ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কেন করব? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করা যায়? ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন ?

ফ্রিল্যান্সিং কি ও ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন ?
how to become a freelancer in bd 


বস ও অফিসের গন্ডিতে নিজের কর্মজীবনকে  আবদ্ধ না রেখে কাজের স্বাধীনতা ও সফল ক্যারিয়ার গঠন করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। দেশের বেশিরভাগ তরুণই এখন এই সম্ভাবনাময় পেশার দিকে ঝুঁকছে।  

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করা যায়? এই প্রশ্নটিই দ্বারা বোঝা যাচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আগ্রহী এবং ফ্রিল্যান্সিং-এ আপনি একদম নতুন। তাই এই পোস্টে আমি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে সাহায্য করবো। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে সাথেই থাকবেন যাতে করে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আপনার ধারণা একেবারে পাকা-পোক্ত হয়ে যায়।


ads

শুরু করার আগে : 

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন হন তাহলে এই পোস্টটি আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দিবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে। আর ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আগে থেকেই আপনার যদি কিছুটা ধারনা থাকে, তাহলে এই আর্টিকেলের আপনি নতুন কিছু শিখবেন বলে আমি আশাবাদী।


    ফ্রিল্যান্সিং কি? 

    ফ্রিল্যান্সিং হল মুক্ত পেশা। সাধারণভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হল এমন এক পেশা যেখানে, ফ্রিল্যান্সার( যে ফ্রিল্যান্সিং করে ) বা একজন কর্মী নিজের ইচ্ছামত কাজ ও কাজ-দাতাকে বাছাই করে নিতে পারে এবং সেই কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। ( ফ্রিল্যান্সিং কেন করব? )

    আমি এখানে কোন সংজ্ঞার মাধ্যমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং বোঝাতেও চাইনা, উদাহরণের মাধ্যমে আপনার কাছে বিষয়টি পরিস্কার করে দিচ্ছি। ( ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শিখব )


    ফ্রিল্যান্সিং পরচিতি 

    ধরুন আপনার একটি পত্রিকা আছে। সেই পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন লেখার জন্য আপনার একজন লেখক এর প্রয়োজন হবে। যিনি প্রতিবেদন এর বিষয়ে দক্ষ লেখক ।

    কোন এক মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন, আমি আপনার কাঙ্খিত প্রতিবেদনের বিষয়ে একজন ভালো লেখক। তাই এক্ষেত্রে আমি আপনাকে প্রতিবেদনটি লিখে দিলে আমি একজন ফ্রিল্যান্সার এর ভূমিকা পালন করলাম। 

    আর আপনি যেহেতু কাজ-দাতা তাই আপনি এখানে আউটসোর্সার এর ভূমিকা পালন করলেন। তাহলে এই পুরো ঘটনাটা কে বলা হবে ফ্রিল্যান্সিং। 

    তাহলে কোন ধরনের অফিস বা চাকরি অথবা প্রাতিষ্ঠানিক চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে, যখন-তখন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কাজের ক্রয়-বিক্রয় হলো ফ্রিল্যান্সিং।

    আরো পড়ুন 

    ভিডিও দেখে টাকা আয় বাংলা গাইড ২০২২

    ব্লগিং কি? ব্লগিং থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন? 

    কন্টেন্ট রাইটিং, কন্টেন্ট রাইটিং কি? কন্টেন্ট রাইটিং করে টাকা আয়।


    ads

    ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং নিয়ে যত কথা

    আউট সোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে আমাদের বাংলাদেশে ব্যাপক misunderstanding ( ভুল বোঝা বুঝি ) হয়ে থাকে এই অংশে আপনাদের সব দ্বিধা দূর হয়ে যাবে আশা করি। (ফ্রিল্যান্সিং কেন করব)  


    আউটসোর্সিং কাকে বলে? 

