মোবাইল দিয়ে বিটকয়েন আয় | ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়

মোবাইল দিয়ে বিটকয়েন আয় | ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়


অনলাইনে ইনকামের চর্চা এখন বাংলার শহর থেকে ছাড়িয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করা একজন যুবক বা যুবতিও এখন অনলাইনে ইনকামের ব্যাপারে ভালভাবেই যানে। তবে সঠিক গাইডলাইন বা দিকনির্দেশনার অভাবে তারা সফলভবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারছে না। 

তাই এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে সঠিক দিকনির্দেশনার সাথে অনলাইনে ইনকামের এমন কিছু উপায় নিয়ে হাজির হলাম যার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিতভাবে জীবনের প্রথম ডলার অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।

এই পোস্টটিতে আপনাদের সাথে অনলাইনে ইনকামের যে উপায়টি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি সেটি হল ক্রিপ্টোকারেন্সি। ক্রিপ্টোকারেন্সি হল চলমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভার্চুয়াল কারেন্সি। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করার ব্যাপারে আপনাদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে শুনেছেন অথবা অনেকেই এ বিষয়ে এখনও কিছুই শুনেন নি তবে সমস্যা নেই আমি এই পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি এবং এটাও জানাতে যাচ্ছি যে কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করা যায়।



ক্রিপ্টোকারেন্সি কি? 

ক্রিপ্টোকারেন্সি হল ডিজিটাল মুদ্রা। এর সম্পর্কে বিস্তারিভাবে বলতে গেলে রাত পার হয়ে যাবে। যেহেতু আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি এর ওপর PHD করবেন না, তাই আপনার জন্য যতটুকু জানা প্রয়োজন ততটুকুই বলছি। 

টাকা, ডলার, রুপি যেমন এক একটি কারেন্সি ঠিক তেমনিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সিও এক ধরনের কারেন্সি। যদিও এদের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে, কিন্তু ভাবগত অর্থ বা ব্যবহারিক অর্থ বিবেচনা করলে দেখা যায় ক্রিপ্টোকারেন্সি ও টাকা ও ডলারের মত এক ধরনের কারেন্সি। কিন্তু এদের মধ্যে পার্থক্য কি?

ক্রিপ্টোকারেন্সি হল এমন এক ধরনের কারেন্সি যার কোনো শারীরিক রূপ নেই, এই কারেন্সি ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না। এই করেন্সিকে কোনো একক প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ বা মজুদ করতে পারে না। 

ধীরে ধীরে ক্রিপ্টোকারেন্সি এর জনপ্রিয়তা বাড়ার ফলে এটি ক্ষেত্রটি একটি বাজার এ পরিণত হয়েছে। বর্তমানে প্রতিনিয়ত শত শত ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে লিস্টেড হচ্ছে। এদের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি হল,, বিটকয়েন, ইথিরিয়াম, লাইটকয়েন, ডগি-কয়েন ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করা সম্ভব। 



ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় কিভাবে করব?

ইন্টারনেটে হাজারো উপায় রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনকাম করার। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করতে হলে সর্বপ্রথমে আপনাকে নিদ্রিষ্ট একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি বাছাই করে নিতে হবে। তাহলে ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনকাম করার জন্য কোনো কারেন্সিটি বেছে নেব? 

ইন্টারনেটে যতগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সি পাওয়া যায় এদের মধ্যে সেরা হল বিটকয়েন। বিটকয়েনকে mother of cryptocurrency বলা হয়ে থাকে। বর্তমান বাজার অনুসারে ১ বিটকয়েনের এর দাম প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা, এই দাম প্রায়শই উঠা নামা করে। 

আমি ধরে নিলাম আপনি বিটকয়েন নামক ক্রিপ্টোকারেন্সি কি ইনকাম করতে চাচ্ছেন। কিন্তু কিভাবে বিটকয়েন আয় করবেন। বিটকয়েন ইনকাম করার পূর্বে বিটকয়েন সম্পর্কে আপনার কিছুটা হলেও ধারণা থাকা আবশ্যক তাই নিজে বিটকয়েন সম্পর্কে কিছুটা ধারনা নেওয়ার চেষ্টা করছি।



বিটকয়েন কি?

