ভালোবাসার গল্প | ভালবাসার গল্প | রোমান্টিক গল্প , বাংলা রোমান্টিক গল্প
গল্প বিনোদনের অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যুগে যুগে গল্পের মাধ্যমে হয়েছে নতুন কিছু শুরু, গল্পই হয়েছে অনুপ্রেরণা অন্যতম কারণ।
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আজকে আমরা ভালোবাসার গল্প, রোমান্টিক গল্প, প্রেমের গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আপনার যারা ভালবাসার গল্প ও রোমান্টিক গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্যই লেখা হয়েছে এই আর্টিকেলের ভালোবাসার গল্প গুলো।
ভালোবাসার গল্প ( valobasar golpo )
মন ছুঁয়ে যাওয়া ভালোবাসার গল্প গুলো আমাদের বরাবরই পছন্দের হয়ে থাকে। এই আয়োজনে উল্লেখিত ভালবাসার গল্প ও রোমান্টিক গল্প গুলো সতিই মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত।
এই আলোচনার প্রথম রোমান্টিক গল্পটিও আপনাদের মন ছুয়ে যাবে বলে আমার ধারণা। প্রথমে আপনাদের সাথে যে ভালবাসার গল্প কাহিনী টি শেয়ার করতে চলেছি তার নাম হল " প্রেমের রূপায়ণ "
রোমান্টিক গল্প ( বাংলা রোমান্টিক গল্প )
তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করতে চলেছি সেরা ভালবাসার গল্প " প্রেমের রূপায়ণ " । আশা করছি আপনারা সম্পূর্ন প্রেমের গল্পটি পরবেন এবং উপভোগ করবেন।
"প্রেমের রূপায়ণ"
শুনেছি বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, কথাটি কতটুকু সত্য সেটা আমার গল্পটি পরলেই জানবেন।
"বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়" কথাটি সত্য। আমার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে কিন্তু একটু ভিন্ন ভাবে।
আমি বরুণ, এখন মাস্টার্স করছি সাথে প্রেমও করছি☺️। আজ থেকে তিন বছর আগের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের থেকেই আমার প্রেমের হাতেখড়ি। তাই সরাসরি সেই বিয়ে বাড়িতেই যাচ্ছি।
৩ বছর আগের ঘটনা,
আমার ফুপাতো বোনের বিয়ে। বাংলার বিয়ের অনুষ্ঠানের বিশেষ তিনটি দিন, গায়ে হলুদ, কন্যা দান আর একটা কি সেটা তো আপনারা জানেন ।
এই দিনগুলির একটি দিন, কন্যা দান, ছেলে পক্ষ থেকে শ খানেক বরযাত্রী আসলো। তাদের মধ্যে বেশ কিছু সুন্দরী মেয়েও ছিল। তখন আমি অনার্সে অধ্যয়নরত এক সদ্য যুবক।
যুবকরা বিয়েতে স্বভাবতই যা করে, মেয়ে দেখা আমিও তাতেই মগ্ন ছিলাম। তবে তাদের মধ্য থেকে একজনের সাথে আমার খুব ভালো সখ্যতা গড়ে উঠল।
তার নাম দিপালী। সে আমাদের কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এই সূত্রেই পরিচয় শুরু এবং সেখান থেকে কথাবার্তা। আমি যেহেতু তার কলেজ ইমিডিয়েট তাই সেও বেশ আগ্রহের সাথে আমার সাথে কথা বলছে।
এভাবেই একপর্যায়ে ফেসবুক আইডি নেওয়া। ধীরে ধীরে কথা শুরু, কলেজে নিয়মিত দেখা করা, কলেজের কেন্টিনে একসাথে কফি খাওয়া, মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া। মাস খানেকের মধ্যেই তার সাথে খুব ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যেই সম্পর্ককে আমরা একটু আলাদাভাবে বিবেচনা করতাম, বন্ধুত্বের সম্পর্ক তো একেবারেই না, এর বাইরে কিছু একটা।
দুজনেই বুঝলাম নিজেদের প্রতি আমরা একটা আকর্ষণে মোহিত হয়ে গেছি। একদিন আমি তাকে নদীর ধরে হাঁটতে যাবো বলে দেখা করতে বললাম। সে আসলো, আমি তাকে নিয়ে নদীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম।
আমি - চল নদীর পাড়ে কিছুক্ষন হাটি।
দিপালী - আজকে হটাৎ নদীর পাড়ে আসতে মন চাইলো কেন?
আমি - আজকে তোমাকে বিশেষ কিছু কথা বলতে চাই
দিপালী - বলো তো শুনি তোমার বিশেষ কথা।
আমি - দিপালী মন দিয়ে শোন, আমি তোমাকে এমন এক বিশেষ কথা বলতে যাচ্ছি যা ইতিপূর্বে করো সামনে উপস্থাপন করি নি।
" দীর্ঘদিন আমি একাকী জীবন অতিবাহিত করেছি। এখন তোমার সাথে থাকলে মনে হয় যেন আমি পূর্ণতা পেয়েছি। আমি তোমাকে আরো কাছ থেকে জানতে চাই।
তোমার সাজে সেজে, তোমার সাথেই থাকতে চাই। সহজ ভাবে বললে আমি তোমাকে নিজের করে পেতে চাই। আমি তোমার প্রেমিক হতে চাই দিপালী।
আমি জানতে চাই তুমি কি আমার ভালোবাসা গ্রহণ করবে?
দিপালী - খুশিতে অবাক হয়ে, মুখে হাত দিয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যা-সূচক জবাব দিল।
ভালবাসা গল্প ( valobasar golpo )
এভাবে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হল। বেশ কিছুদিন জুটিয়ে প্রেম করলাম দুজনেই। মেসেঞ্জার বলা কথাগুলো যেন আগের থেকেও মধুময় মনে হতে লাগল, দেখা করার দিনগুলো যেন জীবনের সবচেয়ে বড় আয়োজন গুলোর মত মনে হতে লাগল। তার সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো যেন খোলা হাত থেকে জল চুইয়ে পড়ার মত অতিবাহিত হতে লাগল।
সময়কে যেন আটকে রাখা যাচ্ছে না। এভাবেই কেটে গেল একটি বছর। এই এক বছরের মধ্যে তার সাথে শহরের সব জায়গা ঘুরে দেখেছি, এই এক বছরের মধ্যে তার সাথে শহরের প্রতি রেস্টুরেন্ট এ ডিনার করেছি, এই এক বছরে তাকে বাজারে প্রচলিত সব জাতের ফুল উপহার দিয়েছি, এই একটি বছরে তাকে নিয়েই চিন্তা করেছি, তার সব শখ-আহ্লাদকে গুরুত্ব দিয়েছি, তাকে সর্বদা খুসি রাখার চেষ্টা করেছি।
সম্পর্কের জের ধরে একমাত্র আমিই যে সব করেছি এমনটা নয়। সেও যথেষ্ঠ অবদান রেখেছে। ভালোবাসার গল্প গুলো এমনই হয়, কেউ কোনোভাবেই কম অবদান রাখে না সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে।
কিন্তু,,, কিন্তু সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো দেওয়া নেওয়ার ওপর টিকে থাকে না। দেওয়া নেওয়াতে আমাদের সম্পর্ক ঠিক থাকলেও সত্যিকারের ভালোবাসাতে আমাদের সম্পর্ক ছিল পিছিয়ে। আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমি সেটা ভালোভাবে টের পেলাম।
চলবে..