    আউটসোর্সিং:  অনেকেই মনে করে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং একই বিষয় কিন্তু ব্যাপারটা একদমই এমন না। অউটসোর্সিং ও  ফ্রিল্যান্সিং সম্পূর্ণ দুটি আলাদা বিষয়। ( ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শিখব )

    আউটসোর্সিং হল কোন কাজ আউটসোর্স করা বা কোনো কাজের উৎস হওয়া অর্থাৎ কোনো কর্মচারীর জন্য কাজ দাতা বা কাজ পাওয়ার মাধ্যম হয়ে, সেই  কর্মচারীর সাহায্যে কাজটি করিয়ে নেওয়া। 

    উপরের উদাহরণটিতে আপনি একজন কাজ দাতা, আপনি আমার দ্বারা কাজটি করিয়ে নিলেন তাই আপনার কাজটি হলো  আউটসোর্সিং। আর যে আউটসোর্সিং করে তাকে বলা হয় আউটসোর্সার।


    ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে? 

    ফ্রিল্যান্সার: যে ফ্রিল্যান্সিং করে তাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। উপরের উদাহরণটিতে আমি আপনার কাজটি করে দিয়েছি তাই আমি একজন ফ্রিল্যান্সার।


    ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

    ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানার পরে এই সেক্টরে কি কি ধরনের কাজ করতে হয় সেটা জানতে আগ্রহী হওয়াটাই স্বাভাবিক বিষয়। ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি ধরনের কাজ করতে হয় সেটা জানা অবশ্যই অতি গুরুত্বপূর্ণ। ( ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শিখব )

    তাই চলুন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের তালিকা গুলো একবার দেখে নেয়া যাক। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে পূর্বেই একটি আর্টিকেল এই ব্লগের লেখা হয়েছে। বিস্তারিতভাবে প্রতিটি কাজ সম্পর্কে সেই আর্টিকেলে উল্লেখিত রয়েছে চাইলে একবার দেখে আসতে পারেন। ( ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ )


    ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের তালিকা

    ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে হাজারো কাজ পাওয়া যায়। যার মধ্যে কিছু ডিজাইন সম্পর্কিত, কিছু ডেভলপমেন্ট সম্পর্কিত, কিছু এডিটিং সম্পর্কিত আবার কিছু রিসার্চ সম্পর্কিত। আমি মুল মূল কাজগুলো এখানে তুলে ধরলাম বিশদ আলোচনা পূর্বের আর্টিকেলে উল্লেখিত।

    ০১. ওয়েব ডিজাইন 

    ০২. ওয়েব ডেভলপমেন্ট 

    ০৩. গ্রাফিক্স ডিজাইন 

    ০৪. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ( SEO ) 

    ০৫. কন্টেন্ট রাইটিং 

    ০৬. অ্যাপ ডেভপমেন্ট

    ০৭. এডমিন জবস

    ০৮. ডাটা এন্ট্রি 

    ০৯. মার্কেটিং জবস 

    ১০. ভিডিও এডটিং

    ১১. ফটো এডিটিং 

    ১২. এন্ড্রয়েড ডেভলমেন্ট

    ১৩. ব্লগ আর্টিকেল রাইটিং 

    ১৪. ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিনস ডেভলপমেন্ট 


    ইত্যাদি ইত্যাদি ।....

    আরো পড়ুন 


    ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়?

    ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ জানার পরে এবার জানা যাক কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ করা যায়? ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ মূলত দুই ভাবে করা যায়।

    ১. মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করা 

    ২. মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফ্রিল্যান্সিং করা

    ads

    ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কি ? 

    মার্কেটপ্লেস বলতে এমন কিছু কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হচ্ছে যারা ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সার এর মধ্যে মধ্যস্থতা করে। ( ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ  )

    অর্থাৎ একজন ফ্রিল্যান্সার যেন ঠিকভাবে কাজটি করে টাকা পায় এবং একজন আউটসোর্সার যেন নিজের কাজটি ঠিক ভাবে বুঝে পায়, এসব বিষয় তদারকি করাটাই হল মার্কেটপ্লেস এ এর কাজ।


    মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করা। 

    মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা বলতে কোন মার্কেটপ্লেসের অধীনে একাউন্ট করে,  ফ্রিল্যান্সিং জব করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করাকেই বোঝানো হয়েছে। 

    এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সারকে কোন একটি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে বায়ারের কাছ থেকে কাজ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয়।


    মার্কেটপ্লেস এর বাইরে ফ্রিল্যান্সিং করা

    এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার শুধু মার্কেটপ্লেস এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে মার্কেটপ্লেস এর বাইরে কাজের সন্ধান করে এবং এভাবে ফ্রিল্যান্সিং জব কমপ্লিট করে ইনকাম করে থাকে।

    সাধারনত নতুন ফ্রিল্যান্সারা এই উপায়ে কম সফলতাই পেয়ে থাকে। কারণ যারা এই উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের সাথে অনেকগুলো ক্লায়েন্ট এর যোগাযোগ থাকে যার ফলে তারা মার্কেটপ্লেস এর বাইরে সহজেই কাজ পেয়ে যায়।


    ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করা যায়?

    আর্টিকেলটির এই পর্যন্ত এসে ধারণা করা যায় যে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটা ভালো আইডিয়া পেয়েছেন। তাহলে এবার পরবর্তী পদক্ষেপ হল ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করা যায় ?

    তো ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে, সর্ব প্রথম আপনাকে যে কোন একটি ফ্রিল্যান্সিং জব বাছাই করে নিতে হবে। আপনি একসাথে সবগুলো কাজ শিখতেও পারবেন না এবং একসাথে সবগুলো কাজ করতেও পারবেন না।তাই আপনাকে যেকোনো একটি কাজ বাছাই করে নিতে হবে। ( ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শিখব )


    ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন কাজ বাছাই করবেন? 

    সত্যি বলতে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যে আপনি কোন কাজ বাছাই করবেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য।

    প্রথম প্রথম অনেকেই এই সমস্যায় পড়ে থাকে কিন্তু এই সমস্যা থেকে বের হওয়া ততটাই কঠিন না। সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ আপনার উপর। আপনি কোন কাজ বাছাই করবেন সেটার সিদ্ধান্ত নিজের দক্ষতা ও আগ্রহের উপর ভিত্তি করে নিতে হবে।

    এক্ষেত্রে আমি "হার্শ আগারওয়াল" এর মত করে বলব, " যে কোনো কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কাগজ ও কলম নিয়ে বসে পরুন এবং এমন কিছু কাজের তালিকা করে ফেলুন যার ওপর আপনার চরম আগ্রহ ও কিছুটা হলেও ধারনা আছে।" 

    এক্ষেত্রে আপনার যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। এমন একটি বিষয় নির্বাচন করুন যেটাতে পুরো-দিন কাজ করলেও আপনার খুব একটা বিরক্তি আসবে না। ( ফ্রিল্যান্সিং এর কাজসমূহ )

    কোন কাজে ভালোভাবে আপনি দক্ষ সেটা একমাত্র আপনিই ভালো জানেন। কোন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেটার সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। 


    ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখা ( ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শিখবো? )

    ধরে নিলাম আপনি একটি ফ্রিল্যান্সিং জব বাছাই করে নিয়েছেন এবার আপনার পরবর্তী ধাপ হলো কাজ শেখা। কোথায় ও কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং জব শিখবেন সে বিষয়ে পর্যায়ক্রমে নিচে আলোচনা করা হবে। 

    ads

    ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করা ও কাজ পাওয়ার চেষ্টা করা

    কাজ শেখা শেষ হলে আপনার পরবর্তী টার্গেট হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করা এবং কাজী পাওয়ার চেষ্টা করো। তবে মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট করার আগে নিজেকে যাচাই করে নিন যে আপনি সত্যিই কি পুরোপুরি ভাবে কাজ শিখিয়েছেন কি না।

    তো কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায় সে বিষয়ে মোটামুটি একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। সব গুলো আলোচনা সংক্ষিপ্ত ছিল বিস্তারিত আলোচনা নিজে করা হয়েছে। 

    কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? এর উত্তরে আমি শুধু আপনাকে একটা নকশা করে দিলাম যে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যায়। বিস্তারিত জানতে নিচে পড়তে থাকুন।

    আশা করি এই পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে, আপনার ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা পরিষ্কার হয়েছে। তাই এবার বিস্তারিত আলোচনার দিকে যাওয়া যাক, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়? 