বিটকয়েন হল পৃথিবীর হল পৃথিবীর সর্বপ্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি। এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ২০০৮ সালে প্রথম বাজারে নিয়ে আসা হয়। তখন একটি কয়েনের দাম ছিল ০.১ ডলার বা ৮ টাকা। কিন্তু আজকে সেই কয়েনের দাম বেড়েছে কয়েক লক্ষ গুণ। 

বিটকয়েন যখন প্রথম প্রকাশ করা হয় তখন খুব সহজেই যে কেউ বিটকয়েন মজুদ করে রাখতে পারত বা মাইনিং করতে পারত। মাইনিং বলতে বোঝানো হচ্ছে বিটকয়েন উৎপাদন, কম্পিটারের সাথে বিভিন্ন মাইনিং Equipment যুক্ত করে মাইনিং PC বানিয়ে সেই PC এর পাওয়ারকে ব্যাবহার করে বিটকয়েন মাইনিং করা হত।

কিন্তু দাম বাড়ার সাথে সাথে বিটকয়েন মাইনিং আরো জটিল ও ব্যায়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১২ বছর আগে যেখানে খুব সহজে এক বিটকয়েন মাইন করতে ১ ঘণ্টা সময় লাগত এখন সেই সময়ের মাত্রা বেড়েছে কয়েক লক্ষ গুণ। একটি কথা মাথায় রাখবেন বিটকয়েন মাইনিং যতই কঠিন হবে এর দাম ততই বাড়বে। 


বিটকয়েন কিভাবে আয় করা যায়? 

বিটকয়েন কি সেটা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এবার আজকের আলোচনা যেই বিষয়কে কেন্দ্র করে "কিভাবে বিটকয়েন আয় করা যায়?" এই বিষয়ে ফিরে আশা যাক। বিটকয়েন নামক ক্রিপ্টোকারেন্সি টি আয় করার মূলত অনেক গুলো উপায় রয়েছে, এর মধ্যে কিছু উপায় আপনি ফ্রীতে বিটকয়েন আয় বা ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় করতে পারবেন আবার কিছু উপায় বিটকয়েন আয় করার জন্য আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। 

আপনারা যারা নিয়মিত আমার অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কিত আর্টিকেলগুলো পড়েন তারা জানেন, আমি আপনাদের সর্বদাই ফ্রীতে টাকা আয়ের ব্যাপারে বেশি জোর দিয়ে থাকি। তাই আজকেও এর ব্যাতিক্রম হবে না। আমি প্রথমে বিটকয়েন আয়ের ফ্রি উপায় গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব এবং এর পরে পর্যায়ক্রমে বিনিয়োগ করে বিটকয়েন আয়ের উপায় গুলো নিয়েও কথা বলব। আশা করি সাথেই থাকবেন। 


বিটকয়েন আয়ের ফ্রি উপায় | বিটকয়েন আয়ের সহজ উপায়

ফ্রিতে বিটকয়েন আয় করা যে খুব একটা সহজ কাজ এমনটা কিন্তু নয়। যেখানে ইনভেস্ট করেও মানুষ আশানুরূপ বিটকয়েন আয় করতে পারছে না সেখানে ফ্রিতে বিটকয়েন আয় করতে হলে আপনাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সঠিক উপায়ে কাজ করলে ফ্রীতে বিটকয়েন আয় করা খুব একটা কঠিন কাজ হবে না আপনার জন্য।  


১. Airdrop joining

ফ্রীতে বিটকয়েন ইনকমের সবচেয়ে সেরা উপায় হল Airdrop Joining, এই উপায় অবলম্বন করে আপনি সন্তোষজনক পরিমানে বিটকয়েন ইনকাম করতে পারবেন। এয়ারড্রপ কি? কিভাবে কাজ করতে হয়? সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের নিচের পোস্টটি পড়তে পারেন। 


এয়ারড্রপ কি? কিভাবে এয়ারড্রপ থেকে মাসে ১০০০ ডলার আয় করবেন?

এবার মুল আলচনায় ফিরে আসা যাক, তাহলে আপনারা জানলেন এয়ারড্রপ থেকে মাসে ১০০০ ডলারেরও বেশি পরিমানে বিটকয়েন আয় করা সম্ভব। তবে আপনারা যারা এখনো এয়ারড্রপ  সম্পর্কে কিছুই জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চাই।

দেখুন যখন বিটকয়েন মার্কেটে নতুন আসে তখন মানুষকে ফ্রিতেই বিটকয়েন দেওয়া হচ্ছিল। কেননা এই ক্রিপ্টোকারেন্সি তখনো এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করে নি। কিন্তু ধীরে ধীরে বিটকয়েন জনপ্রিয় হলো বিটকয়েন এর দেখাদেখি বাজারে নতুন নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি লঞ্চ শুরু হয়। নতুন এই ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মানুষকে ফ্রিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা টোকেন দেওয়া শুরু করে। এর ফলে মানুষ সেই ফ্রী টোকেন গুলো সংগ্রহ করে কিছুদিন পরেই বিটকয়েন এ রূপান্তরিত করে অর্থ উপার্জন শুরু হয়। 

