতু হস্তমৈথুন করার আকাঙ্ক্ষা প্রধানত খোলামেলা দৃশ্য দেখার মাধ্যমে জাগ্রত হয় তাই এই কাজটি একটি হারাম কাজের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
Read
হস্তমৈথুন ও এর ক্ষতিকর দিক? হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায়
ইসলামে খোলামেলা দৃশ্য দেখা যেনা করার সমতুল্য, আর হস্তমৈথুন করার জন্যে খোলামেলা দৃশ্য দেখা যেনা করার মত একটি পাপ কাজ। তাই ইসলামে হস্তমৈথুন করলে খারাপ ও হারাম কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাই আপনি একজন মুসলিম হলে আপনার জন্যে খোলামেলা দৃশ্য দেখা ও হস্তমৈথুন করা সম্পূর্ণ অনুচিত একটি কাজ। আর আপনি যদি অন্য ধর্মাবলম্বী হয়ে থাকেন তাহলে ইসলামিক মানদন্ড দিয়ে আপনি হস্তমৈথুন করাকে বিচার করবেন না। তাই আপনার জন্যে হস্তমৈথুন করা বা না করা সমান একটি কাজ। এবং এটি আপনার ইচ্ছার বিষয়।
তবে হস্তমৈথুন এর মূল উৎস যেহেতু খারাপ ও খোলামেলা দৃশ্য; আর এই খারাপ ও খোলামেলা দৃশ্য যে কোন ধর্মে অবৈধ তাই হস্তমৈথুন করা থেকে না করায় একটি উত্তম কাজ।
হস্তমৈথুন করা কি স্বাস্থ্যকর?
হস্তমৈথুন করা একটি অস্বাস্থ্যকর কাজ নয় সহনীয় মাত্রায় হস্তমৈথুন করলে কোন শারীরিক সমস্যা দেখা যায় না এটি স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ক্রিয়ার মধ্যেই পড়ে।
তবে এটি স্বাস্থ্যকর কিংবা অস্বাস্থ্যকর এই প্রশ্নে যাওয়ার আগে একটি বিষয় জেনে নিন অতিরিক্ত মাত্রায় হস্তমৈথুন করা পুরোপুরি অস্বাস্থ্যকর একটি কাজ।
যেহেতু হস্তমৈথুন করার মাধ্যমে আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ক্যালরি নির্গত হয়ে যায় তাই এটি কখনোই স্বাস্থ্যকর কাজের মধ্যে পড়ে না। তবে এটি স্বাস্থ্য ক্ষতিমূলক কাজের মধ্যেও পড়ে না, যদি না আপনি এটি কি নেশা হিসেবে মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে নিয়ে যান।
হস্ত মৈথুনের কতদিন পর করা উচিত?
এই প্রশ্নটি অধিকাংশ যুবক যুবতীর। অনেকেই না জেনে না বুঝে মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার আসক্ত হয়ে যান। এটি যে কতটা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে সেটি তারা খেয়াল করেন না। সেজন্যেই অনেকেই জানতে চান হস্তমৈথুন কত দিন পর করা উচিত।
হস্তমৈথুন করার ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞান একটি নির্দিষ্ট মাত্রা দিয়েছেন। কেননা আপনাদের পূর্বেই বলেছি আমাদের অন্ডকোষে সিমেন্ট বা বীর্য প্রতিদিন উৎপন্ন হতে থাকে তাই হস্তমৈথুন নির্দিষ্ট মাত্রায় করলে এটি সহনীয় হয়ে যায় এবং স্বাস্থ্যের তেমন কোন ক্ষতি করে না।
এখন প্রশ্ন হল কতদিন পরপর হস্তমৈথুন করলে শরীরের সাথে সাথে ভবিষ্যৎ যৌন জীবনের কোন ক্ষতি হবে না? এর উত্তর হল, আপনি যদি সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার হস্তমৈথুন করেন তাহলে আপনার শরীরের এবং ভবিষ্যৎ যৌন জীবনের তেমন কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে আমার নির্দোষনা এতোটুকুই থাকবে যে আপনি যতটা সম্ভব এই বদভ্যাস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। দিনশেষে হস্তমৈথুন আপনাকে ক্ষতিকর জীবনের দিকেই নিয়ে যাবে এবং এটি আপনাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে দিতে পারে।
হস্তমৈথুন কিভাবে আমাদের ক্ষতি করছে এবং এর ক্ষতিকারক দিকগুলো জানতে নিজের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন এবং হস্তমৈথুন থেকে বাঁচতে চাইলে নিজের আর্টিকেলে দেখানো পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন।
Also Read
হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায়? এই অভ্যাস আপনাকে কিভাবে ধ্বংস করছে দেখে নিন