    আরো পড়ুন 


    ফিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ? ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়

    ফ্রিল্যান্সিং শেখা অনেকগুলো কার্যকারী উপায় রয়েছে ,তবে শুধু একটি শেখার উপায় অবলম্বন করলেই আপনি একজন পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হবেন বলে আমি মনে করি না। 

    উদাহরণ হিসেবে বলছি ,আপনি যদি ধারণা করেন একটি কোর্স করলেই আপনি সম্পূর্ণভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখে যাবেন তাহলে এটা হবে আপনার ভুল ধারনা। কোর্স করার পাশাপাশি আপনাকে ইন্টারনেটে আর্টিকেল পড়তে হবে, ইউটিউবে ভিডিও দেখতে হবে, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে, ও প্রচুর পরিমাণে প্রাকটিস করতে হবে।

    তাই এখানে আমি ফ্রিল্যান্সিং শেখার যে কয়েকটি উপায় তুলে ধরব। হতে পারে সব কয়েকটি উপায় অবলম্বন করেই আপনাকে পরিপূর্ণভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে। তো চলুন, ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব ?  এই প্রশ্নের চুল ছেড়া বিশ্লেষনমূলক উত্তরের দিকে যাওয়া যাক 


    ইউটিউব থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখা 

    শিক্ষার ক্ষেত্রে ইউটিউব এর অবদান কতটা সেটা তো আমরা সবাই জানি। এমন কোন বিষয় নেই যা সম্পর্কে নুন্যতম ধারণা আপনি ইউটিউবে পাবেন না।

    ফ্রিল্যান্সিং এর প্রায় প্রত্যেকটি কাজের টিউটোরিয়াল আপনি ইউটিউবে সহজেই পেয়ে যাবেন। আপনাকে শুধু খুঁজে বের করে সেই ভিডিও গুলো দেখতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে প্র্যাকটিস করে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে। তাই নিজে নিজে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য ইউটিউব এর থেকে উত্তম ও ফ্রি কোনো মাধ্যম আপনি এই প্ল্যানাটে পাবেন না


    কোর্সের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা

    শুধু যে ইউটিউব ভিডিও দেখলে আপনি একজন পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হবেন এমনটা কিন্তু নয়। আবার শুধু একটি কোর্স করলেন আপনি প্রো-লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হয়ে যাবেন না । 

    আপনাকে দুটোই ব্যালেন্স করে রাখতে হবে। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে কোর্স করবেন সেখানকার ট্রেইনার ও আপনাকে ইউটিউবে ভিডিও দেখতে উৎসাহিত করবে, এটা আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। 

    ফ্রিল্যান্সিং কোর্স এর ট্রেইনার আপনাকে সঠিকভাবে গাইড করবে এবং আপনি নিজেও একটি চাপের মধ্যে থাকবেন, যেটা থাকা জরুরি। তাই কোর্স করলে আপনি উপকৃত হবেন এটা নিশ্চিত।

    শেখার সম্পূর্ণ বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার উপর ফ্রিল্যান্সিং শেখার ফেজ ( দশা ) একটি গুরুত্বপূর্ণ ফেজ। এখান থেকেই আপনার একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার যাত্রা শুরু হয় যারা এই শেখার পর্যায়ে নিজেকে ডেডিকেটেড রেখে কাজ শিখে যেতে পারে তারাই শেষপর্যন্ত সফল হয়।

    তাই ইউটিউবে হোক কিংবা কোর্সের মাধ্যমে হোক আপনাকে মনে মনে দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে হবে যে আপনি সম্পূর্ণরূপে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করবেন। 


    বই পড়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখা

    well  আমি বই পড়ে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে বলব না তবে বই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং যাত্রায় অনেক সহায়তা করবে এটা লিখে নিতে পারেন। ( ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই

    একটি বই কেনার অর্থ হল সবচেয়ে কম বিনিয়োগে কারো জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা কিনে নেওয়া।  একজন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে নিজেকে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলল, তার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রায় কি কি সমস্যা এসেছিল এবং কিভাবে সে এসব সমস্যা সমাধান করেছিল, এসব বিষয় আপনাকে অনুপ্রেরণা ও সঠিক দিক নির্দেশনা দেবে। 

    তাই ফ্রিল্যান্সিং শেখায় জন্য আপনি কিছু বইকেও অনুসরন করতে পারেন, যাতে করে আপনি অন্যদের থেকে আরো ভালোভাবে নিজেকে এই ফিল্ডে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।  


    ফ্রিল্যান্সিং শেখার বই

    এই পর্যায়ে কিছু ফ্রিল্যান্সিং শেখার  বই এর তালিকা প্রকাশ করতে চাই। আপনি আগ্রহী হলে বইগুলো কিনে পড়তে পারেন।  তবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার ক্ষেত্রে বই পড়া বাধ্যতামূলক হিসেবে ধরে নিবেন না অথবা বইকেই বেশি প্রাধান্য দেবেন না।  


    ১. ফ্রিল্যান্সার হওয়ার গল্প ( মো: আমিনুর রহমান) 

    ২. ঘরে বসে আয় করুন ( জয়িতা ব্যানার্জী) 

    ৩. আউটসোর্সিং : অভিজ্ঞদের থেকে অভিজ্ঞতা  ( মো: আমিনুর রহমান )  

     ৪. ফ্রিল্যান্সিং: ইন্টারনেট থেকে আয় ( ফ্রিল্যান্সার নাসিম ) 


    ছাড়া কিছু ব্লগ পড়ে অথবা  ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট গুলোতে নিয়মিত আর্টিকেল পড়ে আপনি ভালো ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।  

        

    ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং শেখা

    ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফ্রিল্যান্সিং শেখার জনপ্রিয় মাধ্যম। কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় আবার কিছু ওয়েবসাইটে টাকা দিয়ে কোর্স করে  ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়। তবে কোর্স এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সেখানোর ওয়েবসাইট এর সংখ্যাটাই বেশি।


    ফ্রিল্যান্সিং শেখার ওয়েবসাইট

    ১. Udemy

    2. 10munite school 

    3. Ghurilearning 

    4. Softtech it 


    ফ্রিল্যান্সিং শেখার এই কয়েকটি উপায় এর যেকোনো দুটি বা তিনটি সঠিকভাবে অবলম্বন করলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পূর্ণরূপে শিখতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং শেখা শেষ হলে এবার আপনার পরবর্তী ধাপ কাজ করার।

    আরো পড়ুন 

    জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস 

    নগদ একাউন্ট দেখার কোড 

    ট্যাপ একাউন্ট দেখার কোড 

    রিসেলার ব্যাবসার সম্পূর্ণ গাইডলাইন, রিসেলার করে টাকা আয় 

    গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করবেন কিভাবে?

    ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে করবেন? 

    তো ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখার পর্ব শেষ এবার কাজ করার পর্ব শুরু। কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা যায় তা পূর্বেই উল্লেখ করেছি। 

    আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করা যায় ?, প্রথমত মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা। দ্বিতীয়ত মার্কেটপ্লেস এর বাইরে বায়ারের সাথে ফ্রিল্যান্সিং করা।

    নতুন ফ্রিল্যান্সারদের প্রথম টার্গেট থাকে যেকোনো মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে বায়ারের কাছে প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার। তাই স্বভাবতই আমি মার্কেটপ্লেসে কাজ করার ব্যাপারে কথা বলব। 

    ads

    ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করা

    মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য আপনাকে যেকোন একটি মার্কেটপ্লেসকে বেছে নিতে হবে এবং অ্যাকাউন্ট করতে হবে। নতুনদের জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো ফাইবার 

    অভিজ্ঞরা সর্বদাই নতুনদের ফাইবারে অ্যাকাউন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং করার পরামর্শ দিয়ে থাকে, তাই আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হবে না।