উপরে যে উল্লেখ করলাম, "নতুন ক্রিপ্টো গুলো নিদ্রিষ্ট সময় পর্যন্ত ফ্রীতে টোকেন দেয়" এই নিদ্রিষ্ট সময়টাই হল Airdrop, আশা করি বুঝতে পেরেছি। তাহলে কিভাবে Airdrop এর মাধ্যমে বিটকয়েন আয় করা সম্ভব সেটা নিশ্চিত আপনারা জেনে গেছেন।  



২. Referral Program

রেফারেল প্রোগ্রামকে কাজে লাগিয়ে বিটকয়েন সহ পৃথিবীর সব ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করা সম্ভব। ক্রিপ্টোকারেন্সি এর বাহিরেও রেফারেল এর সাহায্যে ডলার বা ইউরোও ইনকাম করা যায় খুব সহজে। তাই আপনার যদি একটি স্ট্রং রেফারেল সিস্টেম ( referral system ) থাকে তাহলে আপনিও খুব সহজে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন। 

এখন প্রশ্ন হল কিভাবে রেফার করে বিটকয়েন আয় করা যায়? সত্যি বলতে এই প্রশ্নের উত্তরে হাজারো উপায় বলে দেওয়া যায় রেফার করে বিটকয়েন আয় করার, কিন্তু আমি কয়েকটি বিশ্বস্ত উপায়ই দেখিয়ে দিয়ে চাই। 

ইন্টারনেটে অগণিত ক্রিপ্টো কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর রেফারেল প্রোগ্রামের জয়েন করলে মোটা অংকের টাকা পাওয়া সম্ভব। উদাহারণ হিসেবে Zengo এর কথাই নেওয়া যাক। 

Zango হল একটি ক্রিপ্টো ওয়ালেট, যেখান থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ ও কেনা- করা যায়। এদের রেফারেল প্রোগ্রাম অনুসারে যখন কেউ আপনার রেফারেন্স এ জয়েন করবে তখন তার প্রতিটি ক্রিপ্টো কেনার ক্ষেত্রে আপনার একটি কমিশন থাকবে। আর এভাবেই আপনার রেফারেল যত বেশি হবে আপনার ইনকামের সুযোগ ততই বেশি থাকবে। 

এরকম আরো উদহারন দেওয়া যায়। যেমন কিছু ক্রিপ্টো ট্রেডিং কোম্পানি আছে যেখানে রেফারেল সিস্টেম বিল্ড করতে পারলে আপনি প্রতিটি রেফারেলের মানি ডিপোজিট বা মানি উইড্রো করার ক্ষেত্রে কমিশন পাবেন। 

আবার এমনও কিছু রেফারেল প্রোগ্রাম রয়েছে যেখানে রেফারেল লিংক দিয়ে ইউজার রেজিস্টার করতে পারলেই তারা আপনাকে টাকা দেবে। 

মূল কথা আপনার হাতে যদি রেফারেল থাকে, তাহলে আপনার রেফারেল চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে আপনি নিশ্চিত বিটকয়েন এর রিয়েল ক্যাশ আয় করতে পারবেন। 



৩. Website ads

আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে এবং সেই সাইটে নিয়মিত ভালো ভিজিটর ভিজিট করে, তাহলে এই প্রক্রিয়ায় আপনি যথেষ্ট পরিমাণে বিটকয়েন কিংবা অন্যান্য কারেন্সি ইন করে নিতে পারেন। 

আগে একটা সময় ছিল যখন ওয়েবসাইট বা ব্লগ মনিটাইজ করার জন্য শুধুমাত্র গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমান সময়ে হাজারো এড নেটওয়ার্ক ( বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানি ) মার্কেটে এসেছে। 

এই এড নেটওয়ার্ক গুলোর মধ্যে কিছু এড নেটওয়ার্ক হল ক্রিপ্টোকারেন্সি ভিত্তিক এড নেটওয়ার্ক। অর্থাৎ এই বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানি গুলো পাবলিশারদের ( ব্লগ বা সাইট এর মালিক ) এড দেখানোর বিনিময়ে ডলার না দিয়ে, ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে থাকে। যেমন : বিটকয়েন ইথিরিয়াম লাইট কয়েন ইত্যাদি।

তাই আপনি যদি একজন ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর মালিক হল যেই ব্লগ বা ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর আসে তাহলে আপনিও এই বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানি গুলো থেকে বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করতে পারেন। 



৪. Survey Jobs

সার্ভে জব কমপ্লিট করি বিটকয়েন আয় করা সম্ভব। বর্তমানে এমন অনেকগুলো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সার্ভে কমপ্লিট করে বিটকয়েন আয় করা যায়। তাই আপনি যদি সার্ভে জব করতে দক্ষ হয়ে থাকেন  তাহলে আপনি সার্ভে জবস করেও বিটকয়েন আয় করতে পারেন। 