    ফাইবারে কিভাবে একাউন্ট করতে হয় সে বিষয়ে অনেক টিউটোরিয়াল ইউটিউবে পেয়ে যাবেন। ফাইভার গিগ সেটআপ এবং গিগ এর এসইও এসব বিষয়ে বিস্তারিত ইউটিউবে পেয়ে যাবেন। তাই এই আলোচনায় আমি এসব সহজ বিষয়ের কিছুই উল্লেখ করব না। 

    ফাইবার বা অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে ঠিকঠাকমতো একাউন্ট এবং গিফট সেট আপ হয়ে গেলে এখন আপনার কাজ ক্লায়েন্টের অপেক্ষা করা।

    ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যেন আপনারা কোন সমস্যায় না পড়ে সেজন্য নিচে আমি কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের তালিকা উল্লেখ করছি।  


    জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস 

    সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর সংখ্যা কিন্তু কম এর মধ্য থেকে বাছাই করে কিছু মার্কেটপ্লেসকে তালিকা আকারে প্রকাশ করা সত্যিই কঠিন কাজ। বহুল পরিচিত ও বিশ্বস্ত কিছু ফ্রিল্যান্সিং  মার্কেটপ্লেস গুলো হলো...

    ১. Upwork

    ২. Freelancer

    ৩. Fiver

    ৪. People per hour

    ৫. Guru

    ৬. 99designs

    ৭. SimplyHired

    এসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় মার্কেটপ্লেস তাই এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রতিযোগিতা তুলনামূলক বেশি থাকে। সুতরাং এখানে আপনি খুব সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন এমনটা কিন্তু নয়।

    আপনার মধ্যে লড়াই করে কাজ নেওয়ার দক্ষতা ও লড়াই করার মানসিকতা থাকতে হবে। অনেকে এই পর্যায়ে ভাবতে পারেন ,যে আমি তাহলে কিভাবে সহজে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রজেক্ট পেতে পারি। 

    চিন্তা করার কিছুই নেই ফ্রিল্যান্সারের কাজের যেরকম প্রতিযোগিতা আছে ঠিক মার্কেটপ্লেসেরও সেরকমই প্রতিযোগিতা আছে। তাই কাজ করার জন্য মার্কেটপ্লেস এর অভাব হবে না। আপনি চাইলে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এ কাজ করতে পারেন যেখানে প্রতিযোগিতা অনেকটাই কম।

    আবার প্রতিযোগিতার ভয়ে কেউ কাজ শিখতে ভয় পাবেন না বা ফ্রিল্যান্সিং কি খুব কঠিন ভেবে নেবেন না। আপনি দৃঢ়তার সাথে কাজ শিখুন আপনার কাজের অভাব হবে না এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়। 


    কিছু কথা : 

    এই লম্বা আর্টিকেলটির এই পর্যন্ত আমি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল তথ্য দিয়ে গাইড করার চেষ্টা করেছি। 

    ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়? কোথা থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন?  কিভাবে শিখবেন?  কোথায় গেলে কাজ পাবেন? এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে এই আর্টিকেলটি লেখার চেষ্টা করেছি।

    আশা করি এই আর্টিকেল দ্বারা আমি আপনার কিছুটা হলেও উপকার করতে পেরেছি, যেটা করতে আমি সর্বদাই পছন্দ করি। আর্টিকেলটির এই পর্যায়ে আমি কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব যা একজন ফ্রিল্যান্সিং প্রেমী যুবকের মনে সর্বদাই আসে।

    ads

    নতুন ফ্রিল্যান্সার দের জন্য কোন মার্কেটপ্লেস ভালো? 

    নতুন ফ্রিল্যান্সাদের জন্য সমচেয়ে ভালো মার্কেটপ্লেস হল ফাইভার। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হল ফাইভাব। এখানে ক্লায়েন্ট ও কাজের সংখ্যা দাটোই ভালো । আর সবচেয়ে বর ব্যাপার হল এই মার্কেটপ্লেসে  প্রতিযোগিতা অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর তুলনায় কম। 


    ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন? 

    ফ্রিল্যান্সিং করার হাজারটা কারণ দেখানো যেতে পারে, কিন্তু সব কারণগুলো সবার সাথে যাবে না। অনেকের জন্য ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে একটি অতিরিক্ত আয়ের এর উৎস, করো জন্য ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে একটি ক্যারিয়ার, আবার কারো জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে সবাই নষ্ট করার মাধ্যম। ( ফ্রিল্যান্সিং কেন করব )   

    আপনি ফ্রিল্যান্সিং কেন  করবেন? সেটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করা কেন লাভজনক? আমি সেটা নিয়েই বলছি। ( যে ৫টি কারনে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন

    প্রথমত ফ্রিল্যান্সিং একটি লাভলনক ক্যারিয়ার। বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সিং খাতে বলেন বিনিয়োগ করছে ও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে জোড় দিচ্ছে। তাই ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় পেশা। 

    দ্বিতীয়ত, এই পেশায় ভালো পরিমানের টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। চাকরি করে মাসে ১ লক্ষ টাকার সেলারি পেতে আপনার ৫-৮ বছর বা তারো বেশি সময় লাগবে।  কিন্তু এই পেশায় সফলভাবে নামতে পারলে আপনি ২-৩ বছরে লক্ষ টাকা আয় করার উপযোগী ফ্রিলান্সার হতে পারেন।  

    তৃতীয়ত, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি যতটা এফোর্ড দিবেন ঠিক ততটাই বেনিফিট পাবেন। আপনি পরিশ্রম করলে সফলতার পাবেনই। আর যে আপনাকে শোনাব ফ্রিল্যান্সিং থেকে কোনো টাকা আয় করা যায় না, ধরে নিবেন সে  নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গঠনে ততটা পরিশ্রম দেয় নি যাতটা  আবশ্যক ছিল। অর্থাৎ এটা সম্পূর্ণ তার ব্যর্থতা ছিল। 

    ফাইনালি, আপনি যদি নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তাহলে আপনি এই পেশাকে পার্ট টাইম করে অন্য পেশাকে ফুল টাইম সময় দিতে পারেন। এতে আপনার পরিশ্রম বেশি হলেও প্রফিটও কিন্তু বেশি হবে।  


    মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় ?

    এই প্রশ্নটিই অনেকের মনে আসে এবং আমি কতবার এই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি তা গুনে শেষ করা যাবে না। তাই এবার মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার ব্যাপারে কিছু বলতে চাই। 

    মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?  কিছু ফ্রিল্যান্সিং জব এর জন্য মোবাইল এর চিন্তা এক্কেবারেই বাদ দিতে হবে। যেমন : গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, মার্কেটিং, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট ইত্যাদি। 

    তবে কিছু ফ্রিল্যান্সিং জব আছে যা কষ্ট করে হলেও মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব তবে না করার জন্যই বেশি উৎসাহিত করা হবে। এমন কিছু ফ্রিল্যান্সিং জব এর নাম নিচে উল্লেখ করছি যা মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব। 

    ১. কন্টেন্ট রাইটিং 

    ২. ডাটা এন্ট্রি 

    ৩. ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ 

    ৪. সোসাইল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

    ৫. আউটসোর্স ফ্রিল্যান্সিং জব 

    ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এই পাঁচ প্রকারের কাজ আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন। যদি আপনার যোগাযোগ দক্ষতা খুব ভাল থাকে তাহলে আপনি 5 নাম্বার কাজটি থেকে সফলতা পাবেন বলে আমার ধারণা। 


    ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ?  