৫. Faucet pay or PTC site

উপরে আলোচনায় ফ্রিতে বিটকয়েন আয়ের যে সেরা ৪ টি মেথদ বা পদ্ধতি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম, এই চারটি উপায়ে যদি আপনি বিটকয়েন ইনকাম করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার জন্য সর্বশেষ এই উপায়টি কার্যকর প্রমাণিত হবে বলে আমি মনে করি। 

Faucet বা PTC ওয়েবসাইট হল এমন এক ধরনের সাইট যেখানে আপনি এড বা বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে টাকা পাবেন। যদিও এই টাকার পরিমাণ বেশ কম। তবুও আপনি যদি কিছু না এবং অনলাইনে বিটকয়েন আয়ে বেশ উৎসাহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই পদ্ধতিটি একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।


বিটকয়েন আয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করা

Organic ভাবে বা ফ্রিতে যে কোনো কাজ করা একটু বেশি কঠিন, শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ হয়ে থাকে। তেমনিভাবে ফ্রিতে বিটকয়েন আয় করাও কিন্তু শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। ফ্রিতে বিটকয়েন আয় করতে চাইলে আপনাকে দীর্ঘ একটা সময় পর্যন্ত পরিশ্রম করে যেতে হবে। 

আর এই পরিশ্রমটা অনেকে স্কিপ করে বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করে বিটকয়েন আয় করার কথা ভাবে। সত্যি বললে বিনিয়োগ করে খুব কম সময়ের মধ্যেই বিটকয়েন আয় করা যায়। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে সামান্য হলেও ঝুঁকি নিতে হয়। 

তো এবার আপনি যদি ঝুঁকি নিতে রাজি থাকেন তাহলে চলুন ইনভেস্ট করে বিটকয়েন বা BTC আয় করার দিকে এগোনো যাক।  



১. ক্রিপ্টো ট্রেডিং

ট্রেডিং কি? তা আমরা অনেকেই বুঝি। আর ক্রিপ্টো ট্রেডিং কি বুঝেন ? আসলে ক্রিপ্টো ট্রেডিং হল ট্রেডিং এর মতই একটি ধারণা। ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে যেভাবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের ক্রয়-বিক্রয় হয় গ্রাফ চার্ট অনুসারে, ঠিক তেমনিভাবে ক্রিপ্টো ট্রেডিং এর ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি এর ক্রয়-বিক্রয় করে টাকা আয় করা যায়। 

ক্রিপ্টো ট্রেডিং করে বিটকয়েন একটি চমৎকার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণেরা বর্তমানে বিভিন্ন মোবাইল এপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইটে গিয়ে ক্রিপ্টো ট্রেডিং করে বিটকয়েন আয় করতে ব্যাস্ত। তাই আপনিও এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন, যদি আপনি বিনিয়োগ করে বিটকয়েন আয়ে উৎসাহী হয়ে থাকেন।  

তবে মনে রাখবেন ট্রেডিং করে আপনি যে নিশ্চিত ক্যাশ আয় করতে পারবেন এর নিশ্চয়তা আপনাকে কেউ দিতে পারবে না। এই কাজে আপনার টাকা আসার পাশাপাশি টাকা চলে যেতেও পারে। তবে ঝুকি নেওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনি এই কাজে নামতে পারেন। 

Binance, ExpertOption  এর মত বিশ্বস্ত ট্রেডিং কোম্পানি বর্তমান সময় জনপ্রিয় ও সর্বসাধারনে বিশ্বস্ত। তাই আপনি চাইলে আজই একটি একাউন্ট করে বিটকয়েন ট্রেডিং শুরু করে দিয়ে পারেন। 



২. মাইনিং

বিটকয়েন কি বিনিয়োগ করতে চাইলে মাইনিং এর থেকে সেরা কোন উপায় নেই। বিটকয়েন মাইনিং বেশ জটিল ও ব্যায়বহুল একটি প্রক্রিয়া হলেও এই প্রক্রিয়ায় নিশ্চিতভাবে ভালো পরিমাণে বিটকয়েন আয় করা সম্ভব।

মাইনিং করে বিটকয়েন আয় করার জন্য মাইনিং পিসি করা দরকার। বিটকয়েন মাইনিং পিসি গুলো নরমাল পিসি এর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ও ব্যাপক ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। এই পিসি গুলোর বিল্ডিং সিস্টেম সম্পূর্ন আলাদা ও এদের জন্য প্রয়োজন সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা। 

এই পিসি গুলো ২৪ ঘণ্টা সচল থেকে নিজের হর্স-পাওয়ার দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং করতে থাকে তাই এই উপায়ে বিটকয়েন মাইনিং বেশ ব্যায়বহুল। ইন্টারনেটের তথ্য অনুসারে জানা যায় একটি ভালো মাইনিং পিসি বিল্ড করতে প্রায় ৬ থেকে ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।


Next Post Previous Post