    বাংলাদেশি বিভিন্ন সফল ফ্রিল্যান্সার দের দেখে আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে ধারণা করতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। ফ্রিল্যান্সিং এর ইনকাম এর ব্যাপারে আর কি বলব? ফ্রিল্যান্সিং থেকে কি পরিমান আয় করা যায় সে বিষয়ে আপনারা সবাই ভালোই জানেন।

    তাই আমি আর্থিক দিক বিবেচনা না করে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত অন্যান্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করব। 

    প্রথমত, ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার, সেই সাথে একটি সম্ভাবনাময় পেশা। অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপস এ ক্লিক করে ইনকাম করার নাম ফ্রিল্যান্সিং না, এই কাজ ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য আছে।

    দ্বিতীয়ত, ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে কোনো Job এ  দক্ষতা অর্জন করলে, ইন্টার্নেশনাল মার্কেটে জব এর সুযোগ আছে। ধরুন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে। এবার বাংলাদেশে  গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কতগুলো চাকরির সুযোগ আছে সেটা আপনি একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন। 

    তাই এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ সরকার নিজ উদ্যোগে অনেক প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত ফ্রিল্যান্সার তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ফ্রিল্যান্সিং খাতের আয়কে ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। তাই বাংলাদেশে freelancer-দের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।


    ফ্রিল্যান্সিং FAQ

    এ পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত কিছু ছোটো ছোটো  প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব সেগুলো বরাবরই জিজ্ঞাসিত হয়। 


    ফ্রিল্যান্সিং কাদের জন্য ?

    ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে যারা আছেন তারা সকলেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সার এই বয়সেই কাজ শুরু করে ও সফলতা পায়। তবে দৃঢ় প্রত্যয়ী থাকলে 30 বছর পরেও অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে।


    ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত দিন লাগে? 

    ফ্রিল্যান্সিং শেখার সময় একেক জনের জন্য একেক রকম হয়। কেউ এক বছরে সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে যায়, আবার কারো ক্ষেত্রে দের (১.৫) কিংবা দুই বছর লেগে যায়। তবে শিক্ষার ক্ষেত্রে consistency বজায় রাখল এক বছরের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব। 


    মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় ?

    কিছু ফ্রিল্যান্সিং জব আছে যেগুলোর জন্য মোবাইলের চিন্তা একেবারেই বাদ দিতে হবে। তবে সামান্য কিছু ফ্রিল্যান্সিং জব মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব যেগুলো উপরে উল্লেখ করেছি।


    ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ ? 

    দুটো ডিভাইস দিয়েই সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। আপনার সুবিধামতো আপনি বাছাই করে নিবেন। একটি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন যে ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপে আপনাকে বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। 


    ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব ? 

    ফ্রিল্যান্সিং শেখা অনেকগুলো কার্যকারী উপায় রয়েছে ,তবে শুধু একটি শেখার উপায় অবলম্বন করলেই আপনি একজন পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হবেন বলে আমি মনে করি না। আমি তিনটি উপায় নিয়ে উপরে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। 


    ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি একই বিষয়?

    না সম্পূর্ণ আলাদা দুটি বিষয়। এদের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য আছে যা নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।


    ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব ?

    টাকার অংকটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে আপনার কাজের ওপর। আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। একজন ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসে ১০০০ হাজার বা ৮০০০০ টাকা এর বেশিও আয় করতে সক্ষম।  

     

    ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সেলার কাকে বলা হয়?

    ফ্রিল্যান্সিং সেক্টোরে সেলার হলেন তিনি যিনি সার্ভিস সেল করে থাকেন। একথায় যিনি ফ্রিল্যান্সার তিনিই সেলার। আপনি যদি ডীজিটাল মার্কেটিং এর ফ্রিল্যান্স সার্ভিস সেল করে থাকেন তাহলে আপনিও একজন সেলার।

    Bottom line : 

    সম্পূর্ণ পোস্টটি একটি ফ্রিল্যান্সিং শেখার গাইডলাইন হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। যারা নতুন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে আগ্রহী তারা বিভিন্ন বিষয়ে কনফিউজ বা দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে থাকে। 

    অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে, যেমন :  ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?  কোথা থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি প্রকাশ করা হয়েছে। আশা করি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের এই লেখাটি অনেক সহায়তা করবে।

    ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক অতিরিক্ত কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে আপনাকে সাহয্য করার চেষ্টা করব। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।  


    Next Post Previous Post